আরও পড়ুনরাজনীতিতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে বাজে কাজটা করেছিলেন জয়াসুরিয়া০৪ জুলাই ২০২৫

উত্তরে এই ওপেনার জানান, ‘তামিম (ইকবাল) ভাইয়ের খেলা অনুসরণ করতাম অনেক, বিরাট কোহলিও অনেকটা শেষের দিকে। এখন ট্রাভিস হেডের খেলা অনুসরণ করি।’

পারভেজ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। সর্বশেষ ম্যাচে ৬৯ বল খেলে ৬৭ রান করার পথে ৬ চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন। নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে পারভেজ বলেন, ‘চেষ্টা করি আসলে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। এটাই আসলে চেষ্টা করছি, আমার যেটা সহজাত ওটা খেলার।’

আগের ম্যাচে পারভেজ ভালো করলেও এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটেনি। প্রথম ম্যাচে ২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরে ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে ম্যাচ হারে। দ্বিতীয় ম্যাচেও অলআউট হয়েছে ২৪৮ রানে।

দলের ব্যর্থতার সঙ্গে পারভেজের আফসোস নিজের ইনিংসটা বড় করতে না পারারও, ‘আমরা (ইনিংস) লম্বা করতে পারিনি সত্যি। আউট হওয়ার পর আমার অনেক খারাপ লাগছিল, হয়তো–বা সেট হয়ে আউট হয়েছি। উইকেট ভালো ছিল, সেঞ্চুরি করা যেত।’

পারভেজ হোসেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘তৈদুছড়া’ ঝরনা দেয় রোমাঞ্চের হাতছানি

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার তৈদুছড়া ঝরনার খবর এখন পৌঁছে গেছে প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে। পাহাড়ের নির্জন স্থানের ঝরনাটি একসময় পর্যটকদের অগোচরে ছিল। প্রায় ৫০ ফুট উঁচু থেকে ঝরে পড়া জলের উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ হতে হয়।

আঁকাবাঁকা পথে সবুজে ঘেরা দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের নয়মাইল এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে সীমানাপাড়া। এরপর পাহাড় ডিঙিয়ে হাঁটতে হবে আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট। এরপর ঝিরিপথে শুরু হবে রোমাঞ্চকর যাত্রা। ঝিরিপথে আছে বিশাল বিশাল সব পাথর। কোনোটা পিচ্ছিল, আবার কোনোটা মসৃণ। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঝিরিপথে যাওয়ার পর দেখা মিলবে ঝরনার। ঝরনার সৌন্দর্য মুহূর্তেই ভুলিয়ে দেবে পথের ক্লান্তি। পথে পথে দেখা মেলে নানা প্রজাতির পাখি, স্থানীয় লোকদের জুমঘর আর নাম না–জানা পাহাড়ি ফুলের।

তৈদুছড়া ঝরনায় দেখা হয় খাগড়াছড়ি ও ঢাকা থেকে আসা একদল তরুণের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, তৈদুছড়া ঝরনার কথা স্থানীয় বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছেন অনেক দিন আগে। এবার দলবেঁধে এসেছেন একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। তবে এটি যে এত সুন্দর হবে, সেটা তাদের কল্পনার বাইরে। ট্র্যাকিংয়ের জন্য দেশের অন্যতম সেরা একটি স্থান হতে পারে এই ঝরনা।

সীমানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গণেশ ত্রিপুরা বলেন, এ ঝরনায় সারা বছর পানি থাকে। আর লোকজনও সারা বছর আসেন। ঝরনায় যাওয়ার রাস্তাটা যদি ইট বিছানো হতো, তাহলে ঝরনা পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেত।

একসময় ঝরনাটির কথা শুধু স্থানীয় লোকজনই জানতেন। স্থানীয় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ঝরনাটির নাম দিয়েছে ‘তৈদু’। ত্রিপুরা ভাষায় ‘তৈ’ অর্থ ‘জল বা পানি’ আর ‘দু’ অর্থ ‘ধারা’। অর্থাৎ জলধারা। পাহাড়ের গা ঘেঁষে অঝোর ধারায় নিচে গড়িয়ে পড়ছে স্বচ্ছ জলধারা। সবুজ পাহাড়ের বুনো জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতার ঝরনাটি যে কাউকে মুগ্ধ করে।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে যেকোনো বাসে চড়ে প্রথমে পৌঁছাতে হবে খাগড়াছড়ি। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশা বা চান্দের গাড়িতে করে যেতে হবে সীমানাপাড়ায়। ভাড়া পড়বে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। কেউ চাইলে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলেও যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

খাগড়াছড়ি শহরে পর্যটন মোটেল, হোটেল গাইরিং, অরণ্য বিলাস, মাউন্টেন, শৈল সুবর্ণসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। সেখান থেকে বাজেটের মধ্যে হোটেল বা মোটেল খুঁজে নিতে হবে। ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে এগুলোর ভাড়া। এ ছাড়া দীঘিনালায় থাকতে চাইলে স্টার, রেস্টহাউস, ডিগনিটি নামে তিনটি মাঝারি মানের হোটেল আছে। এখানকার ভাড়া ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘তৈদুছড়া’ ঝরনা দেয় রোমাঞ্চের হাতছানি