চার মাস বিদেশে চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত  হাজারো নেতা কর্মীর ঢল নেমেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সহজ করবে। আজ দেশের ও জনগণের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রীর আগমন আমাদের জন্য শুধু আবেগ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তির প্রকাশ।’

আরও পড়ুনখালেদা জিয়াকে কোন কোন পথে অভ্যর্থনা, নেতা-কর্মীদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে থাকতে নির্দেশনা১ ঘণ্টা আগে

বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী, দলীয় নেতা কর্মীরা সকাল থেকেই সড়কের পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিতে শুরু করেন। ব্যানার-ফেস্টুন ও ফুল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। অনেকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ আবার খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত টি-শার্ট পরে ও মাথায় ব্যান্ড বেঁধে উপস্থিত হয়েছেন।

বাসে করে পতাকা হাতে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। বিমানবন্দর সড়কের বনানী কাকলি এলাকা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিএনপিকে দায়ী করলেন আখতার হোসেন

বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই সংকটের দায়ভারও কিন্তু বিএনপির ওপরে গিয়ে বর্তায়।’

বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের জন্য ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনার কথা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বিএনপি যে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছে, সেগুলো যদি থাকে তাহলে এনসিপির দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিএনপির নোট অব ডিসেন্টের বিপরীতে এনসিপির দেওয়া নোট অব ডিসেন্ট বহাল না রাখলে জুলাই সনদে অর্জনের ছিটেফোঁটাও থাকবে না বলে মনে করেন এনসিপির এই নেতা।

‘মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আখতার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে এনসিপির মিডিয়া সেল।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এনসিপির প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে হলে আমাদের দলাদলি বাদ দিতে হবে। আমাদের দলীয় সংকীর্ণ চিন্তা বাদ দিতে হবে এবং বাংলাদেশের পক্ষে যে সংস্কার উপস্থাপনাগুলো আছে, তার পক্ষে আমাদের সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির নিবন্ধন পাবে কি পাবে না; জনগণ জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আছে এবং বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে সামনের নির্বাচনে যে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’

বিএনপি বাংলাদেশে একদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করতে চায় উল্লেখ করে আলোচনা সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশে একদলীয় গণতন্ত্র তারা কায়েম করতে চাচ্ছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে কিন্তু এটা শুধু জিয়া ফ্যামিলির (জিয়াউর রহমানের পরিবার) গণতন্ত্র। আমরা তেমন গণতন্ত্র বাংলাদেশে চাই না।’ এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীকে ধর্মের নামে রাজনীতি না করারও আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ
  • সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ বিএন‌পি 
  • সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে হওয়া উচিত: ড. কামাল হোসেন
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে ও রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্রচর্চাসহ আট দফা সুপারিশ
  • ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
  • তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের পেছনে ছিল রাজনৈতিক বিদ্বেষ: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব ঘোচাতে আলোচনায় ৯ দল
  • বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে: নজরুল ইসলাম খান
  • নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়া, জনতাকে ‘শাস্তি’ ও গণতন্ত্র নিয়ে কয়েকটি কৌতুক
  • দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিএনপিকে দায়ী করলেন আখতার হোসেন