ইলেভেন স্টার ক্লাব। কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গনে ক্লাবটির পরিচিতি অনেক বছরের। ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু, এর পর থেকেই জেলার ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছে এই ক্লাব। সেই আলো কখনো কখনো গিয়ে পড়েছে জেলার বাইরেও। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার এনামুল হক (মনি) খেলতেন এই ক্লাবের হয়েই।

আরও পড়ুন১৭ বছরেই অধিনায়ক তিনি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড১ ঘণ্টা আগে

কুমিল্লার ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্লাবটির ৪৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করা হয়েছে। ক্লাবের সদস্যদের আড্ডা, স্মৃতিচারণা, গল্প আর খাওয়াদাওয়াসহ বিভিন্ন আয়োজনে দিনভর মেতে ছিলেন সবাই। স্টেডিয়ামের প্যাভিলিয়নের তৃতীয় তলায় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণা করেন ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা।

 ইলেভেন স্টার ক্লাবের সভাপতি, সাবেক বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার বদরুল হুদা জেনুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি অধ্যাপক নিখিল চন্দ্র রায়, লালমাই সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো.

সফিকুর রহমান, রাজনীতিবিদ এয়ার আহমেদ সেলিম, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কিউরেটর ও ক্লাবের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক বদিউল আলম খোকন, ক্লাবের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, আতিকুর রহমান, মো. এমদাদুল হক, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় আইনুল কবির সুজন, সাবেক ফুটবল ও হকি খেলোয়াড় তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম অসি।

ইলেভেন স্টার ক্লাবের ৪৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অতিথিরা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ