ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পাকিস্তানের
Published: 3rd, May 2025 GMT
ভারতের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান। শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনী সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে। খবর আলজাজিরার
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকার জানায়, শনিবার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থা (এডব্লিউএস) নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ইন্দুস’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সামরিক বাহিনীর প্রধানরা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সব বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত দক্ষতার বিষয়ে ‘পূর্ণ আস্থা’ প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
ইসলামাবাদ বলেছে, ‘সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও অন্যান্য কারিগরি সক্ষমতা প্রমাণ করাই ছিল এডব্লিউএস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হলো। এটিকে ভারত ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে দেখছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ সুদানে হাসপাতালে বিমান হামলা, নিহত ৭
দক্ষিণ সুদানের উত্তরের শহর ওল্ড ফ্যাঙ্গাকে চালানো এক বিমান হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সহায়তাদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।
শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমএসএফ জানায়, হামলায় শহরের শেষ কার্যকর হাসপাতাল ও ফার্মেসি ধ্বংস হয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। খবর আল জাজিরা
সংস্থাটি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে আহ্বান জানিয়েছে, বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন, বেসামরিক নাগরিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করুন।
এ হামলার পেছনে কারা ছিল, বা কেন হাসপাতালটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হলো-তা স্পষ্ট নয়। দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাছের বাজারেও হামলা চালানো হয়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়ায়।
দক্ষিণ সুদানে প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাশার-এর অনুগত বাহিনীর মধ্যে পুরোনো শত্রুতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিশেষ করে নুয়ের জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ফ্যাঙ্গাক অঞ্চলে, যা ঐতিহ্যগতভাবে মাশারের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমা কূটনৈতিকরা আশঙ্কা করছেন, দেশটি আবারও পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দূতাবাস এক যৌথ বিবৃতিতে সম্প্রতি সতর্ক করেছে, দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি গভীরভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা প্রেসিডেন্ট কিরকে মাশারকে মুক্তি দিয়ে সংলাপে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দক্ষিণ সুদান ২০১৩ সালেই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ডিনকা ও নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন এবং নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। যদিও ২০১৮ সালে শান্তিচুক্তি ও জাতীয় ঐক্য সরকার গঠিত হয়, বর্তমানে পরিস্থিতি আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
২০২৩ সালে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন ইতোমধ্যেই দুইবার পিছিয়েছে, এবং ২০২৬ সালের আগে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই।