Samakal:
2025-08-02@06:36:35 GMT

ইয়াবা রুট ঢাকা টু মালদ্বীপ

Published: 9th, March 2025 GMT

ইয়াবা রুট ঢাকা টু মালদ্বীপ

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপেও ছড়িয়ে পড়েছে মরণ নেশা ইয়াবার কারবার। অন্তত তিন বছর ধরে চালান যাচ্ছে সেখানে। এর সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অংশ জড়িত। তারা দেশে এসে ফেরার সময় লাগেজে লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে যায়। পরে সেখানকার মাদকসেবীদের কাছে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে। সম্প্রতি ঢাকায় চক্রের একজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এসব তথ্য জানা যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) বিমানবন্দর সার্কেলের পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সমকালকে বলেন, মালদ্বীপে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজল নামে যাত্রীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বহির্গমনের চেকইন চলাকালে তার লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তল্লাশি করে মেলে ৮ হাজার ৪০০ পিস। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।

মিয়ানমারে তৈরি ইয়াবার বড় বাজার বাংলাদেশ। তবে বিগত বছরগুলোয় দেখা যায়, এখান থেকে আরও কয়েকটি দেশে এই মাদক পাচার করা হচ্ছে। গত ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইস্কান্দারপুত্রি জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে ইয়াবা, অন্য মাদকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, অপরজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তারা পাচারকারী চক্রের সহযোগী।
এর আগে সৌদি আরবে ইয়াবা পাচারের তথ্য জানা যায়। এ ঘটনায় ঢাকায় এবং সে দেশে আলাদা অভিযানে কয়েক কারবারিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পার্সেলের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের অপচেষ্টার ঘটনাও ধরা পড়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার কাজলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালদ্বীপে ইয়াবার কারবার সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কুমিল্লার কয়েক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ওই দেশে থাকে। তারা কেউ গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে, কেউ অন্য কাজের পাশাপাশি হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। তারা বছরে কয়েকবার দেশে আসে। ফেরার সময় লাগেজে লুকিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে যায়। তারা কুমিল্লা থেকেই এগুলো সংগ্রহ করে। মিয়ানমারে তৈরি হলেও বেশ কিছুদিন ধরে কুমিল্লা, ফেনীসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে ইয়াবা আসছে দেশে। সেগুলোর একটি অংশ যাচ্ছে মালদ্বীপে।
ডিএনসি-ঢাকা মহানগর উত্তরের এক কর্মকর্তা জানান, মালদ্বীপে গত কয়েক বছরে ইয়াবার চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই এর ক্রেতা। এর আগে মালদ্বীপগামী যাত্রীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার হলেও তখন দেশটিতে এই মাদকের বিস্তৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ফোনের চার্জারে ১ হাজার ৭৯১ পিস ইয়াবাসহ আল আমিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে দাবি করেছিল, পরিচিত এক ব্যক্তি চার্জারটি মালদ্বীপে পৌঁছানোর জন্য তাকে দিয়েছিল। এর পরও মালদ্বীপগামী যাত্রীর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তখন ধারণা করা হয়েছিল, নিজের বা ঘনিষ্ঠ কারও আসক্তির কারণে তারা ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিল। তবে এবার জানা যাচ্ছে ভয়ংকর তথ্য। সেখানে প্রবাসীদের মধ্যে ইয়াবায় আসক্তি পৌঁছেছে মারাত্মক পর্যায়ে। এর সুযোগ নিচ্ছে কারবারিরা। এর সঙ্গে সে দেশের কিছু লোকের জড়িত থাকার আশঙ্কাও রয়েছে।
ডিএনসি কর্মকর্তা আরও জানান, কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এ চক্রের ব্যাপারে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইয়াবা পাচারে জড়িত কয়েকজনের তথ্য মিলেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাজলের বিদেশ যাতায়াতের তথ্য জানতে ইমিগ্রেশন বিভাগে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তবে গত জানুয়ারিতে সে শেষবার দেশে আসে। এর আগে অক্টোবরে এসেছিল বলে জানা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা

ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”

বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩