রিয়াল-আনচেলত্তি সমঝোতা, ব্রাজিলের কোচ হতে বাধা নেই তাঁর
Published: 5th, May 2025 GMT
কার্লো আনচেলত্তি কি রিয়াল মাদ্রিদেই থেকে যাবেন নাকি ব্রাজিলের কোচ হবেন-এ নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কাটছেই না।
দ্য অ্যাথলেটিক সপ্তাহখানেক আগেই জানায়, জুনে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি। কিন্তু কদিন আগে গ্লোবোর খবরে বলা হয়, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সঙ্গে আনচেলত্তির আলোচনা ভেস্তে গেছে। কারণ, রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আনচেলত্তির ক্লাব ছাড়ার প্রক্রিয়া জটিল করে তুলেছেন।
তবে আজ দ্য অ্যাথলেটিক নতুন করে যে খবর দিল, তাতে ব্রাজিল সমর্থকদের খুশি হওয়ার কথা। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, আনচেলত্তিকে ছাড়তে রাজি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ ব্যাপারে দুই পক্ষ মৌখিক সম্মতিতে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুনব্রাজিল কেন কোচ খুঁজে পাচ্ছে না ৩০ মার্চ ২০২৫সর্বশেষ আলোচনা অনুযায়ী, লা লিগা মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই মাদ্রিদ ছাড়তে পারবেন ৬৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ। আগামী রোববার বার্সেলোনার বিপক্ষে এল ক্লাসিকোর পরপরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
কার্লো আনচেলত্তি যেতে দিতে আপত্তি নেই রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আনিসুর হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি
জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আনিসুরের বোন ও মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার।
তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বিপ্লব সাহা পরিচয় দিয়ে আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়ালের নাম মামলা থেকে বাদ দিতে বলা হয়। দিলীপ কুমার আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক। তিনি রাজি না হওয়ায় দিলীপ কুমার ফোন করে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে বলেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁকে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন।
দিলীপ কুমার আগারওয়াল গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর অসুস্থতা দেখিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে আনিসুর রহমানের পরিবার।
তাহমিনা আক্তার আরও বলেন, মামলার আরেক আসামি শ্রমিক লীগ নেতা আওরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু। তাঁর কথিত বোন পরিচয় দিয়ে জোবাইদা ইসলাম নামের এক নারী ফোন করে মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে জোবাইদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওরঙ্গজেব সিদ্দিক তাঁর কাছের ভাই। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাউজক) চাকরি করেন। তিনি শ্রমিক দলের সদস্য, শ্রমিক লীগ নেতা নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে দিলীপ কুমার আগারওয়াল পরিচয় দিয়ে যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তাহমিনা আক্তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। পলাতক ও কারাগারে থাকা আসামিদের হুমকিতে তিনি ও তাঁর পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার ও অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।