মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে গতকাল সন্ধ্যায় টাস্ক ফোর্সের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মোট ৭ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বৈধ কাগজপত্র ছিল না।

সাম্প্রতিক সময়ে মালদ্বীপ সরকার অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে টানা অভিযান চলছে। অভিযানের সময় অনেক অভিবাসী আতঙ্কে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যান।

এদিকে প্রবাসীদের একাংশ অভিযোগ করছেন, কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেককে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, “আমরা অনেক টাকা খরচ করে বৈধ কাগজপত্র তৈরি করেছি। কিন্তু তারপরও শুধু কর্মস্থল পরিবর্তনের অজুহাতে আমাদের আটক করা হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা বন্ধের ঝুঁকিতে’

লিবিয়া থেকে ফিরছেন আরো ১৭৭ বাংলাদেশি

তারা আরো বলেন, “সরকার যদি নির্দিষ্ট এজেন্সির নামের বাইরে অন্য স্থানে কাজ করতে না দেয়, তাহলে সেই এজেন্সিগুলোকে ভিসার সুযোগ দেওয়া হয় কেনো?”

প্রবাসীদের দাবি, বাংলাদেশ সরকারের উচিত মালদ্বীপের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি করা- যাতে বৈধ কাগজপত্র থাকলেই অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, তারা কোথায় কাজ করছেন সেটি ভিত্তি করে নয়।

অভিবাসীদের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবায়নের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ও মর্যাদাসম্পন্ন জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করা এখন সময়ের দাবি।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ ব স ক গজপত র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। সকালে স্ট্যান্ড থেকে কোনো অটোরিকশা ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

একাধিক যাত্রী জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় তারা টমটম নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তার মধ্যে অটোরিকশার চালকরা টমটম থামিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন। আমাদের ৫২টি অটোরিকশা জব্দ করা রয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ

কুড়িগ্রামে সেতুর পাটাতন দেবে আটকে গেল ট্রাক, যান চলাচল বন্ধ

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মালিক-চালকেরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের পদে পদে হয়রানি করা হচ্ছে।’’  

অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের জব্দকৃত অটোরিকশা নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে। পারমিট অনুযায়ী আমাদের জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।’’ 

দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতারা। 

শনিবার (২৬ জুলাই) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা। 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছেন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা চাচ্ছেন, তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। এটা তো হয় না।’’ 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চলকদের ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তি 
  • বাংলাদেশ সীমান্তের জন্য ৫ হাজার বডিক্যাম পাচ্ছে বিএসএফ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ