কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই আদেশে আদালতে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিমকে এ থানায় ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফা পুর এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনা মুখে পড়েন ওসি রফিকুল ইসলাম। এর পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

তবে আজ সোমবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান সমকালকে বলেন, ‘মিছিলকাণ্ডের সঙ্গে এ আদেশ কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে। তবে পরবর্তী বদলির জন্য ওসি রফিকুল ইসলামকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এমন আদেশ পুলিশের জন্য স্বাভাবিক।’

ওসি রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘মিছিলকাণ্ডে আমার সরে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। দোয়া করবেন।’

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওসি রফিকুল ইসলাম সদর দক্ষিণ মডেল থানায় যোগদান করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহহীন মানুষের জন্য ৩৪০টি ঘর হস্তান্তর করল নৌবাহিনী

চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার উড়িরচরে গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য নির্মিত ৬৮টি পাকা ব্যারাক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সোমবার এসব ব্যারাক স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই ব্যারাক হাউসগুলো নির্মাণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। প্রতিটি ব্যারাকে পাঁচটি করে মোট ৩৪০টি ইউনিট রয়েছে। যার প্রতিটিতে একটি করে গৃহহীন পরিবার বসবাস করতে পারবে। প্রতিটি ব্যারাকে রয়েছে পৃথক রান্নাঘর এবং বাথরুমের সুবিধা। নৌবাহিনীর নবনির্মিত এসব ব্যারাক হাউস নৌবাহিনীপ্রধানের পক্ষ থেকে নৌবাহিনীর প্রতিনিধি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সন্দ্বীপ জেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে হস্তান্তর করেন।

এর আগেও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায় সর্বমোট ২৩৩টি প্রকল্পে মোট ৪ হাজার ৫৬০টি ব্যারাক হাউস নির্মাণ শেষে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে নৌবাহিনী। এসব ব্যারাকে আশ্রয় পেয়েছে ৩৪ হাজার ১৬৫টি গৃহহীন পরিবার। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ