সমাবর্তন ঘিরে চবিতে নিরাপত্তা জোরদার, পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ
Published: 6th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবর্তনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরিচত্রপত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ সমাবর্তনে প্রায় ২৩ হাজার সমাবর্তী শিক্ষার্থী অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা এখনো পরিচয়পত্র পাননি, যাদের পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে, তারা নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন ডিজিটাল পরিচয়পত্রটি ইমেজ হিসেবে নিজ নিজ ফোনে অথবা প্রিন্ট করে সঙ্গে রাখতে পারবেন। এই পরিচয়পত্রের কিউআর কোড স্ক্যান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে।
আরো পড়ুন:
চবিতে বৈধভাবে বরাদ্দ পেয়েও আসন স্থগিত, হলগেটে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
‘সংবিধান ও গণতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রধান চ্যালেঞ্জ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল আইডি কার্ডের কার্যক্রম চলামান রয়েছে। ফলে শতভাগ শিক্ষার্থীর তথ্য এবং ২০১৯-২০ ও তার আগের শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ছবি আপডেট এখনো সম্পন্ন হয়নি।
এজন্য ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে নিজের আইডি, নিজের নাম ও পিতার নামের যেকোনো পরপর কমপক্ষে চার অক্ষর লিখে নির্দেশিত পন্থা এগিয়ে গেলেই কার্ডটি সংগ্রহ করা যাবে। লেখার মাঝে দেওয়া স্পেস অক্ষর হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ বলা বন্ধ হোক
বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ অভিহিত করে পররাষ্ট্রসচিবের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৩০ নাগরিক। শনিবার এক বিবৃতিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন সারা হোসেন, রেহনুমা আহমেদ, শহিদুল আলম, সায়দিয়া গুলরুখ, রেজাউর রহমান লেলিন, ফারজানা ওয়াহিদ, হানা শামস আহমেদ, অরূপ রাহী, ফিরদৌস আজিম, মাহমুদুল সুমন, বীথি ঘোষ, কাজলী সেহরীন ইসলাম, নাজনীন শিফা, মিজানুর রহমান নাসিম, শিমন রায়হান, নূহু আবদুল্লাহ, মারজিয়া প্রভা, সায়েমা খাতুন, ওমর তারেক চৌধুরী, জান্নাতুল মাওয়া, আরমানুল হক, রেংইয়ং ম্রো, পাভেল পার্থ, নাসরিন সিরাজ, অলিউর সান, মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান, মো. মুক্তাদির রশীদ, সাদিয়া আরমান ও সাদাফ নূর।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টির আগে ও পরে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর পূর্বসূরিরা ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলায় বসতি স্থাপন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক কমিটি ফর রেডক্রসের (আইসিআরসি) সহায়তায় এ জনগোষ্ঠীকে দেশের বিভিন্ন জেলার ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০১ সালের এক রিট আবেদনের রায়ে হাইকোর্ট বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্বের প্রশ্নের মীমাংসা করেন এবং এই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। ওই রায়ের আলোকে বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নাম যথাযথভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নাগরিকেরা বলেন, গত ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ সভায় (এফওসি) বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধিকে বাংলাদেশে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানিদের’ প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য অনুরোধ জানান।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক আইনত নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ হিসেবে উল্লেখ করা কেবল ভুলই নয়, বরং ন্যায়বিচারের নীতিরও লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, পররাষ্ট্রসচিব তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতি থেকে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসনের দাবি’ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ শব্দবন্ধে অভিহিত করা বন্ধ করা হোক।