লালবাগে হোপকে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন করলেন মিরাজ
Published: 17th, October 2025 GMT
সকাল ১০টায় অনুশীলন। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যস্ততা তাই একটু বেশিই ছিল। সাতসকালে লালবাগ কেল্লায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ট্রফি উন্মোচন। অনুশীলন থাকায় মিরাজ একটু আগেভাগেই পৌঁছে গেলেন। ম্যাচ জার্সি গায়ে জড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন হোপের। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক পৌঁছাতেই দ্রুত ঢুকলেন ভেতরে।
লালবাগ কেল্লা রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত উল্লেখযোগ্য স্থাপনা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) কেল্লার ভেতরে পরী বিবির মাজারের সামনে মিরাজ ও হোপ উন্মোচন করেন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি। সূর্যের আলোয় ঝলমল করছিল সোনালি ট্রফি। ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ধরা পড়ছিল দুই দলের অধিনায়কের হাসি।
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলে টেম্বা বাভুমা
বিশ্রামের দিনে চেনা ডেরায় নতুন পরিচয়ে স্যামি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। এর মূল লক্ষ্য—দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক মিরাজ প্রথমবারের মতো গিয়েছিলেন লালবাগ কেল্লায়। ভেতরের পরিবেশ এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন তিনি।
ট্রফি শেষে উন্মোচন মিরাজ ছুটে যান জাতীয় দলের অনুশীলনে এবং শাই হোপ ফেরেন হোটেলে।
শনিবার মিরপুরে শুরু হবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ২১ ও ২৩ অক্টোবর হবে বাকি দুই ম্যাচ। ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।
ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইন ড জ ক র ক ট
এছাড়াও পড়ুন:
রায়ো ভায়েকানোর মাঠে থমকে গেল রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগে মাঝসপ্তাহে লিভারপুলের বিপক্ষে হারের পর নতুন করে জয়ের ছন্দে ফেরার আশায় মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু শহরের প্রতিবেশী ক্লাব রায়ো ভায়েকানোর মাঠে গিয়ে তাদের ভাগ্যে জুটল কেবলই হতাশা। গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট হারিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময় রবিবার (০৯ নভেম্বর) রাতে মাদ্রিদের ভায়েকাস স্টেডিয়ামে ম্যাচটা যেন শুরু থেকেই গুমোট। সুযোগ ছিল দুই দলেরই, কিন্তু কেউই শেষ পর্যন্ত গোল খুঁজে পায়নি। পুরো ম্যাচে উজ্জ্বল ছিলেন রায়ো গোলরক্ষক অগুস্তো ব্যাটালা। যিনি ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামকে একাধিকবার ঠেকিয়ে দেন।
ম্যাচের শুরুটা কিছুটা বিশৃঙ্খলই ছিল। ২১ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় রায়ো। ডিফেন্ডার আন্দ্রে রাটিউ দারুণ দৌড়ে উঠে এসে শট নেন। কিন্তু সরাসরি থিবো কোর্তোয়ার গ্লাভসে। এক মিনিট পরই পাল্টা জবাব দেয় রিয়াল। ভিনিসিউস জুনিয়রের টার্ন থেকে নেওয়া শট চমৎকার রিফ্লেক্সে ঠেকান ব্যাটালা। ফিরতি বলে রাউল আসেনসিওর হেড সামান্য বাইরে চলে যায়। ২৭ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে রায়োকে বদলি আনতে হয়। পেদ্রো দিয়াসের জায়গায় নামেন পাচা এসপিনো।
হাফটাইমের ঠিক আগে ভিনিসিউস আবার আলো ছড়ানোর চেষ্টা করেন। বক্সে কেটে ঢুকে ডান পায়ে বাঁকানো শট নেন। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
বিরতির পর দুই দলই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে নামে। রায়োর হোর্হে দে ফ্রুতোস কাছাকাছি থেকে শট নেন, বল লাগে জালের বাইরের পাশে। অপর প্রান্তে তরুণ আরদা গুলার নেন দূরপাল্লার শট, যায় পোস্টের বাইরে। এরপর বেলিংহ্যাম নিজের ক্লাসিক ছোঁয়ায় হুমকি দেন। ডায়াগোনাল পাস ধরে কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটালা আবারও দেয়াল হয়ে দাঁড়ান।
ঘণ্টা পেরোতেই এমবাপ্পে তৈরি করেন দারুণ মুহূর্ত। ডান প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ে কাটা শট নেন। কিন্তু তা অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। শেষ ২০ মিনিটে রিয়াল চাপ বাড়িয়ে দেয়। ফেডে ভালভার্দের নিচু শট ফিরিয়ে দেন ব্যাটালা। যার পর থেকেই যেন রিয়াল বুঝে যায় আজ গোল পাওয়া কঠিনই হবে।
রায়ো, যারা আগের আট ম্যাচে ছয়টিতেই জয় পেয়েছিল, এদিন তারা নিজেদের রক্ষণ এতটাই গোছানো রেখেছিল যে রিয়াল কোনোভাবেই ভাঙতে পারেনি তাদের দেয়াল। শেষ মুহূর্তে দানি সেবাইয়োস একবার জোরালো শট নেন, যায় বাইরে। ইনজুরি টাইমে গুলার ডি-বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত ড্রিবল করলেও শেষ মুহূর্তে রক্ষণের চাপ সামলে ফেলেন রায়োর খেলোয়াড়রা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের কাছে ১-০ হারের পর এই ড্র নিঃসন্দেহে রিয়ালের জন্য হতাশাজনক। তবে ১২ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার টেবিলে তারা এখনো শীর্ষে।
ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ জানালেন, “আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু শেষ মুহূর্তের ছোঁয়াটা পাইনি। ব্যাটালা দারুণ খেলেছে। আজ গোল পাওয়া সত্যিই কঠিন ছিল।”
ঢাকা/আমিনুল