বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিহত করতে যা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে রাজনৈতিক সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া কোনো তদারকি ব্যবস্থা কাজে আসবে না। ফলে যে রাজনৈতিক সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, তাদের অবশ্যই এ বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। 
গতকাল সোমবার ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি ব্যবস্থা (আরবিএস) চালু উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।

গভর্নর বলেন, তদারকি ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে আরবিএস চালু করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০টি ব্যাংকের ওপর পরীক্ষামূলক তদারকি করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে বাকি ৪১টি ব্যাংকে এ ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে পরিপূর্ণভাবে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি করা হবে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঝুঁকির ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন অফসাইট, অনসাইট আলাদা তদারকি হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশ এ ব্যবস্থায় তদারকি করছে। পরবর্তী ধাপে ২০২৮ সালের জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড আইএফআরএস-৯ চালু হবে। আরবিএস নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, গত দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিহত করতে যা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে কতটা স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যায়, এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আমাদের প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ কেউ যেন রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত না করে। আগামীতে যেন নির্মোহভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কাজ করতে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান করলেই কি ব্যাংক খাতের অনিয়ম-জালিয়াতি বন্ধ হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘আগেও বলেছি, এখনও বলছি– রাজনৈতিক সরকার যদি মনমানসিকতার পরিবর্তন না করে, কোনো তদারকি ব্যবস্থাই কাজে আসবে না। সেটা আমরা গত ১৫ বছরে দেখেছি। ফলে যে রাজনৈতিক সরকারই থাকুক না কেন, তাদের অবশ্যই এ বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। আইন ভেঙে তো আর আইন পালন করা যাবে না।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনিয়ম-জালিয়াতি প্রতিহত করা বাংলাদেশ ব্যাংকের একার বিষয় নয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। রাজনৈতিক মতাদর্শ, রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় যদি গুণগত পরিবর্তন আনতে না পারি, আবারও এরকম হতে পারে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। রাজনীতিবিদদের ভবিষ্যৎ বুঝতে হবে। অনিয়ম-জালিয়াতি করলে কী পরিণতি হয়, রাজনীতিবিদরা তো দেখছেন। একটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো, এসবের পরিণতি দেশের জন্য ভালো হয় না, তাদের জন্যও ভালো হয় না। রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাওয়া কি তারা চান? তারা তো চান না। এসব করে সাময়িকভাবে হয়তো উপকৃত হয়। তবে সামগ্রিকভাবে একটা রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য ভালো হয় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, কোনো একটা দিক সমাধান করে সব কিছুর সমাধান হবে না। অনেকগুলো দিক নিয়ে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়েই কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনগত ক্ষমতা, স্বায়ত্তশাসন থাকলে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা যায়। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হলে অবশ্যই সব অনিয়ম-জালিয়াতি শনাক্ত করা সম্ভব। আগের সব অনিয়ম তো শনাক্ত হয়েছে। তবে লাভ হয়নি। কেননা, সেখানে রাজনৈতিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। 

তিনি বলেন, ‘এই জায়গার পরিবর্তনটা অবশ্যই রাজনীতিবিদদের করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তো দেশ চালাবে না। চালাবে সরকার। আমরা আশা করব, সরকার সুবিবেচনাপ্রসূত হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে নির্মোহভাবে কাজ করা। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে অবশ্যই রোধ করা সম্ভব।’ 
গভর্নর জানান, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে প্রতিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অর্ধেক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পেশাদার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল করবে। সেখান থেকে এসব নিয়োগ হবে। এখনকার মতো নিজের পরিচিতজনকে বসিয়ে দেওয়ার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রেও যোগ্যতার মাপকাঠি অনুসরণ করা হবে। একই ব্যক্তিকে একাধিক ব্যাংকের মালিকানা দেওয়া, প্রকৃত সুবিধাভোগীকে চিহ্নিত করা, একক গ্রাহকের ঋণসীমা অমান্য করা ঠেকানো গেলে অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি জানান, ছয়টি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই করে অনেক সমস্যা পাওয়া গেছে। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন এক্সিমসহ প্রতিটি ব্যাংকের সঙ্গে আলাদাভাবে বসা হবে। যদি কেউ দৃশ্যমানভাবে সংগত কারণ দেখাতে পারে, সেই ব্যাংক নিজের মতো চলতে পারবে। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, সেটা সম্ভব হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র র জন ত ক স ক জ করত ব যবস থ র পর চ র জন য র বল ন ক জ কর প রস ত

এছাড়াও পড়ুন:

জন্মভিটা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কবি নজরুলের ব্যবহার সামগ্রী! 

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে তাঁর ব্যবহারকৃত সামগ্রী। সোমবার এমন অভিযোগ জানিয়ে চুরুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন কবির ভ্রাতুষ্পুত্র কাজী আলি রেজা। চুরুলিয়ায় নজরুল একাডেমিকে অন্ধকারে রেখে কবির স্মৃতিচিহ্নগুলো ওই জেলারই আসানসোলে অবস্থিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আলী রেজার।

নজরুল ইসলামের জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়াতেই রয়েছে তাঁর ব্যবহার করা নানা ধরনের স্মৃতিচিহ্ন। কবির জন্মভিটা সেই পুরোনো মাটির বাড়িটি ১৯৫৬ সালে ভেঙে ফেলে ১৯৫৮ সালে সেখানেই তৈরি করা হয় একটি বহুতল ভবন- যা নজরুল একাডেমি নামে পরিচিত। 

এই নজরুল একাডেমির নিচ তলায় রয়েছে একটি সংগ্রহশালা। এখানে রয়েছে কবির হাতে লেখা পান্ডুলিপি, প্রথম প্রকাশিত গল্প, কবিতা এবং গানের পত্রিকার কপি, তাঁর ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, বিভিন্ন সময়ে পাওয়া সন্মাননা, প্রমিলা দেবীর ব্যবহৃত খাট। আর দেয়ালে রয়েছে কবির বিভিন্ন সময়ের ছবি। ওই সংগ্রহশালায় রয়েছে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু ও পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। সারা বছর তা দেখতে এই একাডেমিতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। কিন্তু কবির সেসব স্মৃতিচিহ্নগুলো ওই জেলারই আসানসোলে অবস্থিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। 

বিষয়টি সামনে আসতেই একদিকে যেমন চুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন, তেমনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নজরুল একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, কোনো অবস্থায় সেই সমস্ত জিনিস গ্রামের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যদিও বিতর্ক ওঠার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিউজিয়ামকে বিশ্বমানের করে তোলার লক্ষ্যেই সেটি সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। তাই আপাতত মিউজিয়ামে থাকা কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সংস্কারের কাজ শেষ হলেই তা পুরনো জায়গায় রেখে আসা হবে। 

কাজী আলি রেজা জানান, ‘শুধু ভারতবর্ষ নয়, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর বহু মানুষ এই মিউজিয়াম দেখতে আসেন। সকলেরই এই মিউজিয়াম দেখার প্রতি একটা আগ্রহ থাকে। কিন্তু বর্তমানে সেই মিউজিয়ামটাকেই বলা হচ্ছে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। অর্থাৎ এই মিউজিয়ামে থাকা কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু আমরা বলেছি, এটা কোনোমতেই সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই এক ট্রাক ভর্তি সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরেকটি ট্রাক ভর্তি করে সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা সেটা বাধা দিয়েছি।' 

তিনি বলেন, ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে একবার বৈঠকে ঠিক হয়েছিল নজরুল একাডেমি থেকে কোনো জিনিসই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না বরং এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, অন্য কোনো জায়গা থেকে কবির ব্যবহৃত অন্য জিনিসপত্র যেন সংগ্রহ করে আমরা এই মিউজিয়ামে রাখতে পারি। এর বদলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই মিউজিয়ামে যে জিনিসগুলো সংগ্রহ করে রেখেছি, সেগুলোই অন্যত্র চলে যাচ্ছে।’ 

কাজী আলি রেজা আরও বলেন, ‘নজরুল মেলা উপলক্ষে কয়েকদিন আগেই আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা কবি নজরুলের বাড়িটি সংস্কারের জন্য ১০ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও আলাদা করে ৫ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই অর্থ কোথায় গেল, কি কাজ হয়েছে তা এখনও আমাদের জানা নেই। জানালা-দরজা ভেঙে পড়ছে, লাইট পাওয়া যায় না, দেওয়ালের রঙ চাইলে পাওয়া যায় না। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই তাদের দায় এড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা সাধারণ মানুষের মতামত নিচ্ছি, যাতে কোনোভাবেই এই নজরুল একাডেমি বা এই সংগ্রহশালার কোনা জিনিস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে না চলে যায়।’ 

কাজী আলি রেজার অভিমত, ‘কবিতীর্থ চুরুলিয়া মানুষের কাছে একটি আবেগ। কবির মিউজিয়াম থেকে সেসব জিনিস বিশ্ববিদ্যালয় চলে গেলে এটা অন্ধকার হয়ে যাবে। তখন আর কোনা মানুষ এখানে আসবেন না।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আলি রেজা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নজরুলের ভ্রাতুষ্পুত্র রেজাউল করিমের মেয়ে ও নজরুল একাডেমির সঙ্গে যুক্ত থাকা সঙ্গীতশিল্পী সোনালি কাজীসহ স্থানীয় বাসিন্দারাও।  

নজরুল একাডেমির এখন কোনো অস্তিত্ব নেই
অন্যদিকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. চন্দন কোনার বলেন, ‘নজরুল একাডেমির এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। নজরুল একাডেমি, কবির বাস্তুভিটে, সংগ্রহশালা সবকিছুই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চুরুলিয়ায় একটি সংস্কারের কাজ চলছে। এর জন্য দেড় কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ এই পুরো প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে কবির ভিটেবাড়ি, সংগ্রহশালা সংস্কার হবে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই সংগ্রহশালায় থাকা কবির পাণ্ডুলিপিসহ অন্য জিনিসপত্র সংরক্ষণ এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য সেগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আসা হচ্ছে। সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হলে ফের কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ওই সংগ্রহশালায় রেখে দেওয়া হবে। মূলত ওই মিউজিয়াম থেকে বিশ্বমানের করে তোলার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।’ 

তার মতে, ‘নজরুল কারও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। সারা বিশ্বের লোক নজরুলকে নিয়ে কাজ করছেন। আমার মনে হয়, কিছু মানুষ কবির পরিচয় দিয়ে এসব বিষয় নিজেদের কাছে কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ