সংসদে নারীদের জন্য আসন বাড়ানো ও সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলা হলেও তারা তা শোনেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এমনকি দলগুলো থেকে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও তারা তাতে রাজি হয়নি। কমিশন দলগুলোর ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না বা দলগুলোকে নির্দেশ দিতে পারে না।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও সংসদে নারীর আসন সংখ্যা না বাড়ানো ও সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি না মেনে প্রচলিত ব্যবস্থা বহাল রাখা নিয়ে নারী অধিকারকর্মীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জবাবে আলী রীয়াজ শনিবার প্রথম আলোকে এ কথাগুলো বলেন।

ঐকমত্য কমিশনে নারী প্রতিনিধি না থাকা ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি কমিশন গঠন করেছিল। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কারবিষয়কসহ ৬টি কমিশন আগেই প্রতিবেদন জমা দেয়। ঐকমত্য কমিশন গঠনের তাগিদ থাকায় ওই ছয় কমিশনের প্রধানদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। ঘটনাক্রমে এসব কমিশনের প্রধানদের মধ্যে নারী ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধি না থাকায় ঐকমত্য কমিশনে নারী ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিলেন না। এটা ইচ্ছাকৃত নয়।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, যে ছয়টি কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিয়েছিল, তাদের সুপারিশগুলো ঐকমত্য কমিশনের টার্মস অব রেফারেন্সের (কাজের পরিধি বা টর) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পরে জমা হওয়ায় তাদের সুপারিশ টরে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি।

সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো ও সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি উপেক্ষিত থাকা প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন ১০০ আসন বাড়িয়ে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে নতুনভাবে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ করে নির্বাচন পেছানোর অজুহাত বলা শুরু করে। আমরা এমনও বলেছি, সংরক্ষিত আসন বাতিল করে দেন। দল থেকে ৩৩ শতাংশ নারীকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দেন। তাতেও দলগুলো রাজি হয়নি।’

কমিশন নিজেদের ‘এলিট গ্রুপ’ (অভিজাত গোষ্ঠী) হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল জানিয়ে সমালোচনা করেছেন নারী অধিকারকর্মীরা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু মনে পড়ে, এলিট সেটেলমেন্ট (অভিজাত বন্দোবস্ত) বলেছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে, সেটা বোঝাতে বলেছিলাম। নিজেদের এলিট দাবি করি না আমরা।’

শেষ পর্যন্ত নারী আসন নিয়ে নারীদের দাবি পূরণ হলো না, এটাই বাস্তব, এই দাবি পূরণে আর কোনো সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এখন নাগরিক সমাজকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ঐক্যমত্য কমিশনের তৈরি করা জাতীয় সনদে নারী আসন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত না থাকলেও এই দাবি পূরণে নাগরিক সমাজকে সক্রিয় হতে হবে।

নারীরা ‘ভোট দেবেন না’ বলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘ভোট দেব না’ এই কথাটা নারীদের রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে হবে। তাদের চাপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নারীরা এই ‘অস্ত্র’ ব্যবহার করতে পারেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র য় জ বল ন আসন ব

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের সুপারিশ, একমত নয় দলগুলো

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নতুন পরামর্শ প্রস্তাব সামনে এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর আদেশটি নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে।

গতকাল বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়। তবে এটি নিয়েও কোনো ঐকমত্য হয়নি। বিএনপিসহ কিছু দল প্রস্তাবটির সঙ্গে দ্বিমত করেছে। প্রস্তাবটি জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাবের কাছাকাছি, তারা এটি সমর্থন করেছে। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, প্রস্তাবটি নিয়ে তাদের দলে আলোচনা করতে হবে।

এর বাইরে সংবিধানের সংশোধন বা সংবিধান আদেশ অন্তর্বর্তী সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ করতে পারবে কি না বা অন্য কোনো উপায়ে এটা করা যায় কি না, এ বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। আরও কয়েকটি দলও সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার কথা বলেছে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল সকাল থেকে শুরু হওয়া আলোচনা বিকেল পাঁচটায় মুলতবি করা হয়। এ বিষয়ে আগামী অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে আবার আনুষ্ঠানিক আলোচনা হতে পারে। আলোচনার তারিখ পরে জানাবে ঐকমত্য কমিশন।

সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে দুই পর্বে দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ৮৪টি প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। যদিও গতকাল পর্যন্ত সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

নতুন প্রস্তাবে যা আছে

সংবিধান–সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে একাধিকবার বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। গতকালের বৈঠকে ‘বিশেষজ্ঞদের সর্বসম্মত চূড়ান্ত অভিমত’ শিরোনামে একটি প্রস্তাব তুলে ধরে কমিশন।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইনবিশেষজ্ঞদের প্যানেল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে কিছু পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপারিশ করার পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো:

১. অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণার ২২ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে; যেখানে জুলাই সনদে উল্লিখিত মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

২. পরবর্তীতে এই সংবিধান আদেশ নিয়ে গণভোটে করা যেতে পারে। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট হবে। সংবিধান আদেশে গণভোটের বিধান রাখা যেতে পারে।

৩. যদি গণভোটের মাধ্যমে জনগণ সংবিধান আদেশের প্রতি সম্মতি দেয়, তবে তা কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকেই অনুমোদিত বলে গণ্য হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়। ওই ঘোষণাপত্রের ২২ দফায় বলা আছে, ‘...বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’

দলগুলোর অবস্থান

গতকালের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই ঘোষণার ২২ নম্বর দফার ভিত্তিতে সংবিধান আদেশ জারির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জুলাই ঘোষণার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও এখনো এর আইনি ভিত্তি নেই। আর ঘোষণাপত্র বলা হয়েছে, এসব বাস্তবায়ন করা হবে। করা হয়েছে, তা নয়। সুতরাং এটার ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়া যায় কি না, তিনি সে প্রশ্ন তোলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জুলাই ঘোষণায় সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া, সময় ও ফোরাম কোনটা হবে, তা বলা আছে। এ সময় তিনি জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৫ ও ২৭ নম্বর দফার উল্লেখ করেন, যেখানে আগামী সংসদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, অবিলম্বে যদি জুলাই সনদ কার্যকর হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধন হয়ে গেল। কিন্তু এর বৈধতা কে দেবে, তিনি সেই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোটের মতামত চাওয়া যায় যে, সংবিধান আদেশ বা অন্য কোনোভাবে সংবিধানে পরিবর্তন আনা যায় কি না।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের প্রস্তাব ভালো। কিন্তু সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে সংসদে সংশোধনী পাস হওয়ার পর গণভোট করতেই হবে। এখন আগে একবার এবং পরে একবার, কয়বার গণভোট করা হবে, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এনডিএম, ১২–দলীয় জোটসহ আরও কয়েকটি দল ও জোটের পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে কোন কোন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়া হবে, আলোচনায় তা সবাই পরিষ্কার করেননি।

আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তাঁরা মনে করেন ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। আদালতের মতামত নিশ্চয় সবাই মানবে। সন্দেহ নেই, একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এখান থেকে বের হতে হবে। তবে যেনতেনভাবে বের হলে হবে না। এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে সবার ‘উইন উইন’ অবস্থা থাকে।

জামায়াত ও এনসিপি যা বলেছে

গতকাল আনা প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আলোচনায় বলেন, ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ সমাধান নয়। সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়া হোক, তার ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে। আর গণভোট সবচেয়ে শক্তিশালী। সংসদ মৌলিক সংস্কার বা সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে না।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া হলে পরে জটিলতা তৈরি হবে কি না, তা দেখতে হবে। এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব আছে। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন হচ্ছে, সেখানে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। আবার কেউ কেউ রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন। সুতরাং এখান থেকে নিরপেক্ষ সমাধান আসবে কি না, তা নিয়ে ঝুঁকি আছে। তাঁরা আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান না।

নতুন প্রস্তাবটি নিয়ে তাদের দলে আলোচনা করতে হবে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন। তিনি বলেন, পরবর্তী সংসদে গিয়ে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, এমন একটা ইঙ্গিত আলোচনা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সেটা একটু ঘুরিয়ে, ১০৬ অনুচ্ছেদকে সামনে এনে। যদি আদালত বলেন, এটা করা যাবে না। তখন কী হবে?

জাবেদ রাসিন বলেন, তাঁরা এই সরকারের অধীনে সনদের বাস্তবায়ন চান। এ ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পথ হলো গণপরিষদ, যা একই সঙ্গে নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করতে পারে।

একাধিক বিকল্প সুপারিশ থাকবে

গতকালের আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধান–সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পূর্ণাঙ্গ মতামত দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেকে এটা সমর্থন করেছেন, অনেকেই এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। আগের যেসব প্রস্তাব ছিল, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সংবিধানের ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চাওয়া যেতে পারে—এ রকম মত এসেছে।

বৈঠক মুলতবি করা হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা দলগুলোকে কিছুটা সময় দিতে চান। যাতে দলগুলো পরস্পর আলোচনা করতে পারে। সরকারকে একাধিক বিকল্প পদ্ধতি সুপারিশ করতে চায় কমিশন। এখন দলগুলোর কাছ থেকে ছয়টির মতো এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে একটি মতামত আছে। কমিশন বিকল্প আরও কমিয়ে আনতে চায়। অক্টোবরের শুরুর দিকে আবার আলোচনায় বসে দ্রুত কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করে সরকারকে দেওয়া যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের সুপারিশ, একমত নয় দলগুলো
  • ‘সংবিধান আদেশ’ জারির সুপারিশ করতে পারে কমিশন: আলী রীয়াজ
  • কমিটি গঠন, প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত 
  • বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
  • বিএনপি নির্বাচনমুখী কর্মসূচিতে যাবে
  • ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ফের এক মাস বাড়ল