৯৩ বছরে মারা গেলেন থাইল্যান্ডের সাবেক রানি সিরিকিত
Published: 25th, October 2025 GMT
থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্নের মা রানি সিরিকিত ৯৩ বছর বয়সে মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২১ মিনিটে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে থাই রয়েল হাউসহোল্ড ব্যুরো।
রানি সিরিকিতের দেহ ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্যালেসের দুসিত থ্রোন হলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সংরক্ষিত থাকবে। থাই রাজপরিবারের সদস্যরাও এক বছর শোক পালনে থাকবেন।
রানি সিরিকিত দীর্ঘদিন নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১২ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তিনি খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হতেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৭ অক্টোবর রক্তে সংক্রমণ দেখা দিলে চিকিৎসকরা নিবিড় পরিচর্যা করেন, তবে অবস্থা উন্নতি হয়নি।
থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল রানী সিরিকিতের মৃত্যুর কারণে মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য তার সফর বাতিল করেছেন।
রানি সিরিকিত ছিলেন থাইল্যান্ডে অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্বামী- ছেলের মর্যাদা থাকলেও দেশের মানুষ তাকে সম্মান ও ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছিল। তার জন্মদিন ১২ আগস্ট ‘মাদার্স ডে’ হিসেবে উদ্যাপিত হত।
সিরিকিত থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম সময়ের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের স্ত্রী ছিলেন। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজত্বকারী ভূমিবল ২০১৬ সালে মারা যান।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে কাবাডি খেলায় হাজারো দর্শক, ফিরে এলো হারানো ঐতিহ্য
গ্রামবাংলার মাঠে-মাঠে একসময় জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হতো কাবাডি বা হাডুডু খেলা। সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক খেলাধুলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলাদেশের এই জাতীয় খেলা। তবে দীর্ঘদিন পর সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহাসিক চেঙ্গাকান্দী গ্রামের তরুণরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চেঙ্গাকান্দী বালুর মাঠে আয়োজিত হয় এক চমৎকার কাবাডি প্রতিযোগিতা। আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শক মাঠে ভিড় জমান। দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা যেন ফিরে এসেছে গ্রামবাংলার সেই সোনালি দিন।
খেলার আয়োজক শরীফ বলেন, হাডুডু আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এই আয়োজন করেছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় আজ তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় লাল দল ও নীল দল মুখোমুখি হয়। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচে দুই দলই সমানভাবে জয় ভাগাভাগি করে নেয়।
খেলা দেখতে আসা স্থানীয় দর্শক মো. সিদ্দিক বলেন, এখন সবাই ক্রিকেট আর ফুটবলে ব্যস্ত। কিন্তু কাবাডিই তো আমাদের শিকড়ের খেলা। আজ এত মানুষ দেখে মনে হলো পুরোনো সময় ফিরে এসেছে।
দর্শক তারা মিয়া বলেন, এই খেলা আমাদের গ্রামের মানুষকে একসাথে করে। আজকে ছেলেমেয়েরা, বৃদ্ধ সবাই মিলে মাঠে এসেছে এটাই তো আসল আনন্দ। এমন আয়োজন বারবার হলে গ্রামের সংস্কৃতি টিকে থাকবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বারদী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী বলেন, কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ তা হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা গেলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে এবং ঐতিহ্য টিকবে।”
কাবাডি খেলোয়াড় শুক্কুর আলী বলেন, “কাবাডিতে এখনো অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা উঠে আসতে পারে না। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয়, কাবাডি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জাকির সরকার এবং উদ্বোধক ছিলেন এডভোকেট সানাউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি বারাকাহ হাসপাতালের পরিচালক ড. আবদুল মালেক।
উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশেই কাবাডির উৎপত্তি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় এবং এটিকে জাতীয় খেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।