প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বুধবার
Published: 12th, July 2025 GMT
আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংযুক্ত করতে চায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)। একইসঙ্গে প্রতিটি মেডিকেল কলেজে আসন পূরণ নিশ্চিতকরণে স্বচ্ছ, কার্যকর ও ডিজিটালাইজড ভর্তি নীতিমালা প্রণয়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সংগঠনটির নেতারা।
আগামী বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিপিএমসিএ-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির নির্বাচন ঘিরে এমন সব পরিকল্পনার কথা জানান প্রার্থীরা।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মুন্নু মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতা ও অন্য প্যানেলের সভাপতি পদে ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডা.
প্যানেলটির সভাপতি প্রার্থী মুন্নু মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতা বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো স্বাবলম্বী করতে অনুমোদিত কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ন্যূনতম ১০০টিতে উন্নীত করাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। একইসঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচন করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশন স্বীকৃতি অর্জনে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানে সরকারের সঙ্গে একযোগে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিন।
তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজে বর্তমানে আর্থিক ও প্রশাসনিক জটিলতা বিদ্যমান রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে এসব সংকট নিরসন এবং মেডিকেল শিক্ষার মান বিশ্বমানে উন্নীত করার চেষ্টার করবো। ভর্তি প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে সহায়ক নীতি গ্রহণসহ ১০টি অগ্রাধিকার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহযোগিতা নয়, সহঅংশীদারিত্ব ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজের উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি কারণে এ বছরও ৪৫২টি সিট খালি রয়েছে। আগামীতে এত সংখ্যা আসন যেতে খালি না থাকে সে জন্য অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল না করে কীভাবে গতিশীল করা যায় সেই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।
মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢাকার বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর। তিনি সমকালকে বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে অটোমোশন পদ্ধতি যুগোপযোগী করা হবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি কিস্তিতে প্রদানের ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণ, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের একক সমন্বিত পরিদর্শন ব্যবস্থা চালু, পরিচালনা পর্ষদে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহের অন্তর্ভুক্তি বাতিল, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার করবো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ম ড ক ল কল জ র ব যবস থ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কমিটি বাতিলের গুঞ্জন ভিত্তিহীন: আটাব
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) বর্তমান নির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। তারা বলেছেন, আটাবের কমিটি বাতিলের গুঞ্জন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দেশের এয়ার টিকিট বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেট ভাঙতে আটাবের সাহসী অবস্থানের জেরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। বুধবার সংগঠনটির মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের এয়ার টিকিট বাজারে টিকিট সিন্ডিকেট ভেঙে জনগণের স্বার্থে সহনীয় ও স্বাভাবিক মূল্য নিশ্চিত করতে বর্তমান কমিটি দৃঢ় অবস্থান নেয়। এর পর থেকেই সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট চক্র মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, বিভ্রান্তিকর ও বিকৃত তথ্য ছড়িয়ে গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালায়। পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কমিটি বাতিলের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে বলা হয়, গত ৭ জুলাই বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ কার্যালয়ে আটাব কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে শুনানিতে কমিটি বাতিল-সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
টিকিট সিন্ডিকেট চক্র মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে আটাবের প্রায় চার হাজার সদস্যসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এসব অপপ্রচারে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং সদস্যদের আত্মমর্যাদায় আঘাত লাগছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত এয়ার টিকিট মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আটাব ভবিষ্যতেও সোচ্চার অবস্থান নেবে এবং সিন্ডিকেট প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে।