ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জুনায়েদ (১৫) নামে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের রাজাবাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত জুনায়েদ ওই গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মাজহারুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়ে এক কিশোরেরে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

ঢাকা/শিপন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্জয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কাঁদলেন কারিশমা, প্রশ্ন তুললেন তসলিমা

বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা কারিশমা কাপুরকে বিয়ে করে শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর আলোচনায় আসতে চেয়েছিলেন। হয়েছিলোও তাই। সঞ্জয় কাপুর মরে গিয়েও অনেক বেশি আলোচনায় ছিলেন কারিশমাকে কেন্দ্র করেই। এদিকে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কারিশমার উপস্থিতি, তার কান্না নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। 

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘কারিশমা কাপুর কেঁদে বুক ভাসালেন সঞ্জয় কাপুর মারা যাওয়ার পর। সঞ্জয় কাপুরের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় সাদা পোশাক পরে গেলেন, সেখানেও কেঁদে বুক ভাসালেন। আগ বাড়িয়ে সৎকারের সবই করলেন তিনি, আর কেঁদে বুক ভাসালেন। কার জন্য কাঁদলেন, যে লোকটা তাকে পেটাতো, অপমান করতো, অ্যাবিউজ করতো! লোকটা বিবাহিত ছিল, তারপরও কারিশমাকে বিয়ে করেছিল। প্রথম স্ত্রী নন্দিতাকে ডিভোর্স দিয়েছিল অবশ্য। কিন্তু নন্দিতার সঙ্গে সুযোগ পেলেই শুতে যেত। বিয়ের পর থেকেই কারিশমাকে নির্যাতন করতো সঞ্জয়। তাকে পেটাতো, অপমান করতো, অ্যাবিউজ করতো! কারিশমা জানিয়েছেন হানিমুনের দিন সঞ্জয় নিলামে উঠিয়েছিল কারিশমাকে। তার এক বন্ধু কিনে নিয়েছিল কারিশমাকে। এমন জঘন্য নারীবিদ্বেষী একটা লোক, যে নিজের স্ত্রীকেও ভোগের বস্তু ছাড়া আর কিছু মনে করে না, তার জন্য কারিশমাকে কাঁদতে হয় কেন? কারিশ্মার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরই সঞ্জয় আরেকটি বিয়ে করেছে। আরেক মহিলার স্বামীর জন্য কারিশমাকে এত আকুল হয়ে কাঁদতে হয় কেন?’’

তসলিমা নাসরিন আরও লিখেছেন, ‘‘লোকে বলছে, আহা কারিশমা কত ভালো, কত ভালবাসতেন তার স্বামীকে! স্বামী তাকে পেটাতো, অপমান করতো, অ্যাবিউজ করতো, নিলামে ওঠাতো, বেচে দিত, তারপরও কারিশমা কত ভালবাসতেন তাকে! কারিশমার বুক ভেসে যাওয়া কান্না দেখে সবাই মুগ্ধ। তার ত্যাগ দেখে সবাই তৃপ্ত। কত লক্ষ্মী মেয়ে কারিশমা! কত নরম মেয়ে কারিশমা! কত দুর্বল মেয়ে কারিশমা! কত পতিব্রতা মেয়ে কারিশমা! কত প্রাক্তনপতিব্রতা মেয়ে কারিশমা! কেউ কি কারিশমা বলেছে, তোকে যে এত নির্যাতন করেছে, তার জন্য কান্না কেন, চোখের জল মুছে ফেল? না, কেউ বলেনি।’’

আরো পড়ুন:

মৃত্যুর সময় কাউকে পাশে পাননি পাকিস্তানী অভিনেত্রী আয়েশা খান

শুভ বিয়ের প্রস্তাব দিলে কী করবেন মন্দিরা, জানালেন নায়িকা

তসলিমা নাসরিন তার পোস্টে স্পষ্ট করেছেন, কেন তিনি কারিশমার এভাবে কান্না করার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারছেন না। 
 
তসলিমা নাসরীন তার দীর্ঘ পোস্টের শেষের দিকে  আরও লিখেছেন, ‘‘আমি বলছি না, মেয়েদের নিষ্ঠুর হতে হবে, অনুদার হতে হবে। না তা নয়, মেয়েরা উদার হোক, মানবিক হোক, সৎ হোক, সহমর্মী হোক, সহানুভূতিশীল হোক, কিন্তু যেন অযোগ্য লোকদের জন্য, যেন নারী-নির্যাতকদের জন্য মায়া মমতা, প্রেম ভালবাসা, সহানুভূতি সহমর্মিতা ইত্যাদি বর্ষিত না হয়।’’

উল্লেখ্য, ১২ জুন যুক্তরাজ্যে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই শিল্পপতির মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। ভারতে তার মরদেহ নিয়ে আসার পর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কারিশমা। সেখানে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। নায়িকার সঙ্গে ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় সঞ্জয়ের। তবে দুই ছেলে–মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। কারিশমার দুই সন্তানের জন্য ১৪ কোটি টাকার বন্ড কিনে দিয়েছিলেন সঞ্জয়। কারিশমার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি হলেও বিচ্ছেদের পর দুইজনের সৌজন্য সম্পর্ক বজায় ছিল বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ