‘দেবদাস’খ্যাত অভিনেত্রী নাজিমা মারা গেছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) মুম্বাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।  

এ প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, মুম্বাইয়ের দাদারে দুই সন্তানের সঙ্গে বসবাস করতে নাজিমা। ১৯৮৭ সালে সর্বশেষ তাকে রুপালি পর্দায় দেখা যায়। শেষ জীবনটা লাইমলাইট থেকে দূরে, নিঃশব্দে কাটিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

১৯৪৮ সালে ২৫ মার্চ মহারাষ্ট্রের নাসিকে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী নাজিমা। তার প্রকৃত নাম মেহর-উন-নিসা। তার দাদি শরিফা বাই ছিলেন সেই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, আর পিসি হুসন বানুও রুপালি পর্দায় নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই সিনেমার স্বাদ নিয়ে বেড়ে ওঠেন।  

আরো পড়ুন:

প্রেক্ষাগৃহে ২৫ দিন: আহান-অনীতের সিনেমার আয় ৭৩৭ কোটি টাকা

ধানুশের সঙ্গে প্রেম নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ম্রুণাল

‘বেবি চাঁদ’ নামে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন নাজিমা। ‘দেবদাস’ (১৯৫৫) সিনেমায় ছোট পারুর বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।  

‘বিরাজ বহু’ সিনেমায় অভি ভট্টাচার্যের বোন, ‘আয়ে দিন বাহার কে’ সিনেমায় আশা পারেখের বোন, ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর প্রিয় বান্ধবী, ‘অব দিল্লি দূর নেহি’ সিনেমায় রাজ কাপুরের প্রযোজনায় অভিনয় করেন নাজিমা। মূলত, অভিনেত্রীদের বোন বা প্রিয় বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করলেও, নাজিমা দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। 

১৯৫৮ সালে ‘প্রিন্সেস সাবা’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন নাজিমা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘মনচলি’, ‘প্রেম নগর’, ‘অনুরাগ’, ‘বেইমান’ প্রভৃতি।

কিংবদন্তি অভিনেতা রাজেশ খান্নার সঙ্গে ‘আউরত’, ‘ডোলি’ সিনেমায় পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন নাজিমা। তাছাড়া সঞ্জীব কাপুরের সঙ্গে ‘নিশান’ সিনেমায় অভিনয় করেও নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শ্বশুড় বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে জখম  

বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষ শ^শুর বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘরের ওয়ারড্রপে রক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

 সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো- মা সেলিনা বেগম (৫৫) ও ছেলে সেলিম (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সে সাথে তার মা আহত সেলিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এ ব্যাপারে আহত জামাতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতেই হামলাকারি শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ জালাল মিয়ার বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদী শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতা সেলিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

ওই সময় হামলাকারি মেহেদী সেলিমের গালের বাম পাশে সজোরে কামড় মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও শশুড় নান্টু মোল্লা, জুয়েল, সোহাগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেলিনা বেগমের মাথায়  এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে

এ ছাড়াও অন্যান্য বিবাদী নিশী,তন্নী, মহনা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে উল্লেখিত টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ