খালেদা জিয়ার জন্য বিমানবন্দর এলাকায় নেতা কর্মীদের ঢল, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সহজ করবে বললেন ফখরুল
Published: 6th, May 2025 GMT
চার মাস বিদেশে চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত হাজারো নেতা কর্মীর ঢল নেমেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সহজ করবে। আজ দেশের ও জনগণের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রীর আগমন আমাদের জন্য শুধু আবেগ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তির প্রকাশ।’
আরও পড়ুনখালেদা জিয়াকে কোন কোন পথে অভ্যর্থনা, নেতা-কর্মীদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে থাকতে নির্দেশনা১ ঘণ্টা আগেবিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী, দলীয় নেতা কর্মীরা সকাল থেকেই সড়কের পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিতে শুরু করেন। ব্যানার-ফেস্টুন ও ফুল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। অনেকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ আবার খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত টি-শার্ট পরে ও মাথায় ব্যান্ড বেঁধে উপস্থিত হয়েছেন।
বাসে করে পতাকা হাতে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। বিমানবন্দর সড়কের বনানী কাকলি এলাকা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে বিজয়ের এই দিনে যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধাভরে করে স্মরণ করছি। পাশাপাশি আমরা সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।
গত ১৬ বছরে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার হাতে যত বিএনপির নেতা কর্মী নিহত হয়েছে সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপির গতানুগতিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বন্দর উপজেলার তিনগাঁও স্ট্যান্ড আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বন্দর উপজেলা বিএনপির আয়োজিত বিজয় র্যালি পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতন স্বাধীন হয়েছিল। সেই স্বাধীনতার মূল কাজই হল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা। গণতন্ত্রকে যদি প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি তাহলে আমাদের ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান সেটা সফল হবে না।
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো ছিল সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে হবে। সকল প্রকার বৈষম্যকে জ্বলনতি দিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেও বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কালে যারা হত্যার হলি খেলেছিল তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সকল প্রকার বৈষম্য অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যথায় ওই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবারো বিপন্ন করবে। আবারো স্বৈরাচার কায়েম করার চেষ্টা করবে। দেশি-বিদেশি যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার জন্য আমাদের নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পাশাপাশি বন্দর উপজেলা, বন্দর থানা, সদর থানা, প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে পাড়ায় মহল্লায় ফ্যাসিসদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ লিটনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান মিঠু, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, হুমায়ূন কবির, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানাসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।