বন্দরে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা
Published: 7th, August 2025 GMT
বন্দরে হাজরাদী বায়তুল মোকাদ্দেস জামে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নিয়মিত মুসল্লীদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মুসল্লীরা গনস্বাক্ষর নিয়ে কমিটি বাতিল দাবী জানিয়েছে । পাশাপাশি এমন হটকারী সিদ্ধান্তে কমিটি গঠনের ক্ষোভ ফুসে উঠছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারন মুসল্লীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা জানান, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী বায়তুল মোকাদ্দেস জামে মসজিদের আশপাশে ব্যবসায়ী ও বেশি আয়ের লোকজনের বাস হওয়ায় দ্রুততম সময়ে মসজিদের উন্নতি হতে যাচ্ছে।
তবে উল্লেখিত মসজিদের বর্তমান কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্দনে কমিটির সভাপতি কাজী মহিবুর রব আবির নিয়মিত মুসল্লীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিরা অনুপ্রবেশ করেছে।
এরমধ্যে যেমন রয়েছে সুদ ব্যবসায়ী তেমনি রয়েছে অর্থ আত্বসাতকারী ব্যক্তিরাও। কমিটির সভাপতির নিজের পছন্দের লোক দিয়ে এসব বিতর্কিত লোকদের কমিটিতে স্থান দিয়েছে। কমিটির অর্থ সম্পাদক কমল কাজী তো সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে মানুষকে সর্বশান্ত করেছে।
১৯৯৬ সালে এই কমল কাজী সমিতির নাম করে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে পালিয়েছিল। পরে ২০১৫ সালে পূনরায় দেশে ফিরে আসেন। তাদের প্রতি সমর্থন নেই সাধারণ মুসুল্লীদের। তারা নামাজি ও ভালো মানুষদের কমিটিতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদের নিয়মিত একজন মুসুল্লী জানান, অতীতে নামাজি ও ভালো মানুষকে কমিটিতে প্রাধান্য দেয়া হতো। এবার নতুন কমিটিতে কয়েকজন বিতর্কিত লোক প্রবেশ করেছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী মহিবুর রব আবির বেশির ভাগ সময়ই ঢাকা থাকেন।
মসজিদ কমিটি পরিচালনা করেন কমিটির সহ সভাপতি তপন কাজী মিয়া। তপন মিয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্তেই মসজিদ কমিটিতে নিজেদের মনগড়া করে গঠন করা হয়েছে। এলাকার সাধারন মুসল্লীরা এসব মনগড়া পকেট কমিটি বাতিল দাবী করে গনস্বাক্ষর নিচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যারা মসজিদের কমিটিতে আসছেন এদের মধ্যে অনেকে নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়ে না। একমাত্র শুক্রবার জুম্মার নামাজ ছাড়া এদের মসজিদে দেখা মিলে না। তাদের মতে নিয়মিত মুসল্লীদের সামনে রেখে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনে সময় নিয়ে একটি ভালো কমিটি গঠন করা উচিৎ ছিল।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী মহিবুর রহমান আবিরকে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নাই। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় মুসল্লীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: মসজ দ ন র য়ণগঞ জ স ধ রন ম ব তর ক ত মসজ দ র কম ট ত ন কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সম্পর্কে আমির হামজার বক্তব্য ‘আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করা হত’ বর্ণনাটি অসত্য বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এরূপ মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
ভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতায় জবিতে মহালয়া উৎসব
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়।
পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া, যা অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষাথীর্দের আন্তঃসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। জাবি প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জনাব আমির হামজার একটি বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন।
তিনি জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়।
ঢাকা/আহসান
ঢাকা/আহসান/মেহেদী