গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতিতে জয়পুরহাটে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিলে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বদলে কয়েকবার ‘ভুল করে’ খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার পর জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এরপর জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন দলের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মুহা.

হাসিবুল আলম।

এর আগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, গতকাল জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের যে গণমিছিল হয়েছে, সেখানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দিয়েছেন ভালো কথা, আমরাও দিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত মজলুম নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদার ফাঁসি চাইলেন কোন যুক্তিতে? এটা কি প্রতিহিংসার স্লোগান নাকি রাজপথ উত্তপ্ত করার কৌশল মাত্র? নাকি ভুল? দয়া করে যদি এই স্লোগানের সঠিক ব্যাখ্যাটা আপনারা জানাতেন, আমার মতো লাখ লাখ খালেদা জিয়ার ভক্ত উপকৃত হতো।’

এ বিষয়ে জামায়াত নেতা মুহা. হাসিবুল আলম বলেন, ‘স্লোগানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানানো হয়। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আপসহীন নেত্রী, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফাঁসির দাবি উচ্চারিত হয়েছে। যা ভুল করে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে আপসহীন নেত্রী তাঁরা সেটি মেনে নিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

আধুনিক মোটরসাইকেলের জন্ম আজ

একটু আগে রাজধানী ঢাকার বনানী থেকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো অফিসে মাত্র ২০ মিনিটে চলে আসি। রাস্তায় যানজট থাকার পরেও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে রাস্তায় দ্রুতগতির মোটরসাইকেল পাই। রাস্তায় এখন নানা ধরনের মোটরসাইকেল দেখা যায়। এই মোটরসাইকেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৮৫ সালের ১০ নভেম্বর। প্রায়ই প্রথম আধুনিক মোটরসাইকেল হিসেবে বিবেচিত ডেমলার রাইটওয়াগেনের প্রথম পরীক্ষামূলক চালনাকে মোটরসাইকেলের জন্মদিন ধরা হয়।

রাইটওয়াগেন উদ্ভাবন করেছিলেন গটলিব ডেমলার ও উইলহেম মেব্যাখ। প্রথম দ্বিচক্রযান হিসেবে এতে গ্যাসোলিনকে অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়। এর আগে ১৮৬৭ সালের পেরো ও রোপার বা ১৮৮৪ সালের কোপল্যান্ডের মতো মোটরসাইকেলে বাষ্প শক্তি ব্যবহার করতে দেখা যায়। ডেমলারের রাইটওয়াগেনের ইঞ্জিন ব্যবহারকারী স্থল, সমুদ্র বা আকাশযানের পথপ্রদর্শক হিসেবে ধরা হয়। রাইটওয়াগেনে রাবারের ব্লকের ওপর একটি ২৬৪ কিউবিক সেন্টিমিটারের একক সিলিন্ডার ফোর–স্ট্রোক ইঞ্জিন বসানো হয়। এতে দুটি লোহার তারযুক্ত কাঠের চাকা ও ভারসাম্যের জন্য স্প্রিংসহ এক জোড়া চাকা ছিল।

ঐতিহাসিক প্রথম পরীক্ষামূলক চালনায় চালকের আসনে ছিলেন ১৭ বছর বয়সী পল ডেমলার। পল উদ্ভাবক গটলিব ডেমলারের ছেলে। জার্মানির ক্যানস্ট্যাট থেকে উন্টারটুর্কহেইম পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালান তিনি। সেই যাত্রাকে কার্যকরভাবে বিশ্বের প্রথম বাইক রাইড বলা হয়। পৃথিবীর প্রথম বাইকার পল সেই সময়ে ৩ দশমিক ১ থেকে ৭ দশমিক ৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে ভ্রমণ করেছিলেন। যাত্রাপথে ইঞ্জিনের ঠিক নিচে থাকা হট টিউব ইগনিশনের কারণে তাঁর আসনে একবার আগুন ধরে গিয়েছিল।

যদিও রাইটওয়াগেন নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। এটিকে প্রথম মোটরসাইকেল বলতে অনেক ইতিহাসবিদ দ্বিধা করেন। বড় চাকার সঙ্গে সেই যানে এক জোড়া ছোট চাকা ছিল। আবার অনেকে এনরিকো বার্নার্দির ১৮৮২ সালের এক সিলিন্ডার পেট্রলচালিত ট্রাইসাইকেল মোট্রিস পিয়াকে প্রথম অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিনযুক্ত যান হিসেবে গণ্য করেন।

সূত্র: অটোমোটিভ হিস্টোরি

সম্পর্কিত নিবন্ধ