নারী ফুটবল দলকে ক্রীড়া উপদেষ্টার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার
Published: 7th, July 2025 GMT
প্রথমবার এশিয়ান কাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জয় পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আগামী বছরের টুর্নামেন্টে জায়গা পাওয়া নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ক্রীড়া উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাফুফে থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পুরস্কারের এই অর্থ নারী দলের ফুটবলারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হবে।
মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে ৭-০ গোলে হারায়। এরপর স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ান কাপে জায়গা নিশ্চিত করে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের জালে দেয় ৭ গোল।
বাছাইপর্ব শেষ করে রোববার গভীর রাতে দেশে ফেরেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেখান থেকে সরাসরি হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে আসেন তারা। রাত ৩টার পরে তাদের সংবর্ধনা দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার প্রান্তি, ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা ও কোচ পিটার বাটলার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল য ব ও ক র ড় উপদ ষ ট ফ টবল দল উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘রব্বানা হাবলানা’: পরিবারের জন্য এক অমূল্য দোয়া
‘হে আমাদের রব! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্য থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদের নেককারদের নেতা বানাও।’ এই কথাগুলো কোরআনের সুরা ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াতে লিপিবদ্ধ আছে।
মূল আরবি দোয়াটির উচ্চারণ হলো, ‘রব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইয়ুন ওয়াজাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’
এটি শুধু একটি দোয়া নয়, বরং পরিবারের কল্যাণ, সন্তানের নেক আমল এবং নিজের নেতৃত্বের জন্য আল্লাহর কাছে এক হৃদয়গ্রাহী প্রার্থনা।
আরও পড়ুননবী সুলাইমান (আ.)–এর দোয়া১৪ মার্চ ২০২৪দোয়ার তাৎপর্যপবিত্র কোরআনের সুরা ফুরকানে আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের গুণাবলি বর্ণনা করেছেন। এই আয়াতে তাঁদের একটি আকাঙ্ক্ষা কথা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁরা আল্লাহর কাছে এমন একটি পরিবারের প্রার্থনা করেন, যাঁরা তাঁদের চোখের শীতলতা এবং হৃদয়ের শান্তির উৎস হবে।
আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফী বলেন, এই দোয়া মুমিনকে তাঁর পরিবারের জন্য দায়িত্বশীল হতে শেখায়। এটি কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভালো থাকার প্রার্থনা নয়, বরং নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা, যিনি নেককারদের পথ দেখাতে পারেন।
এই দোয়ার দ্বিতীয় অংশ, ‘আমাদের মুত্তাকিদের নেতা বানাও,’ বোঝায় যে একজন মুমিনের উচিত নিজের পরিবারকে নেক পথে পরিচালিত করা এবং সমাজে ন্যায় ও সত্যের পথপ্রদর্শক হওয়া। (মাআরিফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৬৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১৯৯৮)
আরও পড়ুনদোয়া কীভাবে করতে হয়২০ এপ্রিল ২০২৫এটি কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভালো থাকার প্রার্থনা নয়, বরং নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা, যিনি নেককারদের পথ দেখাতে পারেন।কখন এই দোয়া করতে হয়‘রব্বানা হাবলানা’ দোয়াটি পড়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। যেকোনো সময় পড়া যায়—নামাজের পর, সিজদায় বা দৈনন্দিন জীবনে যখন ইচ্ছা। বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে শান্তি, সন্তানের নেক আমল বা পারিবারিক সুখ কামনায় এই দোয়া অত্যন্ত ফলপ্রসূ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করো, কারণ দোয়া ইবাদতের মূল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৩৭১)
এই দোয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আল্লামা শানকিতি বলেন, এই দোয়া মুমিনকে তাঁর পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করে। একটি নেককার পরিবারই সমাজের মূল ভিত্তি এবং এই দোয়া সেই ভিত্তি মজবুত করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। (শানকিতি, মুহাম্মদ আল-আমীন, আদ্বাউল বায়ান ফি ঈযাহিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৪৭৮, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ২০০৫)
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যে তার পরিবারের জন্য সর্বোত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৯৭৭)
আরও পড়ুনসন্তানকে বদ দোয়া করবেন না২১ এপ্রিল ২০২৫