কেরানীগঞ্জে কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
Published: 4th, May 2025 GMT
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জুনায়েদ (১৫) নামে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের রাজাবাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জুনায়েদ ওই গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মাজহারুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়ে এক কিশোরেরে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
ঢাকা/শিপন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধীদের সংবাদ সম্মেলন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে সময়মতো চিকিৎসক না আসা, রোগনির্ণয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, দালালদের দৌরাত্ম্য রোধসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। রোববার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে তাঁরা একটি স্মারকলিপি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাকির আহম্মেদ। এতে জেলার আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্যসচিব সাব্বির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাসসহ অন্য নেতা-কর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বেশির ভাগ চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে আসেন না। আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল থেকে চলে যান। হাসপাতালে আসা রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার জন্য তাঁদের বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় নির্ধারিত না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। এ জন্য রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের নিয়মিত রাউন্ড না দেওয়া, দালালদের উৎপাত, শিশু ওয়ার্ডে দক্ষ নার্স না থাকা, প্রসূতি ওয়ার্ডে বকশিশ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসা খাতে কোনো সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের সবাইকে চাঁদাবাজ বলে হুমকি দেন।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিকিৎসকদের সময়মতো উপস্থিতি ও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চেম্বারে অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বলেন, হাসপাতালের কোনো তথ্য চেয়ে না পেলে তাঁরা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা (বৈষম্যবিরোধী নেতারা) তা না করে দল বেঁধে এসে জোর করে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করায় তিনি প্রতিবাদ জানান। তখনকার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে বোঝা যাচ্ছে, কারা কেমন আচরণ করেছেন। এর বাইরে আপাতত তিনি কিছু বলতে চান না।