৪৩ বছরে কুমিল্লার ইলেভেন স্টার ক্লাব
Published: 8th, August 2025 GMT
ইলেভেন স্টার ক্লাব। কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গনে ক্লাবটির পরিচিতি অনেক বছরের। ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু, এর পর থেকেই জেলার ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছে এই ক্লাব। সেই আলো কখনো কখনো গিয়ে পড়েছে জেলার বাইরেও। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার এনামুল হক (মনি) খেলতেন এই ক্লাবের হয়েই।
আরও পড়ুন১৭ বছরেই অধিনায়ক তিনি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্লাবটির ৪৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয়েছে। ক্লাবের সদস্যদের আড্ডা, স্মৃতিচারণা, গল্প আর খাওয়াদাওয়াসহ বিভিন্ন আয়োজনে দিনভর মেতে ছিলেন সবাই। স্টেডিয়ামের প্যাভিলিয়নের তৃতীয় তলায় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণা করেন ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা।
ইলেভেন স্টার ক্লাবের সভাপতি, সাবেক বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার বদরুল হুদা জেনুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি অধ্যাপক নিখিল চন্দ্র রায়, লালমাই সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবাসীদের হয়রানি
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি কোনো নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবণতা বিদ্যমান থাকলেও এর পরিবর্তনে এখনো তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
দূর প্রবাসে কঠোর পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন যে লাখ লাখ প্রবাসী, দেশে ফেরার পথে কিংবা প্রবাসে আসার সময় তাঁরাই বারবার বিভিন্ন ধরনের অযৌক্তিক হয়রানির শিকার হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, চেকিংয়ের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ, প্রয়োজনহীন প্রশ্ন, কৃত্রিম জটিলতা সৃষ্টি এবং বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ইমিগ্রেশন বিভাগে অপ্রয়োজনীয় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে। ফলে কেউ কেউ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, এমনকি ফ্লাইট মিস করার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও ঘটে।
বিশেষ করে যাঁরা শ্রমনির্ভর পেশায় নিয়োজিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে, তাঁদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অথচ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো তাঁদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তবে সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, সৎ ও আইন মেনে চলা প্রবাসীরা যেন কোনোভাবেই অযথা হয়রানির শিকার না হন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর, সুদৃশ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ আমরা প্রত্যাশা করি।
এম কামিল আহমেদ
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়