জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও আমজনগণ পার্টি নেতারা বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। বৈঠকে এনডিমের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। 

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন এই দুই দলের নেতারা। এনডিএমের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে দলের কয়েকজন নেতা বৈঠকে অংশ নেন। উভয় বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এনডিএমের চার দাবি 

বৈঠকে লিখিতভাবে চারদফা দাবি জানান এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এসব দাবির মধ্যে আছে– সরকারের নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম বা নিবন্ধন স্থগিত থাকা রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় বা জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যেকোনো সদস্যকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। 

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আবেদনের নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জেলার মোট আসন অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি এক জেলার আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না। সব উপজেলাকে অবিভাজিত রাখতে হবে। জনসংখ্যা, আসনওয়ারী ভোটার সংখ্যার তারতম্য, ভৌগোলিক সীমারেখা, যাতায়াত ব্যবস্থা, জনপ্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত ও সুনির্দিষ্ট আচরণবিধিসহ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবি করেছে এনডিএম।        

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ববি হাজ্জাজ বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যকরী পদধারী বড় নেতা যারা ছিলেন, তারা যেন ওই নাম লুকিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় না আসে, সেই ব্যবস্থা করার জন্য সিইসি’র কাছে দাবি করেছি। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নিবন্ধিত সব দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করার দাবি করেন এনডিএম চেয়ারম্যান। 

উৎসবমুখর নির্বাচন চায় আমজনগণ পার্টি

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক রফিকুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করে আনারস প্রতীক চেয়েছি। আমরা একটি উৎসবমুখর নির্বাচন চাই।’

গত ১৭ এপ্রিল ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে আমজনগণ পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের দিনই ইসিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন জমা দেয় তারা। এ খবর প্রচার হওয়ার পর একই দিন ডেসটিনির ক্ষতিগ্রস্ত অংশীদার ও গ্রাহকরা ইসি ভবনের সামনে এসে দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এর আগে অর্থপাচার ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা দু'টি মামলায় দীর্ঘ দিন কারাভোগ করেন রফিকুল আমীন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মুক্তি পান তিনি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ইস ন বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আ. লীগ নেতাদের ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবি এনডিএমের 

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও আমজনগণ পার্টি নেতারা বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। বৈঠকে এনডিমের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। 

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন এই দুই দলের নেতারা। এনডিএমের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে দলের কয়েকজন নেতা বৈঠকে অংশ নেন। উভয় বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এনডিএমের চার দাবি 

বৈঠকে লিখিতভাবে চারদফা দাবি জানান এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এসব দাবির মধ্যে আছে– সরকারের নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম বা নিবন্ধন স্থগিত থাকা রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় বা জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যেকোনো সদস্যকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। 

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আবেদনের নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জেলার মোট আসন অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি এক জেলার আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না। সব উপজেলাকে অবিভাজিত রাখতে হবে। জনসংখ্যা, আসনওয়ারী ভোটার সংখ্যার তারতম্য, ভৌগোলিক সীমারেখা, যাতায়াত ব্যবস্থা, জনপ্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত ও সুনির্দিষ্ট আচরণবিধিসহ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবি করেছে এনডিএম।        

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ববি হাজ্জাজ বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যকরী পদধারী বড় নেতা যারা ছিলেন, তারা যেন ওই নাম লুকিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় না আসে, সেই ব্যবস্থা করার জন্য সিইসি’র কাছে দাবি করেছি। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নিবন্ধিত সব দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করার দাবি করেন এনডিএম চেয়ারম্যান। 

উৎসবমুখর নির্বাচন চায় আমজনগণ পার্টি

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক রফিকুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করে আনারস প্রতীক চেয়েছি। আমরা একটি উৎসবমুখর নির্বাচন চাই।’

গত ১৭ এপ্রিল ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে আমজনগণ পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের দিনই ইসিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন জমা দেয় তারা। এ খবর প্রচার হওয়ার পর একই দিন ডেসটিনির ক্ষতিগ্রস্ত অংশীদার ও গ্রাহকরা ইসি ভবনের সামনে এসে দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এর আগে অর্থপাচার ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা দু'টি মামলায় দীর্ঘ দিন কারাভোগ করেন রফিকুল আমীন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মুক্তি পান তিনি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ