দেশের বাজারে সোনার দাম এবার ভরিতে কমছে দেড় হাজার টাকা। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নতুন দর আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি আজ সোমবার রাতে সোনার দাম সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে বিশুদ্ধ সোনার দাম কমেছে। এ জন্য জুয়েলার্স সমিতির সোনার দাম নির্ধারণ ও তদারকি কমিটি দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ দর বলবৎ থাকবে।

সর্বশেষ ২ জুলাই সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বৃদ্ধি করে জুয়েলার্স সমিতি। তাতে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিপ্রতি বেড়ে হয় ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা।

গত ২৩ এপ্রিল সোনার দাম বাড়ায় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায় উঠেছিল। দেশের বাজারে সেটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।

জুয়েলার্স সমিতির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৮ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম কমে হবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯২ টাকা।

দেশের বাজারে আজ রাত পর্যন্ত প্রতি ভরি হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে কাল থেকে ২২ ক্যারেট সোনায় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ২৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ৯৬ টাকা দাম বাড়ছে।

সোনার দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮১১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৭২৭ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট

এছাড়াও পড়ুন:

যৌতুকের মামলায় মধ্যস্থতার বিধান পুনর্বিবেচনা দাবি

যৌতুক দাবি এবং যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের মামলা দায়েরের আগে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান যুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি এই বিধানকে নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০-এ নতুন ২১(খ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যৌতুক দাবি বা যৌতুকজনিত সাধারণ জখমের অভিযোগে মামলা দায়েরের আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে হবে। মধ্যস্থতা ব্যর্থ হলে, তবেই আদালতে মামলা করা যাবে।

মহিলা পরিষদ মনে করে, এই বিধান নারীর বিচার প্রাপ্তির পথকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করে তুলবে। বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার ফলে ভুক্তভোগী নারী আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এতে হয়রানির আশঙ্কা বাড়বে, অপরাধীরা উপকৃত হবে এবং সমাজে যৌতুকের মতো অপরাধের প্রতি সহনশীলতা তৈরি হবে।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, যৌতুক প্রতিরোধে দেশে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে এবং এটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে আইন স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যা অপরাধকে লঘু করে তোলে বা এর বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থান দুর্বল করে। এ অবস্থায় মহিলা পরিষদ সরকারের কাছে সংশোধিত ২১(খ) ধারা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ