গাজায় আহত-অসুস্থদের চিকিৎসায় ইসরায়েলের বাধা
Published: 25th, October 2025 GMT
গাজায় হাজার হাজার আহত ও অসুস্থ মানুষ জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশে সরিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের কড়াকড়ি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত অনুমতির কারণে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলো এখনও রোগীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল নয়। চিকিৎসার অভাব, জরুরি ওষুধ ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং সীমিত লোকবল, সব মিলিয়ে হাসপাতালগুলো এখন বাঁচানোর জায়গা না হয়ে যেন মৃত্যুর করিডরে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য রোগী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
নাসের হাসপাতালে ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছে দুটি ১০ বছর বয়সী ছেলে—একজন ইসরায়েলি গুলিতে গলা থেকে নিচ পর্যন্ত পক্ষাঘাতে আক্রান্ত, আরেকজনের মস্তিষ্কে টিউমার।
নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও তারা দুজন সেই প্রায় ১৫ হাজার রোগীর মধ্যে আছেন, যাদের জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বিবিসির।
হাসপাতালে আবু সাঈদ আলতোভাবে তার ছেলে আমিরের চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, দক্ষিণ গাজার একটি তাঁবুতে থাকার সময় ইসরায়েলি ড্রোন থেকে ছোড়া একটি গুলি আমিরের গায়ে লাগে। গুলিটি তার মেরুদণ্ডের মাঝখানে আটকে আছে, ফলে সে এখন সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত।
আমিরের বাবা বলেন, “তার জরুরি অস্ত্রোপচার দরকার। কিন্তু বিষয়টি জটিল। চিকিৎসকেরা বলেছেন, অপারেশন করলে তার মৃত্যু, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি আছে। তাকে এমন জায়গায় অস্ত্রোপচার করতে হবে, যেখানে যথাযথ চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে গাজা সেই অবস্থায় নেই।” টানা দুই বছর যুদ্ধের পর এখানকার হাসপাতালগুলো এখন ভীষণ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
নিজের ছোট ভাই আহমেদ আল-জাদের শয্যার পাশে বসে তার বোন সাহদ বলেন, “দুই বছরের যুদ্ধ আর বাস্তুচ্যুত জীবনের পুরো সময়টাতেই ভাইটি ছিল তার একমাত্র সান্ত্বনা। তার বয়স মাত্র ১০ বছর। যখন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যেত, তখন সে বাইরে গিয়ে পানি বিক্রি করত, যাতে কিছু টাকা ঘরে আনতে পারে। কয়েক মাস আগে আহমেদের শরীরে অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।
আহমেদের মুখ একপাশে বেঁকে যেত।”
তিনি বলেন, “একদিন সে আমাকে বারবার বলছিল, আমার মাথা ব্যথা করছে। আমরা ভেবেছিলাম সামান্যই, তাই শুধু প্যারাসিটামল দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পর তার ডান হাতটা কাজ করা বন্ধ করে দেয়।”
আহমেদকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চান সাহদ।
তিনি বলেন, “তাকে হারাতে পারব না। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের বাবা, আমাদের ঘর আর আমাদের স্বপ্ন হারিয়েছি। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর একফোঁটা আশা পেয়েছিলাম—হয়তো এক শতাংশ সম্ভাবনাও আছে, আহমেদ বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবে।”
বুধবার (২২ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি শুরুর পর প্রথমবারের মতো গাজা থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এই অভিযানে ৪১ জন রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা ১৪৫ জন অভিভাবক বা সহযাত্রীকে ইসরায়েলের কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে বাইরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে করে তাদের জর্ডানে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন জর্ডানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাতিসংঘের এই সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় হাজার হাজার অসুস্থ ও আহত মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দ্রুত বড় পরিসরে চিকিৎসা সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন। ডব্লিউএইচও চায়, পূর্বের মতো গাজার রাফাহ সীমান্ত দিয়েও রোগীদের মিশরে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত—বিশেষ করে নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে না। ২০২৪ সালের মে মাসে যুদ্ধের সময় গাজার মিশরীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল এই পথটি বন্ধ রেখেছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, “সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হবে যদি ইসরায়েল গাজার রোগীদের দখলকৃত পশ্চিম তীরের হাসপাতালে বিশেষ করে পূর্ব জেরুজালেমে, চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেয়—যেমনটা যুদ্ধের আগে করা হতো।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা ও ২০টিরও বেশি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগেই এই আহ্বান জানিয়েছেন। তারা চিকিৎসা সরঞ্জাম, অর্থায়ন ও চিকিৎসাকর্মী পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন।
মাউন্ট অব অলিভসের অগাস্টা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডা.
ডা. ফাদির ভাষায়, “পূর্ব জেরুজালেমে রোগী পাঠানোই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও কার্যকর উপায়, কারণ এখানে আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে।”
বিবিসি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ইউনিট কো অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটোরিজ (কোগাট) কাছে জানতে চায়, কেন এই চিকিৎসা রুট পুনরায় অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। কোগাট জানায়, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তাই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে—যেখান থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক বছরে ১৪০ শিশুসহ অন্তত ৭৪০ জন রোগী, চিকিৎসার অপেক্ষায় থেকে মারা গেছে।
নাসের হাসপাতালের শিশু ও মাতৃ বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ আল-ফাররা বলেন, “একজন চিকিৎসকের জন্য সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত হলো—রোগ নির্ণয় করতে পারা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা বা চিকিৎসা দিতে না পারা। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে, আর দুঃখজনকভাবে আমাদের সীমিত সক্ষমতার কারণে প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে।”
যুদ্ধবিরতির পরও অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে এবং এখনও অনেকের অবস্থা গুরুতর বলেও তিনি জানান।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র আম দ র র জন য অবস থ আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু
বাগেরহাটে আগের মতো চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।
শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে বাগেরহাটে সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করা–সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন। গত ১২ নভেম্বর আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৬ নভেম্বর শুনানির জন্য ধার্য করেন। পাশাপাশি এ সময়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। এদিকে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় ৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশন ও গাজীপুর-৬ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ পৃথক লিভ টু আপিল করেন। গাজীপুর–৬ আসন থেকে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হাফিজুর রহমান এর আগে আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক লিভ টু আপিল ও আবেদনগুলো একসঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আজ শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন কমিশনের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। সরকার জাবেদ আহমেদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল আর সালাহ উদ্দিন সরকারের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গড়ে তোলে এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বাগেরহাট জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. শেখ মাসুদ রানা রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে ১০ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, বাগেরহাটে আগে চারটি আসন ছিল, একটি কমিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছিল। বাগেরহাট-৪ আসন কেটে গাজীপুর-৬ আসন করা হয়েছিল। ১৯৭২ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা উপজেলা নিয়ে এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলা নিয়ে।
হাইকোর্টের রায়ে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়, সর্বশেষ ২০২২ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১ জুলাই উল্লেখিত গেজেট অনুসারে আগের মতো সংসদীয় আসন নম্বর ৯৫ (বাগেরহাট-১), আসন নম্বর ৯৬ (বাগেরহাট-২), আসন নম্বর ৯৭ (বাগেরহাট-৩) এবং আসন নম্বর ৯৮ (বাগেরহাট-৪) পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
রায়ে বলা হয়, রিট আবেদনে সংযুক্ত গত ৪ সেপ্টেম্বরের গেজেট নোটিফিকেশনের (ইসির প্রজ্ঞাপন) সংসদীয় আসন নম্বর ৯৫ (বাগেরহাট-১), আসন নম্বর ৯৬ (বাগেরহাট-২), আসন নম্বর ৯৭ (বাগেরহাট-৩) এবং আসন নম্বর ১৯৮ (গাজীপুর-৬) গঠনসম্পর্কিত অংশটুকু অবৈধ, আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত ঘোষণা করা হলো।