Prothomalo:
2025-10-25@01:39:45 GMT

বিড়াল বিলাস

Published: 25th, October 2025 GMT

সাদা বিড়ালের মতো নরম তুষার বইছে বাইরে—
নিঃশব্দ ম্যান্টলে গরম কফির মগ,
আপেলের লাল ফালি
জাগতিক বিলাসিতা

এত অভিমান কেন তোমার! ঔদ্ধত্য
অনেক দূরের পথ—

পরিচিত রাস্তা দূরের হলেও কাছের মনে হয়

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাপ আসে, জোয়ারের পানি উঠে , অযত্নে কমিউনিটি ক্লিনিক

কমিউনিটি ক্লিনিক এখন অযত্ন, অবহেলার শিকার। কোনো কোনোটির ছাদ ও দেয়াল খসে পড়ছে। কোনোটিতে যাওয়া-আসার রাস্তা নেই। আবার কোনোটিতে জোয়ারের পানি ঢোকে। বাস্তবতা হলো, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর এ চিত্র ধরা পড়েছে। সাংবাদিকেরা দেখেছেন, অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের গ্লুকোমিটার কাজ করে না। কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী নেই। অন্তত একটি এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হয়।

প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা গত আগস্ট মাসের শেষ দুই সপ্তাহে দেশের ৮ বিভাগের ৮ জেলার ৩২টি ক্লিনিক সরেজমিন ঘুরে দেখেছেন, অনেক ক্লিনিকে যাওয়ার রাস্তা নেই, কিছু বর্ষাকালে পানিতে ডুবে থাকে, কিছু ক্লিনিক ভাঙাচোরা, কয়েকটি ক্লিনিকের টয়লেট খারাপ, প্রায় সব ক্লিনিকের গ্লুকোমিটার যন্ত্র অলস পড়ে আছে। ক্লিনিকগুলোতে জনবলের সংকট আছে, আছে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ। বস্তুত কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামের মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।

এই ৮ জেলা হচ্ছে পঞ্চগড়, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ ও নওগাঁ। এ ছাড়া খুলনাসহ আরও কিছু জেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা জানা গেছে মুঠোফোনে কথা বলে।

প্রথম আলোর সাংবাদিকেরা ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা মানুষের মতামত নিয়েছেন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি) সঙ্গে কথা বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের বক্তব্য নিয়েছেন। প্রায় সব ক্ষেত্রেই অসন্তুষ্টি দেখা গেছে।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর এ চিত্র ধরা পড়েছে। সাংবাদিকেরা দেখেছেন, অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের গ্লুকোমিটার কাজ করে না। কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী নেই। অন্তত একটি এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হয়।

কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার মূল দায়িত্ব সিএইচসিপির। তাঁরা সরকারের রাজস্ব খাতের ১৬তম গ্রেডের কর্মী। সিএইচসিপিকে সহায়তা করেন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবারকল্যাণ সহকারী। তাঁরাও রাজস্ব খাতের একই গ্রেডের কর্মী। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকে কোনো আয়ার পদ নেই। বিদ্যুৎ বিল সরকার দেয় না। কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যের কমিউনিটি গ্রুপ থাকে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, জমিদাতা, সিএইচসিপি এই গ্রুপের সদস্য। গ্রুপটি স্থানীয়ভাবে তহবিল গঠন করে আয়ার বেতন ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে।

মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। ২০০১ সালের পর কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পরে ২০০৯ সালে আবার চালু হয়। সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৬০।

এসব ক্লিনিক থেকে ২২ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দৈনিক গড়ে পাঁচ লাখ মানুষের এসব ক্লিনিক থেকে সেবা পাওয়ার কথা। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে কমিউনিটি ক্লিনিকের নাম পাল্টে ‘গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র’ করার সুপারিশ করেছে।

প্রথম আলোর পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান আগস্টে বলেছিলেন, প্রায় ১০ শতাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের অবস্থা খারাপ, এগুলোর সংস্কার দরকার। সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রতিটি ক্লিনিকে ওষুধ নিয়মিতভাবে পাঠানো হচ্ছে।

প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা গত আগস্ট মাসের শেষ দুই সপ্তাহে দেশের ৮ বিভাগের ৮ জেলার ৩২টি ক্লিনিক সরেজমিন ঘুরে দেখেছেন, অনেক ক্লিনিকে যাওয়ার রাস্তা নেই, কিছু বর্ষাকালে পানিতে ডুবে থাকে, কিছু ক্লিনিক ভাঙাচোরা, কয়েকটি ক্লিনিকের টয়লেট খারাপ, প্রায় সব ক্লিনিকের গ্লুকোমিটার যন্ত্র অলস পড়ে আছে। ক্লিনিকগুলোতে জনবলের সংকট আছে, আছে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ।

তবে গতকাল শুক্রবার খুলনার দাকোপ উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মে মাসের পর ওই উপজেলার ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ পৌঁছায়নি। একটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কাছে প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছু নেই। গ্রামের মানুষ এলে শুধু প্যারাসিটামল দিচ্ছেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা দিচ্ছেন আর দুঃখ প্রকাশ করছেন।

চারদিকে পানি জমায় কমিউনিটি ক্লিনিকটিতে যাওয়ার উপায় নেই। ফলে গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে চলে ক্লিনিকের কার্যক্রম। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার কায়েতকান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ