ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ম্যাচে বৃষ্টি বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ওই বাধা পেরিয়ে মাঠে বল গড়ালেও দলের সিনিয়র সদস্য নাজমুল হোসেন শান্তকে নাও পেরে পারে বাংলাদেশ দল। 

তিনি দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ঊরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েন। ম্যাচের দিন অনুশীলনের সময় তার ফিটনেস পরীক্ষা হবে। ওই পরীক্ষায় পাস করতে পারলে খেলানো হতে পারে শান্তকে। তবে তার না খেলানোর সম্ভাবনা বেশি বলেই জানা গেছে। 

শান্তর ইনজুরি সম্পর্কে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, তার সম্পর্কে অনুশীলনের পরই কিছু বলা সম্ভব। নেটে তিনি কেমন করেন, ফিল্ডিংয়ে কেমন করেন, এসব দেখেই বলা সম্ভব। নেটে সোমবার ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন শান্ত। সেখানে তাকে সাবলীল মনে হয়নি। ফিজিও বায়েজিদও এমনটাই বলেছেন।  

শান্ত সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে খেলতে না পারলে তার জায়গায় দলে থাকা টপ অর্ডার ব্যাটার নাঈম শেখ সুযোগ পেতে পারেন। নাঈম ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করায় ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন। তবে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি। 

কলম্বোর দুই ওয়ানডে ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যাটিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন ও নাজমুল শান্ত। এর মধ্যে তানজিদ প্রথম ম্যাচে এবং ইমন দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন। যে কারণে তাদের ওপেনিংয়ে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শান্ত খেলতে না পারলে তিনে ব্যাটিং করবেন নাঈম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যৌতুকের মামলায় মধ্যস্থতার বিধান পুনর্বিবেচনা দাবি

যৌতুক দাবি এবং যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের মামলা দায়েরের আগে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান যুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি এই বিধানকে নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০-এ নতুন ২১(খ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যৌতুক দাবি বা যৌতুকজনিত সাধারণ জখমের অভিযোগে মামলা দায়েরের আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে হবে। মধ্যস্থতা ব্যর্থ হলে, তবেই আদালতে মামলা করা যাবে।

মহিলা পরিষদ মনে করে, এই বিধান নারীর বিচার প্রাপ্তির পথকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করে তুলবে। বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার ফলে ভুক্তভোগী নারী আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এতে হয়রানির আশঙ্কা বাড়বে, অপরাধীরা উপকৃত হবে এবং সমাজে যৌতুকের মতো অপরাধের প্রতি সহনশীলতা তৈরি হবে।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, যৌতুক প্রতিরোধে দেশে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে এবং এটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে আইন স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যা অপরাধকে লঘু করে তোলে বা এর বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থান দুর্বল করে। এ অবস্থায় মহিলা পরিষদ সরকারের কাছে সংশোধিত ২১(খ) ধারা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ