মায়ের অসুস্থতার খবর প্রকাশে ঋতুপর্নার অস্বস্তি
Published: 7th, July 2025 GMT
ছয়-সাত মাস আগে মা বসুপতি চাকমার অসুস্থতার খবর পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার ঋতুপর্না চাকমা। এরপরই মায়ের চিকিৎসা শুরু করে দেন তারা। ভেঙ্গে পড়বেন ভেবে মাকে অসুখের খবরটিও জানাননি।
অথচ মায়ের অসুস্থতা ও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ঋতুপর্না এমন খবর প্রকাশ করেছে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম। যা ঋতুপর্না ও তার পরিবারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে এবং পারিবারিক গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে সমকালের কাছে অভিযোগ করেছেন এই ফুটবলার।
ভুটান থেকে সমকালের কাছে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার ঋতুপর্না বলেন, ‘মা যে অসুস্থ আমি কাউকে বলিনি। কিছু মিডিয়া আমার বাড়িতে গিয়ে নিউজ করেছে। যার কারণে এটা প্রকাশ হয়ে গেছে। আমি কখনো বলতাম না মিডিয়াতে। কারণ মা-ই জানে না তার কী অসুখ।
অসুস্থ থাকা স্বত্ত্বেও মা আমাদের জন্য সবসময় চিন্তা করেন। এমনিতেই ভাই মারা যাওয়ার পর উনি অনেক ভেঙে পড়েছেন। এর উপর মিডিয়াগুলো দেখছি লিখেলে- টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না আমরা। এই জিনিসটা আমার অনেক খারাপ লেগেছে।’
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শেষে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল রোববার রাত ২টায় দেশে ফেরেন। এরপর বাফুফে রাত ৩টার পরে তাদের সংবর্ধনা দেয়। সোমবার সকালেই ভুটানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। ভুটানের এফসি পারোতে খেলছেন ঋতুপর্না। ক্লাবের অনুশীলন শুরু হওয়ায় দেশে ফিরে বিশ্রামও নিতে পারেননি তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।
সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।