বহু বছর বিচ্ছিন্ন থাকার পরও পুরোনো নারীসঙ্গীদের খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে গরিলারা
Published: 6th, August 2025 GMT
পূর্বাঞ্চলীয় গরিলার উপপ্রজাতি নারী পর্বত গরিলাদের (মাউন্টেন গরিলা) গড়ে ওঠা সম্পর্ক আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রুয়ান্ডায় পরিচালিত নতুন এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটি নারী গরিলা যখন নতুন কোনো দলে যোগ দেয়, তখন সে আগের পরিচিত কোনো নারী গরিলার সঙ্গ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে।
রুয়ান্ডার ভলকানো ন্যাশনাল পার্কে ২০ বছর ধরে বিভিন্ন গরিলা দলের ওপর সংগৃহীত তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল প্রসিডিংস বি-তে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, গরিলাসমাজে দুটি আলাদা নারীর মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, দুটি নারী গরিলা অনেক বছর আলাদা থাকার পরও নতুন আসা কোনো গরিলা তার পূর্বপরিচিত সঙ্গীর সঙ্গে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গবেষণা দলের প্রধান গবেষক ও জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ভিক্টোয়ার মার্টিগন্যাক বলেন, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে জানি না, একে বন্ধুত্ব বলা ঠিক হবে কি না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একই লিঙ্গের এই সম্পর্কগুলো আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
সামাজিক কাঠামো গঠনে প্রাণীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে থাকে। নারী ও পুরুষ উভয়ই এটা করে। নারীরা কখনো কখনো তাদের জীবনে বেশ কয়েকবার দল পরিবর্তন করে। এই ‘স্থানান্তর’ বা বিচরণ একদিকে যেমন আত্মীয়ের সঙ্গে প্রজনন এড়াতে সাহায্য করে, তেমনি জেনেটিক বৈচিত্র্য বজায় রাখে এবং সামাজিক সম্পর্ক গঠনেও ভূমিকা পালন করে।
গবেষক ভিক্টোয়ার মার্টিগন্যাক বলেন, ‘বন্য পরিবেশে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটা নিয়ে গবেষণা করা বেশ কঠিন। কারণ, একবার কেউ দল ছেড়ে গেলে তাদের খোঁজ রাখা অনেক কঠিন।’
সামাজিক কাঠামো গঠনে গরিলারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে থাকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র
চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।
ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।
এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।