ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করার কারণ জানালেন কারিনা
Published: 11th, March 2025 GMT
‘রিফিউজি’ সিনেমার মাধ্যমে ২০০০ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের। রুপালি দুনিয়ায় পা দিয়েই নজর কাড়েন। অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পার করছেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে কখনো যৌন দৃশ্য বা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা যায়নি কারিনা কাপুর খানকে।
কারিনার অনেক সহকর্মী খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। কিন্তু কারিনা কেন করেননি? ‘দ্য ডার্টি ম্যাগাজিন’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কারিনা।
চুয়াল্লিশের কারিনা কাপুর খান বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি অনুভব করি, একটি গল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে এটি (যৌন দৃশ্য) গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি এমন কিছু নয়, যা গল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। আমি জানি এটি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব না। আমি এই দৃশ্যে কখনো অভিনয় করব না।”
আরো পড়ুন:
আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ
আইফা অ্যাওয়ার্ডে বাজিমাত করলেন যারা
খানিকটা ব্যাখ্যা করে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমরা পুরো ধারণাটিকে এভাবেই দেখি। আমরা যৌনতাকে ‘হিউম্যান এক্সপেরিয়েন্স’ হিসেবে দেখি না। এমন দৃশ্য পর্দায় উপস্থাপন করার আগে আমাদের এটিকে সম্মানের সঙ্গে দেখতে হবে। এটি আমার বিশ্বাস।”
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করলেও ২০০৩ সালে ‘চামেলি’ সিনেমায় একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেন কারিনা কাপুর খান। এ চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এটা এক ধরণের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কারণ সেই অল্প বয়সে আমার আত্মবিশ্বাস, আমার কামুকতাকে কাজে লাগাতেও সাহায্য করেছিল।”
২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলী খান। ২০২১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এ জুটির সংসার আলো করে জন্ম নেয় দ্বিতীয় পুত্র সন্তান। স্বামী-সন্তান নিয়ে অধিক ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিনা।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল