রাজধানীতে তিন সমাবেশ, ১৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন
Published: 3rd, August 2025 GMT
রাজধানীর পৃথক স্থানে রবিবার (৩ আগস্ট) তিনটি সংগঠনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো.
তিনি বলেছেন, “নিরাপত্তা রক্ষায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরেও সাদা পোশাকে অনেক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। আমরা কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখছি না।”
রবিবার ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী সমাবেশের আয়োজন করেছে।
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান: শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে শাহবাগ মোড়ে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছাত্র সমাবেশ করা হচ্ছে।
জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমাবেশ হবে।
অন্যদিকে, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে ১ থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট: জুলাই জাগরণ’ শীর্ষক আয়োজন চলছে।
এ তিনটি আয়োজনে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে। তাই, পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫