জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে রাজধানী ঢাকায় ‘বিজয় র‍্যালি’ করবে বিএনপি। আজ বুধবার বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হওয়ার কথা। কর্মসূচি ঘিরে ঘণ্টা দেড়েক আগে থেকেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

মাথায় নানা রঙের ক্যাপ পরে, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে নয়াপল্টনে হাজির হয়েছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে এসেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও এসেছেন অনেকে।

আরও পড়ুনফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা ঐতিহাসিক, গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করবে: বিএনপি৪৪ মিনিট আগে

বিএনপি ছাড়াও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।

বিজয় র‍্যালি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর, পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।

কর্মসূচিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা। এ ছাড়া র‍্যালিতে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে এ র‍্যালির মাধ্যমে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলনকে আরও বেগবান করার বার্তা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুননির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ১৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ত কর ম র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান কোনো দলীয় নয়, জাতীয় বিবেকের জাগরণ: আনিসুল ইসলাম ও মুজিবুল হক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তাঁরা বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো দলীয় নয়, এটি জাতীয় বিবেকের জাগরণ। এটি কেবল সরকারের পতন নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার নিশ্চিত করার সংগ্রাম।

৫ আগস্ট ঐতিহাসিক ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে দলের এ দুই জ্যেষ্ঠ নেতা এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গণ-অভ্যুত্থানের এই চেতনা অটুট থাকবে, এই সংগ্রাম সফল হবে এবং এই বাংলাদেশ একদিন পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের মতো সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ৫ আগস্ট ইতিহাসের সেই গৌরবময় দিন, যেদিন বাংলাদেশের সাহসী ছাত্রসমাজ, সাধারণ মানুষ, শিল্পী-সাহিত্যিক, আইনজীবী, প্রবাসী এবং সর্বস্তরের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে অন্যায়, দুর্নীতি, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার দীর্ঘকালীন কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল, তা এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। এটি ছিল বাংলাদেশের মানুষের জাগরণের দিন, এটি ছিল নতুন আশার শপথের দিন। জাতীয় পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বিপ্লব, যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্র-জনতা রক্তে ও ঘামে ইতিহাস লিখেছেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই সব শহীদকে, যাঁরা জুলাই গণহত্যার নির্মম শিকার হয়েছেন। আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই সেই সব সংগ্রামীর প্রতি, যারা পরিবার, ক্যারিয়ার, জীবনের নিশ্চয়তা বিসর্জন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় অবিচল ছিলেন।’

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ দুই নেতা অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করেন। তাঁরা সরকার জনগণের সেবক আর জনগণ হবে প্রকৃত মালিক—এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন বলে জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঐক্যবদ্ধ থাকুন, মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয়: তারেক
  • আমার জুলাই সনদ
  • ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা ঐতিহাসিক, গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করবে: বিএনপি
  • আওয়ামী লীগ সরকার পতনের বর্ষপূর্তিতে ‘সাদা দলের’ বিজয় র‌্যালি
  •  বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদের জায়গা হবে না : মামুন মাহমুদ
  • গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে
  • যশোরে একই সময়ে পাশাপাশি স্থানে সমাবেশ করে বিএনপি ও জামায়াতের ‘শক্তির মহড়া’
  • শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে : সাখাওয়াত 
  • জুলাই গণ–অভ্যুত্থান কোনো দলীয় নয়, জাতীয় বিবেকের জাগরণ: আনিসুল ইসলাম ও মুজিবুল হক