ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার
Published: 17th, October 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ষোলঘর এলাকার থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ষোলঘর সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড সংলগ্ন ঘাসের ওপর এক ব্যক্তিকে শুয়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ সময় কোনো নড়াচড়া না থাকায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিশ্চিত হয়, ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। পরে তারা মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
পাবনায় ডোবা থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
শার্শায় বাক্সের ভেতর ছিল ভ্যানচালকের গলা কাটা মরদেহ
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, “স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়ে মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র উদ ধ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
আসামে সেনা ক্যাম্পে বন্দুকধারীর হামলা, দায় স্বীকার করল উলফা–আই
ভারতের আসাম রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় একটি সেনা ক্যাম্পে বন্দুকধারীর হামলায় তিন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা মধ্যরাতের দিকে চলন্ত একটি গাড়ি থেকে কাকোপাথার এলাকার একটি সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই সময় দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে এবং দক্ষতার সঙ্গে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্যাম্পের আশপাশে থাকা বেসামরিক বাড়িঘরে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, হামলাকারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে। তবে সেনাসদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে হামলাকারীরা পালাতে বাধ্য হয়।
হামলায় কেউ গুরুতর আহত হননি বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, শুধু তিনজন সেনা সামান্য আহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এলাকাটিকে বিপদমুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম-ইন্ডিপেন্ডেন্ট (উলফা–আই) এক বিবৃতিতে সেনা ক্যাম্পে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীর দাবি, ‘অপারেশন ভেঞ্জেন্স’ নামের একটি অভিযানের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার পর তিনসুকিয়া পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট (এসএসপি) অভিজিৎ গৌরব দিলীপের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেনা ক্যাম্পে পৌঁছে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে। এ ব্যাপারে হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষ থেকে এসএসপির মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
পরে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের কাছে তেঙ্গাপানি এলাকায় ফেলে রাখা অবস্থায় একটি ট্রাক পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা ট্রাকটি ব্যবহার করেছিল।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেনাবাহিনী ও আসাম পুলিশের যৌথ দল কাকোপাথার এলাকা এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।