গ্রায়েম ক্রেমার জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালের ২২ মার্চ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর জীবনটা পাল্টে ফেলেন ক্রেমার। তত দিনে গলফের প্রতি তাঁর ভালোবাসা বেড়েছে। এ কারণে ক্রিকেটটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। পারিবারিক কারণও ছিল। তাঁর স্ত্রী মেরনা দুবাইয়ে একটি এয়ারলাইনের পাইলট। স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে তাই চলে গিয়েছিলেন আরব আমিরাতে। কিন্তু ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত ফিরে আসে তাঁর জীবনে।

আবারও ক্রিকেটের প্রেমে পড়ে এ বছরের শুরুতে ক্রেমার ফিরে যান জিম্বাবুয়েতে। সেখানে ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। উদ্দেশ্য ছিল আবারও জাতীয় দলে ফিরবেন। ৩৯ বছর বয়সী ক্রেমারের এ ইচ্ছা অবশেষে পূরণ হলো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯ অক্টোবর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ে। এই সিরিজের জন্য ক্রেমারকে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এর মধ্য দিয়ে সাত বছরের বেশি সময় পর জিম্বাবুয়ে দলের হয়ে আবারও মাঠে নামবেন ক্রেমার।

গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের যে দলটি আফ্রিকার আঞ্চলিক বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, সেই দলে মাত্র একটি পরিবর্তন এনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে তারা। পেসার ট্রেভর গুয়ান্ডুর জায়গায় নেওয়া হয়েছে ক্রেমারকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে হারারেতে।

আরও পড়ুনটেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদকে প্রশাসক বানিয়ে দিল পিসিবি১ ঘণ্টা আগে

ক্রেমার অর্ধযুগের বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফেরায় প্রশ্ন জাগতে পারে, টি-টোয়েন্টিতে দুটি ম্যাচ খেলার মাঝখানে সবচেয়ে বেশি দিন বিরতির রেকর্ড কার? সেটি বারমুডার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কাইল হডসলের। ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট কানাডার বিপক্ষে তাঁর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। সেই ম্যাচ খেলার ১৩ বছর ৯৭ দিন পর ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর বাহামাসের বিপক্ষে খেলেন হডসল।

ক্রেমারের জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে, চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে। ১৯ টেস্টে ৫৭ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। ৯৬ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১১৯ উইকেট ও ২৯ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৩৫ উইকেট।

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা ১০ অধিনায়ক২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তর জ ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় সাত তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাত তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। মঙ্গলবার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সেন্ট্রাল জাকার্তা পুলিশের প্রধান সুসাতিও পুরনোমো কনড্রো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগুন নেভানো হয়েছে এবং ভবনের ভেতরে আরো সম্ভাব্য হতাহতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, দুপুরের দিকে প্রথম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা উপরের তলায় ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কর্মচারী তখন ভবনে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, অন্যরা অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে।

কন্ড্রো বলেন, “এখনো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়ার এবং আগুন ঠান্ডা করার দিকে মনোনিবেশ করছি।”

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভবনটি টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার অফিস, যা খনি থেকে কৃষি খাতে ক্লায়েন্টদের সাথে আকাশ জরিপ কার্যক্রমের জন্য ড্রোন সরবরাহ করে।

কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে, কোম্পানিটি জাপানি ড্রোন ফার্ম টেরা ড্রোন কর্পোরেশনের ইন্দোনেশিয়ান ইউনিট।

কমপাস টিভির সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েক ডজন দমকলকর্মী ভবনের ভেতরে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং কেউ কেউ ভবন থেকে মৃতদেহের ব্যাগ বহন করছেন।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ