বিশ্বজুড়ে বক্স অফিস আয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসন। তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ ছবির সাফল্যের পর তাঁর মোট আয় গিয়ে ঠেকেছে ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে, যা তাঁকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী প্রধান অভিনেতায় পরিণত করেছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম দ্য র‌্যাপ।

৪০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর আয়ের বড় অংশই এসেছে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স থেকে, বিশেষ করে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ সিরিজের চারটি ছবি ও ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’–এ ব্ল্যাক উইডো চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি থেকে। এই ছবিগুলো থেকেই এসেছে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়।

নতুন জুরাসিক ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ ছবিতে স্কারলেটকে দেখা গেছে জোরা বেনেট চরিত্রে, এক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, যাঁকে পাঠানো হয় ডাইনোসরে ভরা এক দ্বীপে বিপজ্জনক অভিযানে। ছবিটি মুক্তির ছয় দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৩১৮ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির মধ্যে আয় হিসেবে দ্বিতীয়, চীনের অ্যানিমেটেড সিকুয়েল ‘নে ঝা ২’-এরপরই ছবিটির অবস্থান।

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যৌতুকের মামলায় মধ্যস্থতার বিধান পুনর্বিবেচনা দাবি

যৌতুক দাবি এবং যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের মামলা দায়েরের আগে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান যুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি এই বিধানকে নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০-এ নতুন ২১(খ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যৌতুক দাবি বা যৌতুকজনিত সাধারণ জখমের অভিযোগে মামলা দায়েরের আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে হবে। মধ্যস্থতা ব্যর্থ হলে, তবেই আদালতে মামলা করা যাবে।

মহিলা পরিষদ মনে করে, এই বিধান নারীর বিচার প্রাপ্তির পথকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করে তুলবে। বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার ফলে ভুক্তভোগী নারী আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এতে হয়রানির আশঙ্কা বাড়বে, অপরাধীরা উপকৃত হবে এবং সমাজে যৌতুকের মতো অপরাধের প্রতি সহনশীলতা তৈরি হবে।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, যৌতুক প্রতিরোধে দেশে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে এবং এটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে আইন স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যা অপরাধকে লঘু করে তোলে বা এর বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থান দুর্বল করে। এ অবস্থায় মহিলা পরিষদ সরকারের কাছে সংশোধিত ২১(খ) ধারা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ