ব্র্যাক ব্যাংক ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে ব্যাংকিং সেবা দেবে
Published: 25th, October 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাদের কাস্টমাইজড এমপ্লয়ি ব্যাংকিং সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক। এ ব্যাপারে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্প্রতি একটি চুক্তি হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের আকর্ষণীয়, ঝামেলাহীন ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন, যেখানে রয়েছে স্যালারি অ্যাকাউন্ট, মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ঋণসুবিধা, ডিপিএস, ফিক্সড ডিপোজিটসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারেক রেফাত উল্লাহ খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক শামস রহমান, ট্রেজারার ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, অর্থ পরিচালক তোহিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মাশফিকুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মো.
ব্র্যাক ব্যাংক জানায়, উদ্ভাবনী ও সুবিধাজনক আর্থিক সেবার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির ব্যাপারে তাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তারই প্রতিফলন হচ্ছে এই চুক্তি। ব্র্যাক ব্যাংক আধুনিক ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ ও কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান শাহর মৃত্যু: মুখ খুললেন মর্গকর্মী সেকান্দার
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অপমৃত্যুর মামলা এখন রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। সেই সূত্রেই সামনে আসছে একের পর এক অজানা তথ্য। এবার আলোচনায় এসেছেন সালমান শাহর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন মর্গকর্মী সেকান্দার (বর্তমানে রমেশ নামে পরিচিত)।
সেই ভয়াবহ দিনের স্মৃতি এখনও ভোলেননি তিনি। এক সাক্ষাৎকারে আবেগভরে রমেশ বলেন, “আমার প্রিয় নায়কের বুকে আমি নিজেই ছুরি চালাই। ফরেনসিক চিকিৎসকের নির্দেশে সবকিছু করতে হয়েছিল, কিন্তু কাটতে কাটতে বিশ্বাস হচ্ছিল না—সালমান সত্যিই মারা গেছেন।”
সেকান্দার জানান, সালমান শাহর মৃত্যুর দিন ছিল শুক্রবার। “সেদিন মর্গের সামনে হাজারো মানুষ কান্না করছিল। সবাই তাদের প্রিয় নায়কের শেষ দেখা পাওয়ার আশায় ভিড় জমিয়েছিল। আমি নিজেও সালমানের ভক্ত ছিলাম। যখন মরদেহ আনা হলো, মনে হচ্ছিল আমি প্রিয় মানুষকে হারিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “তখন ঢাকা মেডিকেলের মর্গ আধুনিক ছিল না। পুরনো জায়গাতেই ময়নাতদন্ত করতে হয়েছিল। চিকিৎসকের নির্দেশে কাজ শুরু করি, কিন্তু ছুরি চালানোর সময় হাত কাঁপছিল। মনে হচ্ছিল, যেন নিজের প্রিয় মানুষকে আঘাত করছি।”
৩৫ বছরের চাকরি শেষে এখন অবসর জীবনযাপন করছেন সেকান্দার। তিনি বলেন, “আমার জীবনে হাজার হাজার লাশের ময়নাতদন্ত করেছি, কিন্তু সালমান শাহর মরদেহে হাত দেওয়ার অভিজ্ঞতা আজও ভোলা সম্ভব হয়নি।”
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। প্রথমে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলা হলেও পরিবার শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল এটি হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ ২৮ বছর পর, চলতি বছরের ২০ অক্টোবর আদালত সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সালমান শাহর মৃত্যু আজও এক অনির্ণেয় রহস্য—যার উত্তর খুঁজে ফিরছেন কোটি ভক্ত, আর যার স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় মর্গকর্মী সেকান্দারের মতো মানুষকেও।
ঢাকা/রাহাত