মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার থানা এলাকায় সড়কে ককটেল ফাটিয়ে পথচারীদের কাছ থেকে টাকা লুট করেছে ডাকাত দল। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় ধানখোলা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার ভুক্তভোগী উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসির আরাফাত সাংবাদিকদদের বলেন, সশস্ত্র ডাকাতেরা প্রথমে তাঁর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে আরও আটজনের কাছ থেকে প্রায় ২৩ হাজার লুট করে।

ডাকাতির কবলে পড়েন দিনমজুর আবদুল হালিম। তিনি গাংনী পৌরসভার একটি চালের দোকানে কাজ করেন। দিনে তাঁর আয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। তিনি বলেন, সারা দিন কাজ করে ৬০০ টাকা পেয়েছিলেন। সেই সামান্য টাকাও ডাকাতেরা কেড়ে নিল।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পোর্তোকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কিংবদন্তি অধিনায়ক কস্তা আর নেই

পোর্তোয় মৃত্যুর ছোবল চলছেই!

এক মাসের একটু বেশি সময়ের ব্যবধানে নিজেদের সাবেক তিন ফুটবলারকে হারাল পর্তুগিজ ক্লাবটি। গত ৩ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান পোর্তোর সাবেক উইঙ্গার দিয়োগো জোতা। তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাও মারা যান একই দুর্ঘটনায়। সিলভাও পোর্তোর সাবেক ফুটবলার। কাল ক্লাবটির অনুশীলন সেন্টারে হৃদ্‌রোগে (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাঁদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী সাবেক অধিনায়ক জর্জ কস্তা। ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এ সেন্টারব্যাকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পোর্তো।

আরও পড়ুননেইমারের ‘কামব্যাক’ জোড়া গোলে: ব্রাজিল দলে ফিরবেন কবে২০ ঘণ্টা আগে

পোর্তোর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোর্তোর কিংবদন্তি অধিনায়ক ও বর্তমানে পেশাদার ফুটবল পরিচালক কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টের শিকার হয়ে মঙ্গলবার মারা গেছেন।’

ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় পোর্তোয় কাটানো এবং ক্লাবটির হয়ে ২৪টি শিরোপাজয়ী কস্তা মঙ্গলবার সকালে অনুশীলন সেন্টারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান কস্তা।

পর্তুগিজ ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলে তিন বছর কাটানোর পর ১৯৯০ সালে মূল দলে সুযোগ পান ‘বিচো’ (অ্যানিমেল) নামে খ্যাতি পাওয়া কস্তা। ২০০৫ সাল পর্যন্ত পোর্তোয় থাকার মাঝে কিছুদিন ধারে খেলেছেন তিনটি ক্লাবে। বেলজিয়ামের স্ট্যান্ডার্ড লিয়েগ ক্লাবের হয়ে খেলে ২০০৬ সালে অবসর নেন কস্তা।

আটবার পর্তুগালের শীর্ষ লিগজয়ী সাবেক এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারে সেরা সময় ২০০৪ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। জোসে মরিনিও তখন পোর্তোর কোচ। ফাইনালে মোনাকোকে হারিয়ে ১৭ বছর পর পোর্তোকে ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টের শিরোপা এনে দিয়েছিলেন কস্তা-ডেকোরা।

কস্তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পর্তুগালের সাবেক মিডফিল্ডার ডেকো লিখেছেন, ‘আজ (কাল) পর্তুগিজ ফুটবল এবং পোর্তো তাদের অন্যতম সেরা প্রতীককে হারাল। জর্জ কস্তা ছিলেন পোর্তোর চেতনার ধারক। একজন কিংবদন্তি অধিনায়ক, যিনি সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তোমার নাম চিরকাল স্মরণ করা হবে।’

আরও পড়ুনঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার হয়ে ‘শেষ’ ম্যাচটা খেলতে পারবেন তো মেসি০৫ আগস্ট ২০২৫

পোর্তোর হয়ে ৩২৪ ম্যাচ খেলা কস্তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন তাঁর সাবেক কোচ মরিনিও। বর্তমানে ফেনারবাচে কোচের দায়িত্ব পালন করা এই পর্তুগিজ কোচ সংবাদ সম্মেলনে কস্তার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি, ‘সে এখন আমার সঙ্গে কথা বলতে পারলে এটা বলত, সংবাদ সম্মেলন শেষ করুন, আগামীকালের ম্যাচটা খেলুন এবং জিতুন। আমাকে ভুলে যান। আজ এবং আগামীকাল নিজের কাজটা সারার সেই চেষ্টাই করব আমি। তারপর কাঁদব।’

ফুটবল ছাড়ার পর ১৬টি ক্লাবে কোচের দায়িত্ব সামলেছেন কস্তা। গত মৌসুমে পোর্তোয় ফেরেন ক্লাবটির পেশাদার ফুটবলের পরিচালক হিসেবে। পর্তুগালের হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলা কস্তা তাঁর দেশের সোনালি প্রজন্মের ফুটবলার—লুইস ফিগো, রুই কস্তা, রুই বেন্তো ও লুইস মিগুয়েলদের সঙ্গে ১৯৯১ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি।

কস্তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা হয়, ‘এটা ধাক্কা।’ কস্তাকে ‘নিবেদন ও প্রতিশ্রুতির উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন মন্টেনেগ্রো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ