জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুবদলের ৭৮ শহীদ পরিবারের সম্মাননা কাল
Published: 3rd, August 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো যুবদলের ৭৮ শহীদ পরিবারকে এই অনুষ্ঠান থেকে দেওয়া হবে সম্মাননা, উপহার ও আর্থিক অনুদান।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান হবে। আজ রোববার দুপুরের দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, আগামীকালের অনুষ্ঠানে কোনো সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন হবে না। বরং জুলাই শহীদদের সম্মান জানাতেই এই আয়োজন।
শহীদ পরিবারের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সম্মাননা জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন আবদুল মোনায়েম।
যুবদলের সভাপতি বলেন, এ ছাড়া চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানকে গতিশীল ও বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সংগঠিত করে ফ্যাসিবাদের পতন ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখা যুবদলের ১২ জন প্রবাসী নেতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। পাশাপাশি যুবদলের ছয়জন নেতাকে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে। জুলাই আন্দোলন চলাকালে দায়িত্ব পালনকারী সব মহানগর ও জেলা ইউনিটের নেতাদের দেওয়া হবে সম্মাননা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছয়টি বিশেষ স্থানে ইতিমধ্যে যুবদল গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। আবদুল মোনায়েম বলেন, আগামীকালের অনুষ্ঠান সামনে রেখে যুবদলের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীর ১০টি আর্ট স্কুলের প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শীর্ষ ৫০ জনকে আগামীকাল কৃতিত্বের সনদ ও উপহারসামগ্রী দেবে যুবদল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জুলাই–আগস্টকে যারা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘আপনারা নিজেদের কণ্ঠকে সংযত করুন। কারণ, রাজনীতিতে সব সময় দুইয়ে-দুইয়ে চার হয় না। রাজনীতির মাঠ গরমের চেষ্টা করবেন না। যুবদল জনগণের পালস বুঝে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক এনামুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ম ন য় ম আগ ম ক ল অন ষ ঠ ন য বদল র
এছাড়াও পড়ুন:
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে ৫ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
যৌথ সভা শেষে জানানো হয়, ৭ নভেম্বর সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিএনপির কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় জাতীয় নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা–কর্মী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে একই দিন বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। এর আয়োজক ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই দিন বিএনপির উদ্যোগে র্যালি আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে আছে—
শ্রমিক দল: ৫ নভেম্বর আলোচনা সভা।
ছাত্রদল: ৮ নভেম্বর আলোচনা সভা। ৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
ওলামা দল: ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
তাঁতী দল: ১০ নভেম্বর আলোচনা সভা।
কৃষক দল: ১১ নভেম্বর আলোচনা সভা।
জাসাস: ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া ১২ নভেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরে ডকুমেন্টারি (ভিডিও ও স্থিরচিত্র) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনা ও জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে এ দিবসের গুরুত্ব আজও অনস্বীকার্য।