নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা থেকে রাহাজ কাজী (৩০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩ মে) সকালে উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

মারা যাওয়া রাহাজ কাজী পাঁচুড়িয়া গ্রামের মৃত জয়নাল কাজীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ভেড়ামারায় রেললাইনের পাশে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২ মে) রাতে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান রাহাজ কাজী। শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করেন। সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে তারা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।

লোহাগড়া থানার ওসি মো.

আশিকুর রহমান বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনা বের হওয়া মানেই কি কিডনী রোগ?

অনেকের প্রসাবের সঙ্গে ফেনা বা প্রোটিন বের হয়। প্রোটিন যাওয়ার মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনীর কার্যক্ষমতা কমে আসে এমনকি বিকল হয়ে যেতে পারে। প্রসাবের সঙ্গে প্রোটিন বা আমিষ যদি যায় তাহলে কী করণীয়? 

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ, চীফ কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রদান কিডনী রোগ বিভাগ, বি আর বি হসপিটালস লি. বলেন, ‘‘ অনেক সময় দেখা যায় আপনাকে খুব ক্লান্ত হয়ে, অনেক দৌড়াদৌড়ি করে বা পরিশ্রম করে হঠাৎ প্রস্রাব করলেন, এতে অল্প  পরিমাণ প্রোটিন যেতে পারে। যদি ট্রেস প্রোটিন যায়, এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, ওয়ান প্লাস, টু প্লাস যাচ্ছে অথবা যদি এমন দেখা যায় যে, আপনার চোখের পাতা ভারি হয়ে যাচ্ছে, মুখ ফুলে যাচ্ছে, শরীর ফুলে যাচ্ছে সেই সঙ্গে প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখলেন যে প্রসাবের সঙ্গে প্রোটিন যাচ্ছে তাহলে কিন্তু এটা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।  

শিশুদের ক্ষেত্রে গলায় ইনফেকশনের কারণেও অনেক সময় কিডনীর প্রদাহ হতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রেও প্রোস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন গেলে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। কেন প্রোটিন যায়, সেটা দেখার জন্য কিডনির আশপাশের জায়গা অবশ করে সুঁই দিয়ে একটা স্যাম্পল নেওয়া হয়, তাকে বলা হয় কিডনী বায়োপসি। এরপর মাইস্কোপে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে, কোন ধরণের কিডনী রোগের কারণে প্রোটিন যাচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

স্ক্যাবিস কেন ভালো হচ্ছে না 

‘ব্যায়াম করে ওজন কমাতে চাইলে ব্রেন চাপ অনুভব করে’

সঠিক সময়ে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হলে প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যাওয়া বন্ধ হতে পারে, এতে কিডনী বিকল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা নিলে এটা কিউর হয়ে যেতে পারে, অনেকক্ষেত্রেই।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ