ভারতের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান। শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনী সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে। খবর আলজাজিরার

এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকার জানায়, শনিবার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থা (এডব্লিউএস) নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ইন্দুস’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। 

এতে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সামরিক বাহিনীর প্রধানরা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সব বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত দক্ষতার বিষয়ে ‘পূর্ণ আস্থা’ প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে। 

ইসলামাবাদ বলেছে, ‘সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও অন্যান্য কারিগরি সক্ষমতা প্রমাণ করাই ছিল এডব্লিউএস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হলো। এটিকে  ভারত ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে দেখছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাগানে ছাগল বাঁধা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, কলার কাঁদি কেটে ফেলার অভিযোগ

দিনাজপুরের বিরামপুরে একটি সবরি কলার বাগানের প্রায় ৪৮০টি কলার কাঁদি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের কলাচাষি শাহিনুর ইসলামের (৪২) বাগানে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

গতকাল বিকেলে শাহিনুরের কলাবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে প্রায় ৪৮০টি সবরি কলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে। তবে প্রতিটি গাছের কাঁদি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। কাঁদিতে থাকা কলাগুলোর মাঝ বরাবর কেটে ফলগুলোও নষ্ট করা হয়েছে। কোনো কোনো গাছে ক্ষতিগ্রস্ত কলার কাঁদি ঝুলে আছে। কিছু কাঁদি মাটিতে পড়ে আছে।

শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর জুন মাসের শুরুর দিকে রতনপুর গ্রামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ শতাংশ জমি বর্গা নেন তিনি। পরে ওই মাসের ২০ তারিখে ওই জমিতে তিনি উপজেলা কৃষি দপ্তরের স্মল হোল্ডার অ্যাগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আওতায় বছরব্যাপী পুষ্টিভিত্তিক ফল ও হোমস্টিড সবজি বাগান হিসেবে ৫৪০টি সবরি কলার চারা রোপণ করেন। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এক নারী কলাবাগানের পাশে ঘাস খাওয়ানোর জন্য একটি ছাগল বাঁধেন। পরে ছাগলটি বাগানে কলার পাতা খেয়ে গাছের ক্ষতি করলে ওই নারীকে ছাগলটি সরিয়ে নিতে বলেন শাহিনুর। বিষয়টি নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শাহিনুরের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। গতকাল সকালে কলার কাঁদি কেটে ফেলার খবর পান শাহিনুর। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার রাতের বেলা কলার কাঁদিগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কলাচাষি শাহিনুর ইসলাম।

রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বুধবার রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে শাহিনুরের কলাবাগান এলাকায় অনেক কুকুর চিল্লাচিল্লি করছিল। মনে হচ্ছে, ওই সময় কে বা কারা তাঁর বাগানে ঢুকে কলার কাঁদিগুলো কেটে নষ্ট করেছে।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষীদের শনাক্ত করা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ