গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের এক কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে এসকেএস ফাউন্ডেশনের সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট শাখার আবাসিক কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন:

মোংলায় খালে ভাসছিল নবজাতকের মরদেহ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার

নিহতের নাম বিল্লাল হোসেন (৩৫)। তার বাড়ি পঞ্চগড়ে। তিনি এসকেএস ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্র ঋণ বিভাগে ধাপেরহাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক ছিলেন।

এসকেএস ফাউন্ডেশন ধাপেরহাট শাখার ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘আমি ছুটিতে আছি। বিল্লাল হোসেন এই শাখায় কর্মরত ছিলেন। শুনেছি, স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয়ে তার ঝামেলা চলছিল।’’

ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ স্বপন কুমার সরকার বলেন, ‘‘খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অফিসের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/মাসুম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ধ প রহ ট উদ ধ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার

ভারতের নারী ক্রিকেটে আবারও ইতিহাস লেখা হলো। মহারাষ্ট্রের তারকা ব্যাটার কিরণ নবগিরে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সিনিয়র উইমেন্স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে ঝড় তুলে ভেঙে দিলেন নিউ জিল্যান্ডের সোফি ডিভাইনের রেকর্ড। নাগপুরের সিভিল লাইন্সের ভিসিএ স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৩৫ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন তিনি।

প্রায় তিন বছর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ছক্কার জন্য আলোচনায় আসা নবগিরে আবারও প্রমাণ করলেন কেন তাকে ভারতের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিটার বলা হয়। ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। ওপেনার ইশওয়ারি সাভকার দ্রুত ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেটে মুক্তা মাগরেকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র আট ওভারেই জয় এনে দেন মহারাষ্ট্রকে। ১০৩ রানের সেই জুটিতে মাগরের অবদান ছিল মাত্র ৬ রান, বাকিটা নবগিরের ব্যাট থেকে ৩১ বলে ৯৭ রান!

আরো পড়ুন:

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

মাত্র ৩৪ বলেই তিন অঙ্কে পৌঁছে গড়েন নতুন ইতিহাস। নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ইনিংসটি শেষ করেন ১৪টি চার ও ৭টি ছক্কায়, স্ট্রাইক রেট ছিল অবিশ্বাস্য ৩০২.৮৬। যা নারী ক্রিকেটে আগে কখনো দেখা যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালে সোফি ডিভাইন ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন। নবগিরে সেই রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন। তিনি এখন একমাত্র নারী ব্যাটার, যিনি ৩০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে টি-টোয়েন্টিতে শতক হাঁকিয়েছেন।

এটাই প্রথমবার নয়, নবগিরে অতীতেও এমন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের নজির রেখেছেন। ২০২২ সালের সিনিয়র উইমেন্স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে তিনি ৩৫টি ছক্কা মেরেছিলেন। তাতে এক মৌসুমে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ড এখনো তার দখলে। একই বছরে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ৭৬ বলে ১৬২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, যা ছিল কোনো ভারতীয় নারীর টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ১৫০+ রানের ইনিংস।

সেই বছরই নারী টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে আত্মপ্রকাশ করেন নবগিরে, আর প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড! মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি। যা ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্রুততম।

পরবর্তীতে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে তাকে দলে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। প্রথম মৌসুমেই ৩১ বলে ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জেতান। চলতি বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেছেন আরেকটি আগুনে ইনিংস; মাত্র ১৬ বলে ৪৬ রান, স্ট্রাইক রেট প্রায় ২৮৭!

যদিও আন্তর্জাতিক পরিসরে এখনও নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ২০২২ সালে ভারতের হয়ে ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নবগিরে, করেছেন মাত্র ১৭ রান। তারপর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি।

নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতক (বল অনুসারে):
১. কিরণ নবগিরে – ৩৪ বল,
২. সোফি ডিভাইন – ৩৬ বল (ওয়েলিংটন বনাম ওটাগো, ২০২১),
৩. ডিয়ান্দ্রা ডটিন – ৩৮ বল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১০),
৪. গ্রেস হ্যারিস – ৪২ বল (ব্রিসবেন হিট বনাম মেলবোর্ন স্টারস, ২০১৮)।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ