ব্ল্যাকপিঙ্ক ফিরবে, নাকি ফিরবে না—দোলাচলে ছিলেন ব্লিঙ্করা (ব্ল্যাকপিঙ্কের অনুরাগী)। মাঝখানে দুই বছর গানে ছিল না কে–পপ গার্ল গ্রুপটি। ব্যান্ডের চার প্রাণভোমরা জেনি, জিসু, রোজে ও লিসা একক ক্যারিয়ারে মন দিয়েছিলেন।
শঙ্কা পেছনে ফেলে সত্যি সত্যিই ফিরলেন তাঁরা। শুধু ফিরলেনই না, ফেরাটা জমিয়ে তুলেছেন জেনিরা। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াং স্পোর্টস কমপ্লেক্সে শনি ও রোববার ‘ডেডলাইন’ কনসার্টে পাওয়া গেছে চার ব্ল্যাকপিঙ্ক তারকাকে। দুই দিনে ৭৮ হাজার ভক্ত কনসার্টটি উপভোগ করেছেন।

কে কী গাইলেন

দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ব্ল্যাকপিঙ্ক ২৭টি গান পরিবেশন করেছে। এর মধ্যে ছিল তাদের জনপ্রিয় গানগুলোর পাশাপাশি চার সদস্যের একক গান।

‘কিল দিজ লাভ’ ধরতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। গানটি নিয়ে উন্মাদনা ফুরানোর আগেই ‘পিঙ্ক ভেনম’ পরিবেশন করেছে ব্যান্ডটি। এরপর একে একে ‘হাউ ইউ লাইক দ্যাট’, ‘প্লেয়িং উইথ ফায়ার’ আর ‘শাটডাউন’-এর মতো হিট গানগুলো পরিবেশন করে ব্ল্যাকপিঙ্ক।

কনসার্টে জিসু গাইলেন তাঁর নতুন একক গান ‘আর্থকোয়েক’ ও ‘ইয়োর লাভ’; লিসা পরিবেশন করেন ‘নিউ ওম্যান’ ও ‘রকস্টার’; জেনি গেয়েছেন ‘মন্ত্র’ ও ‘লাইক জেনি’, আর রোজে গেয়েছেন ‘৩ এএম’, ‘টক্সিক টিল দ্য এন্ড’ এবং তার বিশ্বব্যাপী হিট গান ‘আপাতে আপাতে’।

গাইছেন লিসা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘রব্বানা হাবলানা’: পরিবারের জন্য এক অমূল্য দোয়া

‘হে আমাদের রব! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্য থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদের নেককারদের নেতা বানাও।’ এই কথাগুলো কোরআনের সুরা ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াতে লিপিবদ্ধ আছে।

মূল আরবি দোয়াটির উচ্চারণ হলো, ‘রব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইয়ুন ওয়াজাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’

এটি শুধু একটি দোয়া নয়, বরং পরিবারের কল্যাণ, সন্তানের নেক আমল এবং নিজের নেতৃত্বের জন্য আল্লাহর কাছে এক হৃদয়গ্রাহী প্রার্থনা।

আরও পড়ুননবী সুলাইমান (আ.)–এর দোয়া১৪ মার্চ ২০২৪দোয়ার তাৎপর্য

পবিত্র কোরআনের সুরা ফুরকানে আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের গুণাবলি বর্ণনা করেছেন। এই আয়াতে তাঁদের একটি আকাঙ্ক্ষা কথা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁরা আল্লাহর কাছে এমন একটি পরিবারের প্রার্থনা করেন, যাঁরা তাঁদের চোখের শীতলতা এবং হৃদয়ের শান্তির উৎস হবে।

আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফী বলেন, এই দোয়া মুমিনকে তাঁর পরিবারের জন্য দায়িত্বশীল হতে শেখায়। এটি কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভালো থাকার প্রার্থনা নয়, বরং নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা, যিনি নেককারদের পথ দেখাতে পারেন।

এই দোয়ার দ্বিতীয় অংশ, ‘আমাদের মুত্তাকিদের নেতা বানাও,’ বোঝায় যে একজন মুমিনের উচিত নিজের পরিবারকে নেক পথে পরিচালিত করা এবং সমাজে ন্যায় ও সত্যের পথপ্রদর্শক হওয়া। (মাআরিফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৬৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১৯৯৮)

আরও পড়ুনদোয়া কীভাবে করতে হয়২০ এপ্রিল ২০২৫এটি কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভালো থাকার প্রার্থনা নয়, বরং নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা, যিনি নেককারদের পথ দেখাতে পারেন।কখন এই দোয়া করতে হয়

‘রব্বানা হাবলানা’ দোয়াটি পড়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। যেকোনো সময় পড়া যায়—নামাজের পর, সিজদায় বা দৈনন্দিন জীবনে যখন ইচ্ছা। বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে শান্তি, সন্তানের নেক আমল বা পারিবারিক সুখ কামনায় এই দোয়া অত্যন্ত ফলপ্রসূ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করো, কারণ দোয়া ইবাদতের মূল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৩৭১)

এই দোয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আল্লামা শানকিতি বলেন, এই দোয়া মুমিনকে তাঁর পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করে। একটি নেককার পরিবারই সমাজের মূল ভিত্তি এবং এই দোয়া সেই ভিত্তি মজবুত করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। (শানকিতি, মুহাম্মদ আল-আমীন, আদ্বাউল বায়ান ফি ঈযাহিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৪৭৮, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ২০০৫)

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যে তার পরিবারের জন্য সর্বোত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৯৭৭)

আরও পড়ুনসন্তানকে বদ দোয়া করবেন না২১ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ