‘নির্বাচনের আগে বিচার-সংস্কার আর শুনতে চায় না বিএনপি’
Published: 12th, July 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, “আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন—এ কথা এখন আর বিএনপি শুনতে চায় না।”
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, “বিচার ও সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই যত দ্রুত সম্ভব জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের মূল দাবি একটাই—জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বিচার ও সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যুক্তি আর চলবে না।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করা থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের আচরণে গণতন্ত্র ও সংযমের ছাপ থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মামুন-অর-রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে পুরনো সদস্যদের নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ড.
ঢাকা/কেয়া/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) বাতিলের রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারণে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের হাজার হাজার মানুষ বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। শত শত মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ গণতন্ত্রহীন হয়েছে।’
আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অলিম্পিয়াডে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) নামের এক সংগঠন এটির আয়োজন করেছিল। ‘পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার’ প্রতিপাদ্যে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি দল অংশ নেয়। আগামীকাল শনিবারও এই অনুষ্ঠান চলবে।
অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব মন্তব্য করেন। মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতির সংজ্ঞায় আমরা নতুন সংযোজন এনেছি। আমরা বলছি অর্থনৈতিক দুর্নীতি হলো ডায়াবেটিস কিংবা ক্যানসারের মতো। এটি ধুঁকে ধুঁকে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। আর বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হলো অ্যাটম বোমার মতো।’
দুই দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াডের অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আইন শিক্ষা শুধু ক্লাসরুমে হয় না। হাতে-কলমে শেখার জন্য এ ধরনের বাস্তবভিত্তিক আয়োজন দরকার। তবে পরিবেশ আদালতের কার্যকারিতা খুবই সীমিত। সাধারণ মানুষ মামলা করতে পারে না, শুধু পরিবেশ অধিদপ্তর করতে পারে। এটিও প্রায় অচল।
আইন বিভাগের সভাপতি রকিবা নবী এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ আয়োজনে পাঁচটি রাউন্ড রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এতে যুক্তি, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনায় অংশ নিয়ে আইনের বাস্তব প্রয়োগ শিখবে।