মানুষের আগে মহাকাশে ভ্রমণ করেছে যেসব প্রাণী
Published: 12th, July 2025 GMT
মহাকাশ অনুসন্ধানের শুরুতে বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষীয় বিকিরণের প্রভাব জানার জন্য বিভিন্ন প্রাণীকে মহাকাশে পাঠাতেন। আর তাই মানুষের আগেই মহাকাশে ভ্রমণ করেছে বেশ কয়েকটি প্রাণী। ১৯৫৭ সালে লাইকা নামের একটি কুকুরকে মহাকাশে পাঠায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম প্রাণী লাইকা মহাকাশে থাকা অবস্থাতেই মারা যায়।
১৯৪৮ সালে দ্বিতীয় আলবার্ট নামে একটি রিসাস ম্যাকাক প্রজাতির বানরকে মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলবার্টকে নিয়ে মহাকাশ যান ৮৩ মাইল উচ্চতায় পৌঁছালেও উড্ডয়নের সময় মারা যায় বানরটি।
১৯৫৮ সালে গর্ডো নামের একটি কাঠবিড়ালি রকেটে চড়ে মহাকাশ প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী থেকে ৬০০ মাইল উচ্চতায় যায় গর্ডো। তবে ফ্লোটেশন যন্ত্রের কারিগরি ত্রুটির কারণে গর্ডো মহাকাশে মারা যায়।
১৯৬০ সালে বেলকা আর স্ট্রেলকা নামের আরও দুটি কুকুর মহাকাশে পাঠায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। মহাকাশ ভ্রমণ শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে কুকুরগুলো। বেলকা আর স্ট্রেলকা মহাকাশে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে নিরাপদে ফিরে আসা প্রথম প্রাণী। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছাড়া মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে বেঁচে থাকতে পারবে কি না, তা জানতে কুকুরগুলোকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
১৯৬১ সালে হ্যাম নামের এক শিম্পাঞ্জিকে মহাকাশে পাঠানো হয়। মার্কারি-রেডস্টোন রকেটে করে হ্যাম কক্ষপথে যাওয়ার পর শিম্পাঞ্জিটি প্রায় সাড়ে ছয় মিনিট ওজনহীন অবস্থায় ছিল। তবে মহাকাশ যানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের ১৬ দশমিক ৫ মিনিটের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরে আসে শিম্পাঞ্জিটি।
১৯৬২ সালে মহাকাশে সফলভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এনোস নামের আরেকটি শিম্পাঞ্জি। মার্কারি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এনোসকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
১৯৬৮ সালে দুটি কাছিম, মাছি এবং পোকা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে। এই প্রাণীগুলোই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম প্রাণী। তবে শুধু কাছিমগুলো নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
১৯৭৩ সালে মহাকাশে মাকড়সার জালের প্রভাব সম্পর্কে গবেষণার জন্য দুটি মাকড়সাকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
১৯৭০ সালে চাঁদে পাঠানো হয় ব্যাঙ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী
প্রেমের টানে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে তার প্রেমিক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলায়। অভিযুক্তরা বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আর তার প্রেমিকের নাম দত্ত যাদব। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ওই বাংলাদেশি তরুণী একসময় মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দেন। এসময় কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে কয়েক মাস আগে ওই তরুণী আবার বাংলাদেশে চলে যায়। প্রেমিকের অনুরোধ রাখতে আবার ভারতে আসেন। তবে তার সঙ্গে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তার প্রেমিক দত্ত যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, তারা ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এসময় বিএসএফ তাদের আটক করে।
অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে অনুপ্রবেশে কোনো দালাল সহযোগিতা করেছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেটি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।