নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন
Published: 7th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সারা দেশের মানুষ বিএনপির পদ সদস্য সংগ্রহ করার জন্য স্বাচ্ছন্দে এগিয়ে আসছেন।
একজন মানুষ যদি বিএনপি'র সদস্য হয় সে সর্বপ্রথম দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন। যে আজকে বিএনপির সদস্য হবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আছেন এটা গর্ব করে সব জায়গায় বলে যেতে পারবেন।
যদি কেউ বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করে তাহলে বর্তমান রাজনৈতিক যে অবস্থা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের একজন সহকর্মী হতে পারবেন। কেউ যদি সদস্য হোন তাহলে বৃহত্তম পরিসরে আপনি বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের সহকর্মী হতে পারবেন।
যেখানে আপনি পরিচয় দিবেন আপনি বিএনপির একজন সদস্য দেশের শত শত মানুষ হাজার হাজার মানুষ আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার সাথে তার একটা বন্ধুত্বের বন্ধন রচনা হবে।
সোমবার (৭ জুলাই) ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের হাটখোলা মাঠে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের সকল মানুষই ভালো। শুধু একটি পরিবার ও তাদের ছত্রছায়া যারা ছিল তারা কুলাঙ্গার তারা খারাপ তাদের কারণে বদনাম হয়েছে নারায়ণগঞ্জের। ৫ তারিখে তারা পালিয়ে গেছে এখন আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের কাজ কি। আমাদের এই বদনাম গোছাতে হবে।
আগামী দিন যেন আমাদের সন্তানরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নারায়ণগঞ্জের পরিচয় দিতে পারে। একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। নারায়ণগঞ্জের যত গ্লানি যত দূর্নাম আছে আমাদের মুছে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচন করে এই কাশীপুর থেকে বিজয় লাভ করে। কাশীপুরের সবচেয়ে বেশি যেমন দলীয় নেতা কর্মী রয়েছে তেমনি রয়েছে সমর্থক। আপনারা এখান থেকে সদস্য ফরম নিবেন এবং দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য হবেন। আমার সহকর্মী নেতৃবৃন্দ যারা আছেন তাদেরকে আমি আহবান করব প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্যসপদ সংগ্রহ করবেন।
সবাইকে এ দলের সদস্য করা যাবে শুধু করা যাবে না এদেশে যারা খারাপ মানুষ ভালো মানুষ হলেই সদস্য করবেন। যে আগ্রহ দেখাবে তাকে সদস্য করবেন কাউকে ফিরাবেন না। যত সদস্য বেশি করবেন ততই আমাদের দলসমৃদ্ধি হবে। বিশাল পরিষদে কাজ করতে পারবো।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামের সবচেয়ে বেশি ভূমিকায় রেখেছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলি। এত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার এত রক্ত ঝরিয়েছে রাজপথে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি। কখনো মাঠ থেকে পালিয়ে যায়নি।
যত মিথ্যা মামলা হয়েছে জেলে নিয়েছে হত্যা গুম হয়েছে তারপরও আমরা আন্দোলন ছেড়ে কোনদিন পালিয়ে যাইনি। জেলে নিয়েছে জেল খেটেছে মামলা হয়েছে ফেইস করেছি কিন্তু দেশ ছেড়ে পালায় নাই। আর যারা সিংহ পুরুষ ছিল। যারা গডফাদারদের অন্যতম ছিল, হুংকার দিত অনেক সুন্দর কাহিনী নিয়ে।
নারায়ণগঞ্জে তারা প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে রাজনীতি করেছে। অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। তারা কি সিংহ পুরুষ। যুদ্ধের মাঠে কারা পালিয়ে যায় কাপুরুষ। আর পালিয়ে যায় চোর ডাকাতরা।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিন তার লেফটেন্ট স্যারদের নিয়ে পালিয়েছে। সে একটা কাপুরুষ, সে একটা চোর, সে একটা ডাকাত, বাটপার এদশের এদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। গণহত্যা করেছে সে পালিয়ে গেছে এরা দেশে ফিরে আসতে পারে না। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তারা দেশ ছাড়া নাই।
নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে কিন্তু এমন ভাবে পালিয়ে যায় বিশ্বের ইতিহাসে আর কোথাও নাই। আবার তারা স্বপ্ন দেখছে এদেশে তারা ফিরে আসবে এ দেশকে দখল নিবে। তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের নাকি তারা শায়েস্তা করবে এখনো তারা মাতৃগর্ভে আছে।
নারায়ণগঞ্জের তিন, চার ও পাঁচ এই তিনটি আসন ছিল ওসমান পরিবারের হাতে। এই তিনটি আসনে শামীম পরিবার সন্ত্রাসী করতো। আর বাকি আসনে নিজস্ব এমপি বলে সন্ত্রাসী ছিল।
তারা অন্যায় অবিচার করেছে, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুনাম সূখেতি ধ্বংস করেছে কে যদি বলি একটাই পরিবার সে জোহা পরিবার। বাটপার, চোর, ডাকাত মিথ্যাবাদী অভিনেতা এই একটি পরিবার নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুনাম সুখেতি সব ধ্বংস করেছে।
কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ব এনপ র স র জন ত ক ম হ ম মদ সদস য হ র সদস য আম দ র প রব ন পর ব র করব ন রহম ন সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।