পাখিরা কখনও গাছের উঁচু  শাখাতে বাসা বাঁধে আবার কখনও নিচু শাখাতে বাসা বাঁধে। গাছের কোথায় বাসা বাঁধছে, এই দেখেই কৃষকেরা বুঝতে পারেন বর্ষাকালে বৃষ্টি বেশি হবে নাকি কম হবে।

জানা যায়, পাখি গাছের উঁচুতে বাসা বাঁধলে এর অর্থ কম বৃষ্টি হবে। পাখি গাছের নিচের দিকে বাসা বাঁধলে তার অর্থ প্রচুর বৃষ্টি হবে।–এ হলো আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার এক প্রাচীন পদ্ধতি। এখনও এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ভারতের ধারাশিভ এলাকার কৃষকেরা কাজ করে চলেছেন।

আরো পড়ুন:

১১০০ কোটি টাকা বাজেট: আইটেম কন্যা পূজার পারিশ্রমিক কত?

‘কানতারা টু’ সিনেমার আয় ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা

এলাকাটিতে খুব কম বৃষ্টিপাত হয়। তারমধ্যেও স্থানীয় কৃষকেরা ঠিকই তাদের জমিতে ঠিকই ফসল ফলান। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা এই কৌশল রপ্ত করেছেন। কিন্তু গত এক বছরে এই অঞ্চলে আচমকা ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। আখ এবং সয়াবিন এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ফসল। 

ওই অঞ্চলে নারী কৃষকেরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য জমির এক মাটি খুঁড়ে পানি সংরক্ষণ করেন তারা। এই পদ্ধতিতে এক ফসলি চাষাবাদ ছেড়ে একাধিক ফসল ফলাতে পারছেন। 

এই অঞ্চলের এক নারী কৃষক সংঘমিত্রা। তিনি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করেন না, বরং নিজেই প্রয়োজনীয় সার উৎপাদন করেন। ‘এসএসপি’ থেকে তিনি এই চাষ পদ্ধতি শিখেছেন। এই সংগঠনটি বিশ বছরের বেশি সময় ধরে নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে। নারী কৃষকেরা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে চাষাবাদ শিখছেন। 

এখানকার নারীরা কৃষিকাজ করেন। ফসল তোলা শেষ হলে তাদের স্বামীরা সেই ফসল বাজারে বিক্রি করেন। নারীদের লাভ শূন্য। নারীরা যাতে পরিবারের কাজ থেকে জমির অধিকার পেতে পারেন, সে ব্যাপারে সাহায্য করে আসছে কিছু সংগঠন। সংগঠনের প্রচেষ্টায়- এই জেলায় দুই শতাংশ নারী তাদের নিজেদের নামে জমি পেয়েছেন। 

কিরণ মানে, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এসএসপি বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, নারীরা যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকেন এবং আয় করেন তাহলে পুরো পরিবার উপকৃত হবেন। এবং নারীরাও কর্মব্যস্ত থাকবে। তাই আমি প্রতিটি পরিবারের পুরুষ কৃষকদের বলা শুরু করলাম-আপনার কাছে দশ একর জামি থাকলে তার এক একর নারীকে নিজের মতো করে চাষ করতে দিন। ’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানের রুমায় জঙ্গলে বম যুবকের লাশ, মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন

বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ময়ূরপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে লালরাম সাং বম (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে উদ্ধার করা লাশটি আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের (বিএমসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে ময়ূরপাড়ার উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে লাশটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিন আগে তাঁকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশে পচন ধরেছে।

স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর লোকজন লাশটি লালরাম সাং বমের বলে শনাক্ত করেন। তাঁর বাড়ি রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের কেওক্রাডং পাহাড় পেরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা চুংসংপাড়ায়। চুংসংপাড়া থেকে ময়ূরপাড়ার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। স্থানীয় লোকজন জানান, লালরাম সাং বম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, লাশের মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন, স্থানীয় লোকজনের সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় গলিত লাশটি উদ্ধার করে। শনাক্তের পর চুংসংপাড়ায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওই এলাকায় মুঠোফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কে বা কারা এবং কেন তাঁকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ