ফরিদপুরে এনসিপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ
Published: 8th, July 2025 GMT
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা এসএম জাহিদ হোসেনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর শহরের আলিপুর এলাকায় তার নিজ বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এসএম জাহিদ এনসিপির ফরিদপুর জেলা কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়ক। তার ছেলে এসএম জুনায়েদ জিতু জেলা শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়ক।
জাহিদ জানান, দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে তিনটি লোহার দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে দুটি খালি কক্ষে ঢুকে স্টিলের আলমারি ভেঙে মালামাল তছনছ করে। এ সময় অন্য দুটি কক্ষে এনসিপি নেতা জাহিদ ও তার ছেলে শ্রমিক উইং এর প্রধান সমন্বয় জুনায়েদ অবস্থান করছিলেন। ভেতর থেকে আটকানো থাকায় ওই দুটি কক্ষের দরজা খুলতে পারেনি দুর্বৃত্তরা। পরে ফজরের আজান শুরু হলে এসএম জাহিদ জেগে ওঠা টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় তালা ভাঙার যন্ত্র ও দুই জোড়া স্যান্ডেল রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে এ ঘটনায় কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। ঘটনাটি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডির মাধ্যমে ঘটনার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘শান্তির জন্য ভূখণ্ড ছাড় নয়’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে শান্তিচুক্তি করার জন্য রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেবে না তারা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের চুক্তি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা হোয়াইট হাউসে একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লন্ডনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে কয়েক দিন ধরে টানা আলোচনা হয়। তবে যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি করা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এএফপির খবরে বলা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পাঠাতে পারেন তাঁরা। ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে রাশিয়া, কিন্তু আমরা কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেব না। ইউক্রেনের আইন, সংবিধান এমনকি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। নৈতিকভাবেও আমরা এটা করতে পারি না।’
রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেছেন, ইউক্রেনের সম্মুখসারির বিভিন্ন অংশে রুশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্কের কাছে অবস্থিত মিরনোহরাদকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। রাশিয়ার দাবি, তারা পোকরোভস্ক দখল করেছে। এর ফলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক—এই দুই প্রতিবেশী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুতিন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।