রাজশাহী টেক্সটাইলে দুই হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি প্রাণ–আরএফএলের
Published: 2nd, August 2025 GMT
দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার চালু হওয়া রাজশাহী টেক্সটাইলে ছয় মাসে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মিলটি চালুর মাধ্যমে নতুন করে এসব কর্মসংস্থান তৈরি করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
আজ শনিবার রাজশাহীর সপুরায় বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে টেলি মার্কেটিং, তৈরি পোশাকসহ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে শিল্পগ্রুপটি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন বা বিটিএমসির ব্যবস্থাপক নুরুল আলমসহ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় যাওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে শিল্প স্থাপন করে চাকরির অফার লেটার নিয়ে ঘুরব। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহীতে শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করছি। তাতে প্রচুর লোকের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজশাহী টেক্সটাইলের কারখানাটি হবে একটি টেকসই পরিবেশবান্ধব শিল্পপার্ক। এই শিল্পপার্কে উৎপাদিত পণ্য হবে শতভাগ রপ্তানিমুখী। এ ছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে টেলি মার্কেটিংসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বিটিএমসির সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির আওতায় ২০২৪ সালের অক্টোবরে এক চুক্তির মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেয়। গত ডিসেম্বরে মিলটির দায়িত্ব বুঝে পায় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর মিলের একটি পরিত্যক্ত শেড সংস্কার করে ব্যাগ ও জুতা উৎপাদন শুরু করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র ণ আরএফএল গ র প র অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইলে ছয় মাসে ২ হাজার কর্মসংস্থান
দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পুনরায় চালু করে মাত্র ছয় মাসে দুই হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। টেলি মার্কেটিং ও তৈরি পোশাকসহ নতুন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আরো ১০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজশাহীর সপুরায় অবস্থিত ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানা চত্বরে “দুই হাজার কর্মসংস্থান উদযাপন; লক্ষ্য ১২ হাজার” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি কর্মসংস্থানের এই মাইলফলক উদযাপনের অংশ হিসেবে কেক কাটেন।
আরো পড়ুন:
আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ
সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) ম্যানেজার নুরুল আলমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত মিল চালু করে এত অল্প সময়ে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি শুধু একটি কারখানা নয়, একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে যখন কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ গ্রাম থেকে শহরে ছুটছে, তখন প্রাণ-আরএফএল-এর মতো প্রতিষ্ঠান স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে—যা টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।”
অনুষ্ঠানে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন শ্রমিকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—আমরা চাই না কেউ আর কাজের জন্য ঢাকায় ছুটে যাক। শিল্প নিয়ে আমরা পৌঁছাতে চাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রাজশাহীতে শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছি।”
তিনি বলেন, “এই কারখানাটি হবে একটি সম্পূর্ণ সাসটেইনেবল গ্রিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। এখানে উৎপাদিত পণ্য শতভাগ রপ্তানিমুখী হবে। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিশেষভাবে কাজ করছি। টেলি মার্কেটিংয়ের মতো খাতে বিপুল সংখ্যক নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”
২০২৪ সালের অক্টোবরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। পরের মাসেই বিটিএমসি থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পুরোনো, পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে কারখানাটিকে সচল করে তোলা হয়।
বর্তমানে কারখানাটির পরিত্যক্ত একমাত্র শেড মেরামত করে ব্যাগ, জুতা, লাগেজসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ