বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুর থানার আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন সরকার তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইনু-মেনন শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনে গুলির নির্দেশ দেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার আবেদন করছি। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের জোর দাবি জানান।
এ সময় ইনুর আইনজীবী আদালতে শুনানিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আসামি ইনু এমপি ছিলেন না। আন্দোলনের সময় তিনি কোনো হত্যার নির্দেশ দেননি। বরং তিনি যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। আসামি ইনু পাকিস্তান পিরিয়ডে নামকরা ফুটবলার ছিলেন। তিনি গোলরক্ষক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি খেলা ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন খ্যাতিমান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তার বয়স হয়েছে। তাকে জামিন দেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র শ দ খ ন ম নন
এছাড়াও পড়ুন:
গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ, ৬ ঘণ্টা পর পুকুরে ভেসে উঠল নানি-নাতির মরদেহ
নাটোরের লালপুরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নানি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত দুজন হলেন সাদিপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের মেয়ে মানু খাতুন (৫৬) ও তাঁর নাতি আল আমিন (৮)। আল আমিন লালপুর উপজেলার পালিদহ গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আল আমিন সাদিপুর গ্রামে নানির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। গতকাল দুপুরে সে নানির সঙ্গে গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁরা বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ওই পুকুরে প্রথমে মানু খাতুনের, পরে আল আমিনের মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন দুটি মরদেহ উদ্ধার করে নূর মোহাম্মদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাতেই তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান জানান, পুকুরে গোসল করতে গিয়ে গভীর পানিতে নেমে হয়তো তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।