শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১০
Published: 11th, October 2025 GMT
মাদারীপুরের শিবচরে কাভার্ডভ্যানের সাথে বাসের সংঘর্ষে কাভার্ডভ্যানের চালক শামীম আহমেদের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর সংলগ্ন এলাকার ভাঙ্গাগামী লেনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসময় বাসের ১০ জন যাত্রী আহত হন।
শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী বাসের সাথে একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসটি সড়ক বিভাজকের উপরে উঠে যায়। দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক শামীম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় বাসের অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শামীম। বিস্তারিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।”
ঢাকা/বেলাল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ঘটন শ বচর
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ফাউন্ডেশনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আহতদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই ফাউন্ডেশনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আহতদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধাদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধা এবং জুলাই ফাউন্ডেশনে নির্যাতনের শিকার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জুলাই যোদ্ধা রাহাত হোসেন।
আহত জুলাই যোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমি আর্থিক সহযোগিতার জন্য জুলাই ফাউন্ডেশনে আবেদন করি। তিন মাস পর আমাকে ডেকে নেয়। ডেকে নেওয়ার পর আমাকে বসিয়ে আমার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে।
এরপর আমাকে ভিতরে একটি নিয়ে যায় সেখানে অফিসের কোন কাজ চলে না পরিত্যক্ত। তিনটি রুম আছে টর্চার সেলের মত। এর ভিতরে ঢালাই বিছানা রয়েছে এবং জিআই পাইপ থাকে। এসময় জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে বেধরক পিটায়।
তখন সইতে না পেরে আমার দুই ভাইকে ফোন দেই এবং তারা তাদেরকে বলে আপনারা তাকে মাইরেন না সে আসলেই জুলাই যোদ্ধা। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, মেডিকেলের কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও আমার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়ার জন্য ইচ্ছামত পিটায়। এরপর আমি সেখান থেকে চলে এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। সে কাগজপত্রও আমার কাছে আছে।
আমার মনে একটাই কষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাইছে কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন যে একটা স্বৈরাচারের ফাউন্ডেশন আমার আগে জানা ছিল না। ওইটার ভিতরে যাওয়ার পরই আমি বুঝছি যে এটা একটা টর্চার সেল। আমাকে এমন ভাবে মারধর করছে সেটা বলার মত না, একটা পশুকেও মানুষ এভাবে মারধর করে না।
ড. ইউনুছের কাছে আমি এটার বিচার চাই। আমাকে যে ছেলেটা মারধর করছে তার নাম সাহেদ। ওর সাথে আরো ৫/৬ জন ছিল। ওকে ধরে আইনের আওতায় আনলেই সে সব স্বীকার করবে।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জুলাই যোদ্ধা রাহাত হোসেন বলেন, ৫ই আগষ্টের পরে নতুন পরবর্তী যে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচারের বাংলাদেশের জন্য, এমনকি জুলাই আহত এবং শহীদ পরিবারের পূনর্বাসন এবং তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য যে জুলাই শহীদ ও স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামক ড. ইউনুছের একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল মানব কল্যাণের জন্য বা আহত কিংবা শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য।
সেই প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু কর্মরত ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবেদর নামে জুলাই যোদ্ধাদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে যে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে এই এখতিয়ার কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশনের নাই। আমরা চাই এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হউক। ড. ইউনুছের কাছে আবেদন এই বিষয়টি উদঘাটন করে যেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই যোদ্ধা সাবিনা ইয়াছমিন, সুমন খান, আল আমিন, সিরাজুল, বুলবুল সিকদার, যুবায়ের, মেদেহী, বাবু, রুবেল, মাসুম, রাকিবুল হোসেন, আলমগীর, নাদিম, ইয়াসিন, মুন্না, সাব্বির হোসেন, সৌরভ, রতন ও শ্রাবণসহ প্রমূখ।