খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তৌকির আহমেদ আবিদ (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় হল রোড সংলগ্ন শাহ শিরিন সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আবিদ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের এবং ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসায় ভাড়া থাকছেন।
আরো পড়ুন:
ফেসবুকে বহিষ্কৃত খুবি শিক্ষার্থীর ‘হুমকি’
খুলনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫
নিহতের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বরাতে জানা গেছে, আবিদ প্রেম সংক্রান্ত টানাপোড়েন, পারিবারিক অশান্তি এবং আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। এসব কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
তার এই অকাল মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী, শিক্ষকমণ্ডলী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে শোকের আবহ বিরাজ করছে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো.
নগরীর হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খাইরুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”
ঢাকা/হাসিব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই মারযুকের নামে ডাকাতি প্রস্ততির মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটিতে পদ স্থগিত থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পটুয়াখালীর দুমকি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জুন মামলাটি করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে ২২ মে মারজুকের পদ স্থগিত হয়।
দুমকি থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ৬ জুন তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহী তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় শিপন ও মামুন নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, একটি ইলেকট্রিক শক ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দু’জন জানায়, ‘পালানো তরুণের নামক মারযুক আবদুল্লাহ। তারা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন শুক্রবার রাতে সমকালকে বলেন, আটক দু’জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক মারযুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষযে জানতে চাইলে মারযুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দুমকি পুলিশের সঙ্গে আমার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
উল্লেখ, জুলাই আন্দোলনের সময়ে হামলার শিকার দাবি করে ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন মারযুক। ১৪ দলের সমম্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রনিধিসহ ২৪৭ জনকে আসামি করা হয়। ৯ মাস আগের ঘটনা দেখিযে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা এবং এ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় তার পদ স্থগিত করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।