অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক হলেন জাহাঙ্গীর কবির
Published: 7th, July 2025 GMT
ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে কারা সদর দপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি প্রিজনস) হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশক্রমে আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হাফিজ-আল-আসাদের স্বাক্ষরে পদোন্নতির এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জাহাঙ্গীর কবিরকে গত বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজনস হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে ডিআইজি প্রিজনস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারে জেল সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন জাহাঙ্গীর কবির। তিনি ২০১৩ সালে সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান।
জাহাঙ্গীর কবির কারা সদর দপ্তরে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি) উন্নয়ন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে কারা উপমহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সেখান থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র জনস
এছাড়াও পড়ুন:
অসহায় প্রবীণদের ‘বাবা–মায়ের’ মতো যত্ন করেন রফিকুল-কল্পনা দম্পতি
‘আমার মা-বাপ বাইচ্চা থাকলে তো তাঁদের পালতাম। আমি ছুডুবেলাই মা-বাপ হারাইছি, মা-বাপের সেবা করতে পারি নাই। তাই রাস্তায় ফালায় যাওয়া মা-বাপরে নিজের বাপ-মা মনে কইরা পালতাছি।’ কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার প্রত্যন্ত চরকামটখালী গ্রামে গড়ে তোলা ‘মাতৃছায়া সমাজকল্যাণ সংস্থা ও বৃদ্ধাশ্রম’-এর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম ছোটবেলাতেই মা–বাবাকে হারিয়েছেন। সেই না-পাওয়ার কষ্ট থেকেই যেন শুরু তাঁর এই ভিন্নধর্মী পথচলা। হাসপাতালে দুই দশক চাকরির সুবাদে দেখে এসেছেন কীভাবে বার্ধক্যে মানুষ হয়ে পড়েন একাকী। কেউ পড়ে থাকেন হাসপাতালের বারান্দায়, কেউ রাস্তায়। সেই মানুষগুলোকেই তিনি মনে করেন নিজের মা-বাবা। শুরু করেন তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা।
২০১৮ সালে নিজের ৮ শতাংশ জমিতে টিনশেড ঘরে রফিকুল শুরু করেন আশ্রয়কেন্দ্রের কার্যক্রম। ২০১৯ সাল থেকে এখানে আশ্রয় পেতে শুরু করেন বিভিন্ন স্থানে ফেলে যাওয়া বা পরিচয়হীন প্রবীণেরা। পরে ২০২২ সালে অ্যাপেক্স ক্লাব অব ময়মনসিংহ আধা পাকা একটি ঘর তৈরি করে দেয় আশ্রয়কেন্দ্রটির জন্য।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ জন প্রবীণ আশ্রয় পেয়েছেন ‘মাতৃছায়া’য়। এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন, ৪ জন ফিরে গেছেন পরিবারের কাছে। বর্তমানে সেখানে আছেন ১৪ জন নারী, ২ জন পুরুষ ও ১ শিশু।
মায়ার টানে লালনসম্প্রতি আশ্রমে গিয়ে কথা হয় রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোটবেলায় মা-বাবা হারানোর আক্ষেপ থেকে পরিচয়হীন বা সন্তানদের ফেলে যাওয়া বাবা–মায়েদের আশ্রয় দিতে শুরু করেন। মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে খাবার আর ওষুধ সংগ্রহ করেন। যত দিন বাঁচবেন, তাঁদের সেবা করবেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সন্তান এই মানুষগুলোর সেবা করবে।
‘মাতৃছায়া সমাজকল্যাণ সংস্থা ও বৃদ্ধ আশ্রয়কেন্দ্রে’ থাকা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের তারার মা। সম্প্রতি তোলা