কক্সবাজারের টেকনাফে শরীরের বিশেষ স্থানে লুকিয়ে দুই হাজার ইয়াবা পাচারের সময় বিএনপির এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। নূর মোহাম্মদ (৪৯) নামের ওই নেতা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আটক নূর মোহাম্মদ টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার মো. ইউছুফ আলীর ছেলে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। লে.

কর্নেল জসীম উদ্দিন বলেন, আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইমামের ডেইল এলাকার তল্লাশিচৌকিতে বিজিবির সদস্যরা নিয়মিত তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে টেকনাফ থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা যাত্রী নূর মোহাম্মদের আচরণ বিজিবির সদস্যদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পায়ুপথে ইয়াবা থাকার তথ্য স্বীকার করেন। এরপর বিশেষ কৌশলে কালো রঙের দুটি প্যাকেট তাঁর শরীর থেকে বের করা হয়। প্যাকেট দুটি খুলে পাওয়া যায় দুই হাজার ইয়াবা বড়ি।

লে. কর্নেল জসীম উদ্দিন বলেন, টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির জন্য কক্সবাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে আটক নূর মোহাম্মদ তথ্য দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাসান সিদ্দিকী বলেন, নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহমদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া তিনি ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তবে কমিটির এখনো অনুমোদন হয়নি। সংগঠনবিরোধী কাজ করার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আটক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ম হ ম মদ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ