2025-08-11@20:50:25 GMT
إجمالي نتائج البحث: 251
«ইউক র ন ও ইউর প»:
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের তিন দিন বাকি। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো নিয়ে এ বৈঠক হলেও ইউক্রেনকে সেখানে যুক্ত করা হচ্ছে না। এতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধের অবসান অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে। ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী শুক্রবার। বিষয়টি ঘোষণা দিয়ে ৮ আগস্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দুই পক্ষের ‘ভালোর জন্য কিছু অঞ্চল হাতবদল’ করা লাগতে পারে। এ বৈঠক নিয়ে আপত্তির মুখে সম্প্রতি রয়টার্সকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, পুতিন–জেলেনস্কির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পথ খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। তবে আপাতত শুধু রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হবে।ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে এ বৈঠকে নেওয়া কোনো পরিকল্পনা কার্যকর হবে না বলে শনিবার জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। একই মত ইউরোপীয় কমিশনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক...
ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, মস্কোর ওপর চাপ বজায় রাখার কথাও।ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৫ আগস্ট—যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে। এ নিয়ে গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, দুই পক্ষের (রাশিয়া-ইউক্রেন) ভালোর জন্য কিছু ভূখণ্ড হাতবদল করা লাগতে পারে। ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে এসব ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে—এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ট্রাম্প।তবে নিজেদের কোনো ভূখণ্ড মস্কোর হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে শনিবার প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর ইউরোপীয় মিত্ররাও মনে করেন, এমন শর্ত রাশিয়াকে ‘আগ্রাসনে’ উৎসাহিত করবে। এদিন...
ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বৈঠকে থাকছেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে। ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৫ আগস্ট-যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে। গতকাল শনিবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলাস্কায় পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। তবে পুতিনের অনুরোধে এখন শুধু দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন) পরিকল্পনা করা হয়েছে।তবে শনিবারই মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। বৈঠকটির বিষয়ে জানাশোনা আছে—এমন একজন ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছে, জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি চূড়ান্ত নয়। সম্ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে।ইউক্রেনের শান্তি ফেরানোর সিদ্ধান্ত কিয়েভকে ছাড়া নেওয়া যাবে...
ট্রাম্প-পুতিন আগামী সপ্তাহের শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সম্ভাব্য চুক্তিতে ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হতে পারে।এ উদ্বেগ থেকে গতকাল শনিবার রাতে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে পেতে আগামী শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই বৈঠকে যোগ দিতে চাইছেন। ইউক্রেন ও ইউরোপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কিয়েভকে অবশ্যই আলোচনার অংশ করতে হবে।গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড অদলবদল করতে হবে।’ এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।পরদিন গতকাল শনিবার জেলেনস্কি...
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যেকোনো সমাধান হবে ‘শান্তির বিরুদ্ধে সমাধান’। সেই সুরেই সুর মিলিয়ে এবার ইউরোপীয় দেশগুলোও বলছে, কিয়েভকে বাদ দিয়ে এই যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। রবিবার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের সু-২৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত জমি ছাড়ব না, যুদ্ধ শেষ করতে হবে রাশিয়াকেই: জেলেনস্কি প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, “রাশিয়ার সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনা হলে সেখানে অবশ্যই কিয়েভকে রাখতে হবে। ইউক্রেনে শান্তি আনার পথ নিয়ে সিদ্ধান্ত ইউক্রেনকে ছাড়া হতে পারে না।” ...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি বৈঠকে বসবেন। ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলাপ করবেন শীর্ষ এই নেতারা। গতকাল শুক্রবার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা। তবে গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পরই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর হন ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে মস্কো ও কিয়েভ।পরে শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান ট্রাম্প। তিনি এ-ও বলেন, ‘দুই পক্ষের ভালোর জন্য কিছু অঞ্চল হাতবদল করা হতে পারে।’ বর্তমানে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের বড়...
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে এক কঠিন ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। একদিকে ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ভারতের এ দ্বিমুখী নীতি হতাশার।মস্কোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ নানাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারতের মতো বিশাল অর্থনীতির একটি দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখায় তাদের সেসব নিষেধাজ্ঞা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় বলে মনে করে তারা। আর এসব নিয়েই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।নয়াদিল্লির এমন নীতি নিয়ে আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে তাঁর স্পষ্ট দাবি, ভারতকে নির্দিষ্ট একটি পক্ষ নিতে হবে।নিজের এ দাবি জোরদার করতে রাশিয়া থেকে ভারতের সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে - তবে রাশিয়ান নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনীয় নেতার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন না। বুধবার পুতিন ক্রেমলিনে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন প্রথমে ট্রাম্পের সাথে এবং তারপরে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট এতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রথমে ট্রাম্পের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তুতির উপর মনোনিবেশ করার প্রস্তাব করছি ... ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথা বলতে গেলে, যা কোনো কারণে ওয়াশিংটন গতকাল কথা...
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগির দেখা করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সে কথা বলেছেন।এদিনই মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তাঁদের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।কিয়েভের একটি জ্যেষ্ঠ সূত্র বলেছে, পুতিন-উইটকফের বৈঠকের পর ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক ফোনালাপ হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প-পুতিন সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠক নিয়ে কথা হয়। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফিনল্যান্ডের নেতারাও একই ফোনালাপে অংশ নেন।পরে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’যদি ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে বৈঠক হয়, তবে সেটা হবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া...
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। হোয়াইট হাউজের দুই কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বুধবার (৬ আগস্ট) মস্কোতে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের পর পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের কর্মকর্তারা বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেন। যেখানে প্রেসিডেন্টের সফর ও এমন দুজন নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে সাধারণত সময় লাগে, কিন্তু ট্রাম্প তার কর্মকর্তাদের দ্রুত সব কাজ সম্পন্ন করতে বলেছেন। আরো পড়ুন: রাশিয়ায় পৌঁছেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিয়েভে আবারো রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা, নিহত ৩১ হোয়াইট হাউসের ওই দুই কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহ বা এর পরের সপ্তাহে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হতে পারে।...
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকলেও রাশিয়া তার বিপুল জ্বালানিসম্পদের ওপর নির্ভর করে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার সেই অর্থের জোগান বন্ধ করতে চাইছেন।ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ৮ আগস্টের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা সব দেশের ওপর শতভাগ পরোক্ষ শুল্ক আরোপ করা হবে।এর অর্থ হলো, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে—এমন যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। অর্থাৎ সেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্বিগুণ দামে প্রবেশ করবে।রাশিয়ার রপ্তানির প্রধান খাত তেল ও গ্যাস। এসব পণ্যের বড় ক্রেতার মধ্যে আছে চীন, ভারত ও তুরস্ক। ট্রাম্প এক মাস আগে বলেছিলেন, ‘আমি অনেক কাজেই বাণিজ্য ব্যবহার করেছি, কিন্তু যুদ্ধ থামাতে এর চেয়ে ভালো কিছু নেই।’ ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রেও এর আগে এ ধরনের শুল্ক ব্যবহার...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক কি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে?রাশিয়ার একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্র অন্তত তা-ই মনে করে। তারা রেলগাড়ির উদাহরণ টেনে ব্যাখ্যা করেছে বর্তমান মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক।মস্কোভস্কি কোমসোমোলেটস নামের ওই পত্রিকা লিখেছে, ‘এটা এখন প্রায় নিশ্চিত যে সামনে এক ভয়ংকর সংঘর্ষ আসছে। ট্রাম্পের ট্রেন আর পুতিনের ট্রেন একই লাইনে মুখোমুখি ছুটছে। কেউ থামছেও না, কেউ দিকও বদলাচ্ছে না।’পুতিনের ‘ট্রেন’ পুরো গতিতে চলছে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে, যেটাকে রাশিয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে। যুদ্ধ থামানোর বা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির কোনো ইচ্ছা পুতিন দেখাননি।অন্যদিকে ট্রাম্পের ‘ট্রেন’ যুদ্ধ থামাতে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। ট্রাম্প সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও ভারত-চীনের মতো রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর শুল্ক বসানোর হুমকি দিচ্ছেন।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্পের দাবি,...
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগে বিপুল পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৫ শিশুসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভে যুদ্ধের এই পর্যায়ে রাশিয়ার এতটা ব্যাপক হামলাকে ‘অতিশয় বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া যা করছে, আমি মনে করি, তা অতিশয় বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা সত্যিই জঘন্য।’ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া সফরে যাবেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন।গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় গ্রহণ করেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন ট্রাম্প। এরপর স্টিভ উইটকফ বেশ কয়েকবার মস্কো সফর করেছেন। সফরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তখন ইউক্রেনে হামলা কমিয়েছিল রাশিয়া।কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি যুদ্ধ শেষ করতে...
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এ সপ্তাহে ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনার জন্য দায়ী করে বসেন এবং বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কের ওপর আরও ‘শাস্তিমূলক’ কর বসানোর হুমকি দেন; বিষয়টি তখন বজ্রাঘাতের মতো আসে। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার জ্বালানি কেনায় ভারতের সক্রিয় ও দৃশ্যমান উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। অথচ সে সময় অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনা কমায় বা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতৃত্বে রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যায়। ভারত এ সুযোগকে মূল্যছাড়ে তেল কেনার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখে তা লুফে নেয়। ট্রাম্প ভারতের বাণিজ্যিক নীতির নানা দিক নিয়ে যদিও ক্ষোভ পোষণ করে এসেছেন কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে...
ভ্যালেন্টিন ভেলিকিই গত বছর খেয়াল করেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ তাঁদের এলাকার আরও কাছাকাছি চলে আসছে। চলতি গ্রীষ্মের শুরুতে যুদ্ধ তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায় চলে আসে। তিনি বলেন, ‘দিন–রাত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যেত। সম্প্রতি আমার ঘরের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র যেতে শুরু করেছে। গর্জনের মতো শব্দ হয়। আকাশে ধোঁয়ার মতো একটি রেখা দেখা যায়।’ ৭২ বছর বয়সী পেনশনভোগী ভেলিকিই যুদ্ধের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। ভেলিকিইয়ের বাড়ি কৃষিপ্রধান মালিয়িভকা গ্রামের ১৮ নম্বর পেট্রেংকো স্ট্রিটে। এটি কেন্দ্রীয় পূর্ব ইউক্রেনের দনিপ্রোপেত্রোভস্ক এবং দোনেৎস্ক প্রদেশের প্রশাসনিক সীমান্তে অবস্থিত। আগে রাশিয়ার সেনারা অনেক দূরে ছিলেন। পরে তাঁরা ধীরে ধীরে কাছে চলে আসেন। এখন তাঁরা পৌকোভস্ক শহরকে ঘেরাও করছেন এবং একটির পর একটি উন্মুক্ত প্রান্তর দখল করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপে ১৯৪৫ সালের পর সবচেয়ে...
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে নতুন একটি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আইনটি ইউক্রেনের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোর স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২২ জুলাই ইউক্রেনের পার্লামেন্টে তড়িঘড়ি আইনটি পাস করা হয়। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেদিনই আইনটিতে স্বাক্ষর করেন।এই আইনে ইউক্রেনের জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরো এবং বিশেষ দুর্নীতিবিরোধী প্রসিকিউটরের কার্যালয় দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল বা প্রধান আইন কর্মকর্তার অধীনে চলে গেছে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জেলেনস্কির নিয়োগ করা ব্যক্তি। জেলেনস্কির দাবি, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থায় রুশ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্যই এ পদক্ষেপ জরুরি ছিল।সমালোচকেরা মনে করেন, এই আইনের আসল উদ্দেশ্য হলো প্রেসিডেন্টকে এমন ক্ষমতা দেওয়া, যাতে তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করে দিতে পারেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি চেরনিশভ।বিরোধী রাজনীতিবিদেরা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আইনটিকে এমন...
গত ১৬ জুন ইউক্রেন সরকার দেশটির লিথিয়াম খনির ভান্ডারের জন্য বিদেশি কোম্পানিগুলোর দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করে। আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে রোনাল্ড এস লডারের সঙ্গে যুক্ত একটি কনসোর্টিয়ামও। রোনাল্ড এস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।এই দরপত্র এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি খনিজ চুক্তির অংশ হিসেবে আহ্বান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের আলোচনা শেষে চুক্তিটি সম্পাদিত হয়।চূড়ান্ত চুক্তি করার পর ইউক্রেনীয়রা বলেছেন যে আগের খসড়াগুলোর তুলনায় এর শর্তাবলি ইউক্রেনের পক্ষেই থাকবে। এই চুক্তি ইউক্রেনে খনি ও জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করেছে। বিনিয়োগসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন যৌথভাবে গ্রহণ করবে। এখানে যে মুনাফা হবে, তাতে কোনো কর আরোপ করা হবে না এবং মার্কিন কোম্পানিগুলো টেন্ডার ও...
রাশিয়া রেকর্ড ৭২৮টি ড্রোন দিয়ে বুধবার ভোরে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভে আরো অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তীব্র সমালোচনা করার কয়েক ঘন্টা পরে এই হামলা চালানো হলো। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ড্রোন ও বিমান হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে রাশিয়অ। রাশিয়ার এই তীব্র হামলা যুদ্ধের এক বিপজ্জনক মুহূর্তে ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, কিয়েভের সামরিক বাহিনী প্রায় সব ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে রাশিয়ার ছোড়া ছয়টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কয়েকটি অনির্দিষ্ট ক্ষতি করেছে। কর্মকর্তারা পশ্চিম ইউক্রেনে ড্রোনের হামলায় একজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। দোনেতস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অংশে ড্রোন এবং বোমায় আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়...
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়েছিল-তিনি ইরানে আক্রমণ চালাতে ইসরায়েলের সাথে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কিনা। ট্রাম্প জবাবে বলেছিলেন, “আমি এটা করতে পারি। আমি এটা নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করতে যাচ্ছি।” তিনি বিশ্বকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিলেন যে, তিনি ইরানকে আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য দুই সপ্তাহের বিরতিতে সম্মত হয়েছেন। তবে সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে ট্রাম্প বোমা হামলা চালিয়েছেন। ট্রাম্পের কথাবার্তা ও কাজকর্মের একটি প্যাটার্ন উদ্ভূত হচ্ছে। আর এটি হচ্ছে- ট্রাম্প সম্পর্কে সবচেয়ে অনুমানযোগ্য বিষয় হল তার অনিশ্চয়তা। তিনি তার মতামত পরিবর্তন করেন। তিনি নিজেই নিজের বিরোধিতা করেন। তার আচরণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক পিটার ট্রুবোভিটজ বলেছেন, “ট্রাম্প অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত নীতি নির্ধারণী কার্যক্রম...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তবে এবার তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আশাবাদ দিতে পারেননি। উল্টো তাঁকে হতাশ হতে হয়েছে। তিনি জানান, আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুতিন যুদ্ধ থামাতে চাচ্ছেন– মনে হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার দুই নেতার কথোপকথনের পর ক্রেমলিন জানায়, লক্ষ্য অর্জনে হামলা চালিয়ে যাবে মস্কো। দুই নেতার ফোনালাপের পর রাতে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের আকাশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি ঝরেছে। হামলায় ক্রুজ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এসব হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন। এর আগে ২৮ জুন রাতের হামলাটিও ছিল ভয়াবহ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের অবস্থানের কারণে কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের মার্কিন প্রচেষ্টা মূলত স্থগিত হয়ে গেল।...
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চান ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করুক, এমন মন্তব্য করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল। তিনি বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে স্থগিত শান্তি আলোচনার মধ্যে পুতিন তার সর্বোচ্চ দাবির কোনোটিতেই পিছু হটছেন না। পুতিন আলোচনা চান না, তিনি ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চান। ইউক্রেনে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার হামলা বৃদ্ধির পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তিনি এ কথা বলেন। বর্তমানে তিনি কিয়েভ সফরে আছেন। খবর এএফপির। এদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলো ও কানাডা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত থাকার ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখবে। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে জানান, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপ ও কানাডা মিলে ইউক্রেনকে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যা গত বছরের পুরো পরিমাণ ৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছে...
রাশিয়ার ক্রিমিয়া অঞ্চলে অবস্থিত কিরোভস্কে বিমানঘাঁটিতে রাতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। তারা বলছে, এতে রাশিয়ার কয়েকটি হেলিকপ্টার ও একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউর বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ঘাঁটিতে রাশিয়ার উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী ইউনিট, গোলাবারুদের গুদাম ও ড্রোন ছিল। এগুলো ড্রোন হামলার নিশানা করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলায় এমআই-৮, এমআই-২৬ ও এমআই-২৮ নামের হেলিকপ্টার এবং পান্তসির-এস১ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।এসবিইউর দাবি, ড্রোন হামলার পর সারা রাত ক্রিমিয়ার ওই বিমানঘাঁটিতে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে। রাশিয়ার বিমান হামলার প্রস্তুতি বন্ধ করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শত্রুপক্ষকে বুঝতে হবে দামি সামরিক সরঞ্জাম বা গোলাবারুদ কোথাও নিরাপদ নয়—না যুদ্ধক্ষেত্রে, না ক্রিমিয়াতে, এমনকি একেবারে পেছনের ঘাঁটিতেও নয়।’এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ক্রিমিয়ার...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনকে কোনো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেননি। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে ‘প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা’ বিক্রির চেষ্টা করবেন।ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এ বছর সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে সহায়তা বন্ধ রেখেছে। এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও বলেছেন, তিনি পুরো ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ করতে চান।ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, এই মুহূর্তে ইউরোপ ও কানাডা ইউক্রেনকে মোট ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর পুরো বছরে তা ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার। এবার ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পৌঁছে গেছে। কেউ কেউ বলছেন, তা ৪ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, এই মুহূর্তে ইউরোপ ও কানাডা...
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া পরাজিত না হলে মস্কো জোটের অন্য সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনের আগে তিনি এ কথা বলেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, “রাশিয়া এমনকি ন্যাটো ভূখণ্ডে নতুন সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে - অর্থাৎ আপনাদের দেশগুলোতে। নিঃসন্দেহে আমাদের পুতিনকে এখনই থামাতে হবে এবং ইউক্রেনেও। তবে আমাদের বুঝতে হবে যে তার লক্ষ্যগুলো ইউক্রেনের বাইরেও বিস্তৃত। ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে।” বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অস্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্রয়, নিষেধাজ্ঞা এবং পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টির অন্যান্য উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চান। ঢাকা/শাহেদ
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও একাধিক ইউরোপীয় দেশের নেতারা এই সপ্তাহে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে এই সম্মেলন হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে। সেই সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ, যেখানে ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। দ্য হেগ শহরে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো এতে অংশ নিচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ন্যাটোর নবনিযুক্ত মহাসচিব মার্ক রুটে এই প্রথমবারের মতো সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সদস্য দেশগুলোর যৌথ প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয়ের পরিমাণ- একটি বিতর্কিত ইস্যু, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই...
ট্রাম্প ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ইউরোপকে এখনই ঠিক করতে হবে, সে কি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে, না রাশিয়ার জয়ের মূল্য দেবে।কিছুদিন আগেও ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করত। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ট্রাম্পকে আর তেমন ভাবায় না। তিনি রাশিয়ার কথাই বারবার বলছেন। ন্যাটোকে তুচ্ছ করেছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা নিয়ে রসিকতা করেছেন। যদিও পুতিন সম্প্রতি বলেছেন ‘পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে’। ট্রাম্প আর ইউক্রেনের সমর্থক নন। তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য শান্তি-উদ্যোক্তা হয়ে ওঠেননি। সব মিলিয়ে ইউক্রেন বিষয়ে তাঁর কথার এখন তেমন মূল্য নেই। তবে এসবের খেসারত দিচ্ছে ইউক্রেন। দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেন শুরু করেছে ‘অপারেশন স্পাইডারওয়েব’। রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলার মাধ্যমে ডজনখানেক বিমানঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস...
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আগামী মঙ্গলবার শুরু হতে যাচ্ছে দু’দিনব্যাপী ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ নিরাপত্তা জোটে ৩২ দেশ থাকলেও আলোচনায় কেবল একমাত্র ব্যক্তি– মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির বিশ্লেষণী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩২টি সদস্য দেশের নেতা ও ডজনখানেক সহযোগী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এ সম্মেলনে। কিন্তু সম্মেলনের সময় কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র তিন ঘণ্টা। বিবৃতি সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়েছে পাঁচ প্যারাগ্রাফে। লক্ষ্য একটাই– মতবিরোধ আড়াল করে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট রাখা। ট্রাম্পের দাবি মেনে ইউরোপীয় মিত্ররাও প্রতিরক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। জোটের প্রতিটি সম্মেলনে প্রধান লক্ষ্য কিছুটা ‘পূর্বনির্ধারিত’– সংঘবদ্ধতার বার্তা দেওয়া। তবে এবার মূল আলোচনার সূচি অনেকটা নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প নিজেই। তাঁর চাপে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার অঙ্গীকার করছে। যদিও...
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া বারবার ইসরায়েলকে জানিয়ে এসেছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে চায় না। সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভোস্তির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর আরজাজিরার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের বক্তব্য ‘ভুল’, যেখানে তিনি (পরিচালক) বলেছিলেন ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে না। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ এর আগেই রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বগদানভ আলজাজিরাকে জানিয়েছিলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার ইরান, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।” মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। উভয় দেশের সঙ্গে রাশিয়ার শক্তিশালী ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে একাধিকার কথা বলেছেন পুতিন। এই সংঘাতে ঘি ঢালার জন্য...
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোসওয়াফ সিকোরস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার হামলা পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে যে, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে উপহাস করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ইউরোপ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে তার প্রস্তুতি জোরদার করছে। ইতালির রোমে ইউক্রেন বিষয়ে এক বৈঠকে যোগ দিতে এসে এসব মন্তব্য করেন সিকোরস্কি। বৈঠকের বিষয়ে সিকোরস্কি বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের এখন ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহায্য করার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা ছায়া নৌবহর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাল্টিকের মতো অগভীর ও আবদ্ধ সমুদ্রের জন্য এটি একটি বাস্তব হুমকি।’ অভিযোগ রয়েছে, ‘বিভিন্ন কম পরিচিত দেশের পতাকা বা কোনো পতাকা ছাড়াই বিপুল পরিমাণ তেল বহন করে’ রাশিয়ার ছায়া নৌবহর। এদিকে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ দূত লি হুইকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে চীন।...
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধ অব্যাহত থাকায়, মঙ্গলবার (১০ জুন) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার ওপর ১৮তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ প্রস্তাব করেছে। নতুন এই প্রস্তাবে বিশেষ করে রাশিয়ার তেল রপ্তানি ও ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্য করা হয়েছে। খবর আনাদোলুর। ব্রাসেলসে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা ক্যালাসের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেন, “নতুন পদক্ষেপগুলো মূলত রাশিয়ার জ্বালানি ও ব্যাংকিং খাতে আঘাত হানবে।” তিনি আরো বলেন, “শক্তিই একমাত্র ভাষা যা রাশিয়া বুঝতে পারবে।” আরো পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হামলায় যুক্তরাজ্য ১০০ শতাংশ জড়িত: মস্কো আবারো রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে সফল হামলার দাবি ইউক্রেনের তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতি ইতিমধ্যেই ধুঁকছে, তেল ও গ্যাসের রাজস্ব প্রায় ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২১০ বিলিয়ন ইউরোর রিজার্ভ জব্দ রয়েছে।” নতুন...
রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার পর কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে চলেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্র এই আক্রমণ নিয়ে শিরোনাম করেছে ‘রাশিয়ার পার্ল হারবার’। এটা বিস্ময়করই। কেননা, এই আক্রমণের চূড়ান্ত পরিণতি কী হতে পারে, সেটা তারা ভুলে গেছে।বাস্তবে মাঠের যুদ্ধের চিত্র হলো রাশিয়ার দিকেই ক্রমশও পাল্লা ভারী হচ্ছে। ধীরে ধীরে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।সর্বশেষ ড্রোন হামলা ইউক্রেনের নতুন কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়ার যুদ্ধের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়ে হয় মস্কোর কাছ থেকে আরও সুবিধাজনক চুক্তি আদায় করা, অথবা সম্ভবত আমেরিকা ও ইউরোপীয় মিত্রদের সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে রাজি করানো।ইউক্রেনের এই নতুন কৌশলের শুরু ২০২৪ সালের আগস্টে কুরস্কে হামলার মধ্য দিয়ে। ওই অভিযানে ইউক্রেনের প্রায় ৭৫ হাজার সেনা নিহত বা আহত হয়েছিলেন। একই সময়ে ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে ড্রোন হামলা শুরু করেছিল।আরও...
মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ‘জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচিত নেতা ক্যারল নওরোকি। দ্বিতীয় দফা ভোটের পর আজ সোমবার (২ জুন) তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে ফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। খবর রয়টার্সের। পোল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দ্বিতীয় দফা ভোটে কট্টর রক্ষণশীল ইউরো-সংশয়ী নেতা ক্যারল নওরোকি ৫০.৮৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উদারপন্থি নেতা ওয়ারসোর মেয়র রাফাল ত্রজাস্কোস্কি ৪৯.১১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। পোল্যান্ডের নির্বাচনের দিকে নজর ছিল প্রতিবেশি ইউক্রেনসহ রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে মানুষের। কারণ, এই নির্বাচনের ফল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে। রয়টার্স বলছে, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নওরোকির জয় দেশটির ইউরোপন্থি সরকারের সংস্কার এজেন্ডার উপর এক বড় ধাক্কা। ‘জাতীয়তাবাদী’ নওরোকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাপারে সন্দিহান এবং তার নীতি মার্কিন রক্ষণশীল রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ৪২ বছর বয়সী নওরোকি...
ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা নেতাদের পূর্ব দিকে ন্যাটো সম্প্রসারণ বন্ধ করার জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। তিনটি রুশ সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক ইউরোপীয় সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পুতিন কিয়েভের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকার করে ‘আগুন নিয়ে খেলছেন।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, “পুতিন শান্তি স্থাপন করতে প্রস্তুত, কিন্তু যেকোনো মূল্যে নয়।” তিনটি রাশিয়ান সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মার্কিন নেতৃত্বাধীন...
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে এ পর্যন্ত সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন পর্যন্ত শুধু আশ্বাসের ওপরই রেখেছেন রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। গত সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর পুতিন আবারও শান্তি ফেরাতে ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার আশ্বাস দেন। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, পুতিন কি আসলেই যুদ্ধবিরতি চান? নাকি তিনি হামলা আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য আলোচনায় বসার নামে শুধু সময়ক্ষেপণ করছেন। ওই ফোনালাপের পর মস্কো-কিয়েভ পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলাও হয়েছে। সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়, একদিকে ট্রাম্প পুতিনের ওপর বিশ্বাস করতে চান, অন্যদিকে ট্রাম্পের পদক্ষেপ ভালো ফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন পুতিন। এভাবেই দুই নেতা পরিস্থিতি শুধু অনিশ্চয়তার দিকেই ঠেলে দিচ্ছেন। শান্তি কেবলই দূরে চলে যাচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়াই ইউক্রেনকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করার কথা বিবেচনা...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করবে। সোমবার (১৯ মে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দেন। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে তার কথোপকথনকে ‘খুব ভালোভাবে সম্পন্ন’ হয়েছে বর্ণনা করে বলেছেন, শান্তির জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করা প্রয়োজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন যে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার শর্তগুলো ‘দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করা হবে’। তিনি বলেন, এটিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়, ‘কারণ তারা এমন একটি আলোচনার বিশদ জানেন যা অন্য কেউ জানে না।’ আরো পড়ুন: শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনকে ফোন করবেন ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, তিনি...
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার দুই নেতার মধ্যে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনালাপ হয়। পরে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে মস্কো ও কিয়েভ।রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের খবরে বলা হয়, ভবিষ্যতে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া কাজ করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। সে অনুযায়ী দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হতে পারে। পুতিন বলেছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে ‘সঠিক পথে’ রয়েছে রাশিয়া।রুশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে পুতিন বলেন, খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই আলোচনাকে খুবই ‘কার্যকর’ বলে মনে করছেন তিনি। শান্তিচুক্তি নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার...
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনে আলাপ করেছেন। এই আলোচনার পর পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্রুত পুনরায় আলোচনার টেবিলে ফিরবে। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি যুদ্ধবিরতির কার্যকরে আলোচনা শুরু করবে। তিনি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরিচালিত আরআইএ নভোস্তিকে পুতিন বলেছেন, তিনি একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি চান। তার দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কাজ করতে প্রস্তুত, যা সবপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আলোচনাটিকে অত্যন্ত স্পষ্ট ও কার্যকর বলেও আখ্যা দিয়েছে রুশ গণমাধ্যম। পুতিন...
তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনায় যোগ দিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা গত শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এসেছিলেন। তাঁদের দুই পক্ষের মধ্যকার পার্থক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এক পক্ষকে আত্মবিশ্বাসী ও সুসংগঠিত বলে মনে হয়েছে। তারা তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে একেবারে পরিষ্কার। আর অন্য পক্ষকে অসংগঠিত ও আত্মবিশ্বাসী নয়, এমন মনে হয়েছে।সম্ভাব্য বন্দোবস্তের সীমারেখা সম্পর্কে রাশিয়ার অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই পরিষ্কার। যদিও ভূখণ্ড–সংক্রান্ত বিষয়টাতে রাশিয়া একটি হিসাবি কৌশলগত অস্পষ্ট অবস্থান বজায় রাখছে। এর কারণ হলো, এটা তাদের চাপ দেওয়ার সুবিধাজনক কৌশল। মস্কো অব্যাহতভাবে ইস্তাম্বুলে চুক্তিতে ফেরার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, ২০২২ সালের বসন্তে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত চুক্তিটি ভেস্তে যায়।এর বিপরীতে ইউক্রেনপন্থী জোটের অবস্থান ছিল বিশৃঙ্খল। যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রায় একটা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেন আর এর ইউরোপীয় মিত্ররা চেষ্টা...
যুদ্ধ থামাতে কোনো সুরাহায় পৌঁছাতে পারছে না রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে কম চেষ্টা করছে না যুক্তরাষ্ট্রও। তাতেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আজ সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করার কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই ফোনালাপের জেরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতি আসতে পারে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প-পুতিনের এই ফোনালাপের এক দিন আগেই তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সরাসরি বৈঠক করেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর ৩ বছরের মধ্যে প্রথম আলোচনায় বসেন তাঁরা। সেখানে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলেও ১ হাজার করে বন্দী বিনিময়ে রাজি হয় দুই পক্ষ। পরে যুদ্ধবিরতির আশায় ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ইউরোপের নেতারাও। গত শুক্রবার তুরস্কের ওই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন নিজেই। বৈঠকে পুতিন...
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ জানিয়েছেন, তিনি এবং যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং পোল্যান্ডের নেতারা সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চান। ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনালাপের আগেই তারা এটি করতে চান। রবিবার সাংবাদিকদের কাছে মার্জ জানান, ভ্যাটিকানে পোপ লিও চতুর্দশের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ভ্যাটিকানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথেও দীর্ঘসময় কথা বলেছেন। মার্জ বলেন, “আমি মার্কো রুবিওর সাথে কথা বলেছি, আগামীকাল ফোনালাপের বিষয়েও। আমরা একমত হয়েছি যে (পুতিনের সাথে) এই কথোপকথনের প্রস্তুতির জন্য আমরা চার রাষ্ট্রীয় নেতা মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাথে আবার কথা বলব।” চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধের “রক্তপাত” বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি পুতিন এবং জেলেনস্কির...
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গতকাল শুক্রবার আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় নেতাদের এক সভায় বলেছেন, তাদের গাজাকে সমর্থন করা উচিত, ঠিক যেমন তারা ইউক্রেনকে সহায়তা করছেন। সভায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “মানবতার বেশিরভাগ অংশ আমাদের দেখছে। কখনো কখনো তারা আসলে বুঝতে পারে না যে, আমরা ইউক্রেন সম্পর্কে কী করছি, তবে আমাদের ব্যাখ্যা করতে হবে।” খবর আল জাজিরার। ম্যাক্রোঁ আরো বলেন, “আমরা যখন গাজা সম্পর্কে নীরব থাকি, তখন তারা ইউক্রেন সম্পর্কে আমাদের মোটেও বোঝে না। তারা আমাদের বলে: ‘এটা অদ্ভুত। যখন আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ করা হয় তখন আপনি আমাদের বলেন যে, আমাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং যখন গণহত্যা হয় তখন আপনি চোখ বন্ধ করে রাখেন।” আরো পড়ুন: গাজা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯০০ ছাড়াল ফরাসি প্রেসিডেন্ট...
বিশ্বের দিকে দিকে যখন চলছে যুদ্ধের উন্মাদনা, তখন চীন-রাশিয়ার মধ্যে দেখা যাচ্ছে ‘ইস্পাত কঠিন’ ঐক্য। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উত্তেজনাসহ পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে মস্কো-বেইজিং বন্ধুত্ব আরও সুসংহত হয়েছে। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরে বিষয়টি যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশ দুটির এমন দৃঢ় ঐক্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে পশ্চিমা বিশ্বকে। গত ৭-১০ মে রাশিয়া সফর করেন শি জিনপিং। নাৎসি জার্মানির পরাজয় স্মরণে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপনে বন্ধু ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ছুটে যান তিনি। চায়ের আড্ডায় কাটিয়েছেন প্রায় ১০ ঘণ্টা। বিশ্লেষকরা বলছেন, শি জিনপিংয়ের এবারের মস্কো সফর চীন-রাশিয়া সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা করেছে। মস্কোতে শি প্রায় ২০টি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট। অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে...
ইউক্রেন সংকট সমাধানে আলোচনায় বসতে হলে সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থাকতে হবে– এমন শর্ত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার তাঁর প্রধান উপদেষ্টা মিখাইলো পডোলিয়াক এ কথা জানান। রয়টার্সকে পডোলিয়াক বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো রুশ প্রতিনিধি নয়, বরং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেই শুধু বৈঠকে বসবেন জেলেনস্কি। এই আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অংশ নিতে চান বলে জানিয়েছেন। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে ট্রাম্প এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে পুতিন এখনও নিশ্চিত করেননি, তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা। ইতোমধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষই শান্তির পথে কাজ করার বার্তা দিলেও স্পষ্ট কোনো রূপরেখা মেলেনি। রোববার পুতিন সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও ইউক্রেনের এক মাসের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তিনি উপেক্ষা করেন। এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জেলেনস্কিকে তা মেনে নিতে বলেন। সোমবার হোয়াইট...
অনেকেই ভেবেছিল রাশিয়ার ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয় দিবস’–এর কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যোগ দেওয়ায় হয়তো তিনি এবার পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলবেন। এতে অনেকের মনে আশা জেগেছিল, সম্ভবত চীন এবার শান্তির পক্ষে কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে তিন বছর পার করেছে, তখনো চীনের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট উদ্যোগ দেখা যায়নি যে তারা সত্যি যুদ্ধ থামাতে চায় বা শান্তি আলোচনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে চায়।এর বদলে চীন বরং রাশিয়াকে রাজনৈতিক (কূটনৈতিক), অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চীন কখনোই এই যুদ্ধকে ‘আগ্রাসন’ বলে স্বীকার করেনি, অর্থাৎ তারা কখনো বলেনি যে রাশিয়া অন্য দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকি রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করে নেওয়ার পরও চীন তা সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘে যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে...
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব। জেলেনস্কি বলেন, হত্যাকাণ্ড দীর্ঘায়িত করার কোনো মানে হয় না। আমরা আগামীকাল থেকে একটি সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আশা করছি, যা কূটনীতির জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করবে। ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বৃহস্পতিবার তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হন। এতে আশার আলো দেখছেন বিশ্বনেতারা। খবর-রয়টার্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। তিনি আগে যুদ্ধবিরতি, পরে আলোচনা চান। দু’পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে তুরস্কও। নতুন পোপ লিও রোববার তাঁর প্রথম বার্তায় বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোকে আর যুদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে ভ্লাদিমির পুতিনের...
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ছোটাছুটি করছেন বিশ্বনেতারা। তারা এ নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা তুলছেন। সর্বশেষ রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী বৃহস্পতিবার তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। এতে আশার আলো দেখছেন বিশ্বনেতারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। তিনি আগে যুদ্ধবিরতি, পরে আলোচনা চান। দু’পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে তুরস্কও। নতুন পোপ লিও রোববার তাঁর প্রথম বার্তায় বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোকে আর যুদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার ভোরে ক্রেমলিনে এক ভাষণে পুতিন আলোচনায় বসার কথা তোলেন। তিনি ২০২২ সালের স্থগিত হয়ে যাওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ফের শুরু করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আমরা কিয়েভ কর্তৃপক্ষকে ফের শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দিচ্ছি। আগামী বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। ...
আগামী দিনগুলোতে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ রোববার সকালে ক্রেমলিনে দেওয়া এক বক্তব্যে পুতিন এ প্রস্তাব দেন। তবে ইউরোপীয় নেতাদের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা গতকাল শনিবার কিয়েভে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়।তবে ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল কিয়েভ এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা এক বৈঠকে আগামীকাল সোমবার থেকে রাশিয়ার প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় কিয়েভে এ বৈঠক হয়েছে বলে বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছে। পুতিন বলেন, ‘আমরা কিয়েভ সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা ২০২২ সালে যে আলোচনা ভেঙে দিয়েছিল, তা যেন আবার শুরু করে।...
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো বিলম্ব ছাড়াই, ১৫ মে'র মধ্যেই একটি আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। আমরা সিরিয়াস আলোচনা চাই। সংঘাতের মূল কারণ উপড়ে ফেলতে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করতে চাই শনিবার গভীর রাতে ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিরল এক ভাষণে এ কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁসহ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন সফর করে রাশিয়াকে ৩০-দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর পুতিন এমন প্রস্তাব দেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিয়ে মস্কো চিন্তা করবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হবে নিতান্তই অর্থহীন। ওদিকে পুতিন তার বক্তব্যে বলেছেন, তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে আলোচনা হওয়া...
আগামী সোমবার থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানাতে একমত হয়েছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেন।দেশগুলোর নেতারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে এ প্রস্তাব করা হয়।২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তিন বছর পার হলেও ইউক্রেনে হামলা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি দেশটি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কিয়েভের পক্ষ থেকে দেওয়া এ ধরনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা। মস্কো আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই।ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে। ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও এর মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর বসন্তে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করে রাশিয়া।আরও পড়ুনবিজয় দিবসে কুচকাওয়াজে পুতিনের পাশে...
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সায় পেলে সেটি অগ্রসর হবে। যুদ্ধবিরতির এই প্রচেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন, তার সারাংশে রয়েছে এটি হতে হবে ‘শর্তহীন’। জেলেনস্কির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আরো যা যা রয়েছে- জেলেনস্কির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: শান্তির পথে ৩০ দিনের সুযোগ মূল প্রস্তাবনার সারাংশে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হবে সোমবার (১২ মে) থেকে এবং এটি ৩০ দিন চলবে। আরো পড়ুন: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণের নিহতের খবর জেলেনস্কির শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮ যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে আকাশপথ (ড্রোন, যুদ্ধবিমান ইত্যাদি বন্ধ), সমুদ্রপথ (নৌযান, সাবমেরিন অপারেশন নিষিদ্ধ), স্থলপথ (সেনা আগ্রাসন, গোলাবর্ষণ সম্পূর্ণ...
ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরটি ছিল রুশ বাহিনীর জন্য সবচেয়ে মারাত্মক। বছরটিতে কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৮৭ রুশ সেনা নিহত হয়। আক্রমণের প্রথম বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেশি। এমনকি দ্বিতীয় বছর ২০২৩ সালের তুলনায়ও বেশি। ওই বছরটিতে ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলবে– এমন একটা পর্যায়ের দিকে বাঁক নিয়েছিল। গতকাল সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর দিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর জন্য লড়াই হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালে রুশ বাহিনী ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ে। প্রতি মাসেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল। এ সময় রুশ ও তাদের সমর্থিত বাহিনীকে প্রত্যেক কিলোমিটার ভূমি জয় করতে ব্যাপক লড়াই করতে হয়েছে। এতে গড়ে প্রতি কিলোমিটারে রুশ বাহিনীর ২৭ জন নিহত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম মিডিয়াজোনা, স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দলের সহযোগিতা,...
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারো জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৭তম দফায় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে শান্তির পথে ‘একমাত্র বাধা’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে ইইউ রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা স্পষ্ট করেছে, পুতিন ইউক্রেন থেকে নিঃশর্তভাবে সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না ইইউ। ব্যারো বলেন, ‘আমরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা তৈরি করছি এবং সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামকে বলেছি, আমরা সমন্বয় করব।’ সম্প্রতি গ্রাহামসহ মার্কিন আইনপ্রণেতারা রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ও যারা রুশ জ্বালানি কিনছে, তাদের ওপর শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর ব্যারো বলেন, ‘এটি ইউরোপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা শান্তির পথে একসঙ্গে কাজ...
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন গতকাল বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ খাতে বিশেষ সুবিধা পাবে। এখান থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।বিরল খনিজসহ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ ও চুক্তির বিস্তারিত বিষয়ে পর্যালোচনা করা যাক:গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও এগুলো কিসে ব্যবহৃত হয় রেয়ার আর্থ বা বিরল খনিজ হলো ১৭টি ধাতুর একটি সমষ্টি, যেগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি), মোবাইল ফোন, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এসব ধাতুর কোনো কার্যকর বিকল্প নেই।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ৫০টি খনিজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিরল খনিজ, নিকেল ও লিথিয়াম। এসব গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রতিরক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং পরিবেশবান্ধব শক্তি...
২০২৪ সালে বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্নায়ুযুদ্ধের পর বিশ্বে এক বছরে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার এটি। গত সোমবার সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।সিপ্রি বলছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সব অঞ্চলের সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১০০টির বেশি দেশ তাদের সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রায়ই অন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের বাজেট কাটছাঁট করে ক্রমাগত সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে কাটছাঁট করার কারণে ভবিষ্যতে সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে।’গত বছর...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একজন নিঃসঙ্গ পথিক। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত নীতির একজন স্ব-স্বীকৃত অনুশীলনকারী। মোদির এই নীতি হলো– আমাদের এ যুগ যুদ্ধের নয়; এখানে ‘যুদ্ধের অনুকূল পরিস্থিতি’ যতই থাকুক। ট্রাম্প নিজের ব্যাপারে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। দেশে যুদ্ধবাদীদের আক্রমণের জন্য নিজেকে উন্মুক্ত রাখেন, যদিও তিনি একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী; নির্বিচারে মার্কিন স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন। গত বছরের ১৪ জুন মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে অতিশয় উচ্চাকাঙ্ক্ষী এক পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন, সেখান থেকে তিনি পিছু হটেছেন। তার পুরো কৃতিত্ব ছিল ট্রাম্পের। ওই সময় পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য কিছু অসম্ভব শর্ত উত্থাপন করেছিলেন, যার মধ্যে আশ্চর্যজনক হলেও তাদের নিজ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া ওব্লাস্টে থাকা অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয়...
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ। বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার,...
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। শুক্রবার মস্কোয় তিন ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুজনের মধ্যে আলোচনা ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ।পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে শুক্রবারই মস্কো সফরে যান স্টিভ উইটকফ। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প যে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তার অংশ হিসেবে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো রাশিয়া সফর করলেন উইটকফ। শান্তি আলোচনায় যে অগ্রগতি হচ্ছে, সে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।ইউরি উশাকভ বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুধু ইউক্রেন নয়, বরং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও কাছাকাছি এসেছে। ইউক্রেন সংকটের কথা বলতে গেলে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে।পুতিন...
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, যেকোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার দখলদারির স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে এবারই প্রথম কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন তিনি।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধ শেষ করার একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ চুক্তির বিষয়ে মূলত ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।এদিকে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা গতকাল বুধবার লন্ডনে একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। তারা কীভাবে ওই চুক্তির প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এটি মূলত তাদের অনুপস্থিতিতেই তৈরি হয়েছে। জেলেনস্কি পাল্টা প্রস্তাব হিসেবে উভয় পক্ষের জন্য শর্তহীন একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক...
লন্ডনে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে নির্ধারিত উচ্চ পর্যায়ের শান্তি আলোচনা শেষ মুহূর্তে কর্মকর্তা স্তরের আলোচনায় সীমিত করা হয়েছে। আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর অনুপস্থিতি এবং রাশিয়া-মার্কিন গোপন আলোচনার ফাঁস হওয়া তথ্যকে কেন্দ্র করে ইউরোপে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় মারহানেতস শহরে একটি বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ জন। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি নিশ্চিত করেছেন, মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর মূল বৈঠকটি বাতিল করে নিম্ন পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও ইউক্রেন বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। দ্য গার্ডিয়ান, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু এলাকা ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০১৪...
লন্ডনে বুধবার শুরু হওয়ার কথা ছিল নতুন ধাপের ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর অংশ না নেওয়ার আকস্মিক সিদ্ধান্তে কারণে স্থগিত হয়ে গেছে সেই আলোচনা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনা স্থগিত হওয়া লন্ডনের জন্য একটি কূটনৈতিক অস্বস্তি তৈরি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। যে আলোচনায় নেই ইউরোপ ও ইউক্রেন। দ্য গার্ডিয়ান এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু এলাকা ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া অঞ্চলের স্বীকৃতি দাবি করেছে। রুশ ড্রোন হামলায় নিহত ৯: রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের শ্রমিক বহনকারী একটি বাসে হামলায় ৯ জন নিহত...
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার প্রায় ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত হানছে। ট্রাম্প ‘প্রথম দিনেই’ যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো কোনো শান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প প্রশাসন কবে স্বীকার করবে যে তারা ব্যর্থ হচ্ছে?শুরুতে ট্রাম্পের দাবি ছিল খুব সহজ, ‘যুদ্ধ থামাও, আলোচনায় বসো।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপের পর তিনি বলেছিলেন, খুব দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সেই সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।কিন্তু এরপর যা ঘটেছে, তা হলো পুতিন ও তাঁর ক্রেমলিনের ছোট একটি দল ট্রাম্পের অনভিজ্ঞ আলোচক স্টিভ উইটকফকে এমন এক জটিল ও অসম্ভব শর্তের গোলকধাঁধায় ফেলেছেন, যেখান থেকে বেরোনো কঠিন। এত দিন ধরে এই নাটক চলার পর এমনকি সবচেয়ে বোকা...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার প্রথম ১০০ দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবারও প্রমাণ করেছেন, প্রচণ্ড ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষকে আমোদিত করার তাঁর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। তিনি যা বলেন, তাতে কখনোই কোনো কিছুর ঘাটতি রাখেন না।নিজের প্রশংসা থেকে শুরু করে মিত্রদেশগুলোকে অপমান করা—হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্পের কিছু আলোচিত কথা নিচে তুলে ধরা হলো:ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছেন।’ক্ষমতায় ফেরার প্রথম দিনেই ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘মেসিহ’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তিনি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন—গত বছর পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সভায় তিনি কীভাবে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া এক স্বৈরশাসক।’ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই অভাবিত মন্তব্যটি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। জেলেনস্কি অভিযোগ করেছিলেন, রুশদের ‘ভুয়া তথ্যের’ শিকার...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে বিশেষ কোনো যুক্তি ছাড়াই বিগত শত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তা প্রায় সব দেশের ওপরই কার্যকর করেছেন। তারপর হঠাৎই (যদিও তিনি আগেই বলেছিলেন, এই শুল্কগুলো স্থায়ী হবে) তিনি সব দেশের জন্য নতুন ‘পারস্পরিক’ শুল্ক স্থগিত রাখেন, শুধু একটি দেশ ছাড়া।বাকি সব দেশের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ শতাংশ হারে শুল্ক রাখেন। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে তিনি আরও কঠোর ব্যবস্থা নেন। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফা ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের পর ‘মুক্তির দিন’ ঘোষণা করে ৩৪ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করেন এবং পরে তা বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করেন। সব মিলিয়ে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সর্বনিম্ন কার্যকর শুল্ক দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশ (তবে ভোক্তাপণ্যের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় রয়েছে)।চীন প্রথম দুই দফা ১০...
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখা না গেলে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দিনের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াবে। আজ শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে সেখানে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর একক উদ্যোগে তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরু করলে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ইউরোপের দেশগুলো। এ আলোচনার টেবিলে তারাও থাকতে চায়।তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ২০২২ সালে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টা হোঁচট খায়।মার্কো রুবিও বলেছেন, বৃহস্পতিবারের আলোচনায় ইউরোপীয় কর্মকর্তারা সহযোগিতার বিষয়ে খুবই আন্তরিক ছিলেন এবং গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন। এই বৈঠকে রুবিওর পাশাপাশি এ সংকট...
সমগ্র ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হিসেবে দেখা হয়, যেখানে মাইডাসের উল্টো স্পর্শ রয়েছে। অর্থাৎ তিনি যা স্পর্শ করেন, তার পরিণতি আরও খারাপ হতে থাকে। তবুও বেশির ভাগ ব্যাপারে তাঁর পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গি থাকা সত্ত্বেও তিনি আমাদের যুগের নিখুঁত মূর্ত প্রতীক। ২০২১ সালে আমি ‘দ্য এজ অব আনপিচ’ বই লিখেছিলাম। সেখানে এই যুক্তি তুলে ধরেছিলাম, নিরবচ্ছিন্নভাবে যুক্ত থাকা বা হাইপার-কানেকটিভিটির জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়মের ব্যাপারে নতুন করে ভাবনা শুরু করা উচিত। আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের মধ্যে সংঘবদ্ধ করার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থা ছিল, সেগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাণিজ্য, ইন্টারনেট, শক্তির উৎস, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা, অভিবাসন, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও ভোগান্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এই নতুন বিশ্বে লক্ষ্য করেছি,...
বিশ্বব্যাপী চলমান দুটি ভয়াবহ সংঘাত হলো ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ’ এবং ‘গাজা যুদ্ধ’। এ দুটি যুদ্ধ ভিন্ন অবস্থান ও ভূরাজনৈতিক কারণে নির্মমতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। তবে প্রথমটিতে তুলনামূলক সামরিক মানদণ্ডে ভারসাম্য থাকলেও দ্বিতীয়টিতে একতরফা হামলা, প্রাণঘাতী অস্ত্রের ঝনঝনানি সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, গাজা যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা কেন সাড়ে ১৯ মাস আগে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের তুলনায় এত বেশি এবং গাজার বাসিন্দারা কেন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছেন না? অন্যদিকে ইউক্রেনীয়রা কীভাবে সরে যেতে পেরেছেন? একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও মানবিক সংকটগুলো আমাদের সামনে আরেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে। সব যুদ্ধ কি একইভাবে কাঁদায়? ইউক্রেন ও গাজার দুই যুদ্ধক্ষেত্রের চিত্র স্পষ্ট করে, বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও সহানুভূতির মানদণ্ড এক নয়। একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সহানুভূতির জোয়ার;...
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো চুক্তির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের সুমি শহরে গতকাল রোববার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৪ জন নিহত হওয়ার আগে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে। সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্তের আগে, যেকোনো ধরনের সমঝোতার আগে অনুগ্রহ করে এখানের মানুষ, বেসামরিক লোকজন, যোদ্ধা, হাসপাতাল, গির্জা ও শিশুদের দেখে যান, যাঁদের হয় হত্যা করা হয়েছে, না হয় ধ্বংস করা হয়েছে।’রোববারের হামলা বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য, তারা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোয় হামলা চালিয়েছে। হামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ট্রাম্পের কাছেও। জবাবে তিনি ওই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ-ও বলেছেন, তাঁকে ‘জানানো হয়েছে-তারা (রাশিয়া) একটি...
রাশিয়ার সুধজা শহর থেকে ইউক্রেনের উঝহোরোদের মধ্য দিয়ে স্লোভাকিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত গ্যাস বহনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইনের ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সোভিয়েত যুগে নির্মিত এই ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও ইউরোপের একটি প্রধান জ্বালানি সরবরাহ পথ। বিভিন্ন প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঔপনিবেশিক চাপ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। শুক্রবার ওয়াশিংটন ও কিয়েভের কর্মকর্তারা খনিজ সম্পদবিষয়ক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাইডেন সরকারের দেওয়া অস্ত্রের বিনিময়ে ইউক্রেনকে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে। রয়টার্স জানায়, এ প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় আলোচনা ক্রমেই তিক্ত হয়ে ওঠে। ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত প্রথম খসড়ার চেয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনেক বেশি আগ্রাসী। আগের খসড়ায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ, তেল ও গ্যাসের বিনিময়ে চুক্তির প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সর্বশেষ...
ইউক্রেনে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া থেকে গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন খবরে এ তথ্য উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন চাওয়াকে ঔপনিবেশিক ধারার নিপীড়ন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের শাসনামলে ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র সহায়তার ‘বিনিময়ে’ কিয়েভ যেন তার প্রাকৃতিক সম্পদের মজুত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি খনিজ চুক্তি সই নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গত শুক্রবার বৈঠক করেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের শাসনামলে ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র সহায়তার ‘বিনিময়ে’ কিয়েভ যেন তার প্রাকৃতিক সম্পদের মজুত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির...
ইউক্রেন শান্তি চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্সবার্গে বৈঠক করেন দুই নেতা। ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান জানানোর মধ্যে এই আলোচনা করলেন তারা। খবর বিবিসির। ক্রেমলিন জানিয়েছে, বৈঠকটি চার ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় এবং মূলত ‘ইউক্রেন সংকট সমাধানের বিভিন্ন দিক’ নিয়ে আলোচনা হয়। এটি ছিল চলতি বছরে পুতিনের সঙ্গে উইটকফের তৃতীয় বৈঠক। রুশ বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আরো পড়ুন: গ্যাগারিন বিজ্ঞান উৎসবে রকেট মডেল তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বৃহস্পতিবার তুরস্কে আবারো বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এর আগে আলোচনা নিয়ে রাশিয়ার প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। শুক্রবার, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘রাশিয়াকে এ বিষয়ে দ্রুত...
ইউক্রেন সংকট ঘিরে বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক ও সামরিক তৎপরতা আরও জোরদার হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও জার্মানির উদ্যোগে শুক্রবার ব্রাসেলসে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা যোগাযোগ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি জানিয়েছেন, এ বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ আরও বাড়ানো। বৈঠকে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৫৮ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই প্যাকেজের আওতায় রাডার সিস্টেম, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন এবং বিপুল পরিমাণ ড্রোন সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা সামরিক যান ও সরঞ্জাম মেরামতেও ব্যয় করা হবে এ অর্থের একটি অংশ। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শুক্রবার রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হতে পারে। এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তা হবে উইটকফ ও...
ইউক্রেনকে ২১ বিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার) সামরিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে মিত্রদেশগুলো। গতকাল শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপের সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রায় ৫০টি দেশ নিয়ে এ জোট গঠিত হয়।গতকাল এই জোটের ২৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা অংশ নেন। আগের ২৫টি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন নিজেকে গুটিয়ে নিলে যুক্তরাজ্য সভাপতিত্ব করছে।অবশ্য গতকালের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিও অংশ নেন। পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বলেন, ইউক্রনকে ২১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে জোটের সদস্য দেশগুলো। এটি ইউক্রেনের জন্য...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, চীনের যোদ্ধারা রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে চীনের নাগরিকদের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।বুধবার ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুজন চীনের নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছিলেন। আরও বেশ কিছু চীনের নাগরিক রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নেমেছেন, তাঁদের কাছে এমন প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন তিনি।জেলেনস্কির অভিযোগ, বেইজিংয়ের অনুমতি নিয়েই ওই ব্যক্তিরা রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন। সব মিলিয়ে ১৫৫ জন চীনের সেনা রাশিয়ার দলে আছেন বলে তাঁরা খবর পেয়েছেন। তাঁদের নাম ও পাসপোর্টের তথ্যও ইউক্রেনের হাতে আছে বলে জানানো হয়েছে।চীনের বক্তব্যচীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছিল, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। চীনের নাগরিকদের বারবার জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন কোনোভাবেই অন্য কোনো...
ইউক্রেনে দ্রুত শান্তিচুক্তি চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর প্রশাসন। রাশিয়া ট্রাম্প প্রশাসনের সব প্রচেষ্টাকে বানচাল করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গতকাল শুক্রবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সামরিক জোট ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে ইউরোপের প্রতিনিধিরা ওই মনোভাব ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, শান্তিচুক্তিতে বাধ্য করতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠিন অবস্থান গ্রহণ করা উচিত ট্রাম্প প্রশাসনের। কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শান্তিচুক্তির বিষয়ে আন্তরিক নন। ব্রাসেলসের বৈঠক সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, পুতিনের মনোভাব নিয়ে সম্প্রতি সতর্ক হয়ে উঠেছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প যদিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে চান। মার্চ মাসে মস্কোকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিয়েভ এতে সম্মতি জানিয়েছিল। শর্ত সাপেক্ষে তাতে...
ইউক্রেনে দ্রুত শান্তিচুক্তি চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমানতালে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর প্রশাসন। কিন্তু রাশিয়া ট্রাম্প প্রশাসনের সব প্রচেষ্টাকে বানচাল করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আজ শুক্রবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সামরিক জোট ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠক ইউরোপের প্রতিনিধিরা ওই মনোভাব ব্যক্ত করেন। তাঁরা মনে করেন শান্তিচুক্তিতে বাধ্য করতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠিন অবস্থান গ্রহণ করা উচিত ট্রাম্প প্রশাসনের। কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শান্তিচুক্তির বিষয়ে আন্তরিক নন। ব্রাসেলসের বৈঠক সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পুতিনের মনোভাব নিয়ে সম্প্রতি সতর্ক হয়ে উঠেছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প যদিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলছেন, তিনি বিশ্বাস করেন পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে চান।মার্চ মাসে মস্কোকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিয়েভ এতে...
আজ ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গঠিত হয় একটি সামরিক জোট। পুরো নাম নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ন্যাটো। প্রতিষ্ঠা থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোট বলা যায় একে। ৭৬ বছর আগে সই হওয়া ন্যাটো প্রতিষ্ঠার চুক্তিকে ‘ওয়াশিংটন চুক্তি’ নামেও ডাকা হয়। চুক্তিতে সই করে মোট ১২টি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে ও পর্তুগাল। ধীরে ধীরে আরও দেশ এ জোটে শরিক হয়, বাড়তে থাকে ন্যাটোর পরিধি। বর্তমানে ৩২টি দেশ এ জোটের সদস্য। সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্চে ন্যাটোয় যোগ দেয় সুইডেন। দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতার নীতি ছুড়ে ফেলে সুইডেন ন্যাটোয় যুক্ত হয়েছে। ন্যাটোর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। ন্যাটোর বর্তমান মহাসচিব মার্ক রুটে। তিনি একসময় নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।একজন ট্রাম্প ও ন্যাটোর অস্তিত্বের সংকটপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে...
ইউরোপীয়রা আগে যা জানতেন ‘সিগন্যাল অ্যাপ’ কেলেঙ্কারি সেটাই নিশ্চিত করেছে। ইউরোপের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অবজ্ঞা গভীর এবং আটলান্টিকের এপার-ওপারের দেশগুলোর মধ্যে ফাটল এখন কাঠামোবদ্ধ রূপ পাচ্ছে। যদিও আশা এখনো জিইয়ে আছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চূড়ান্ত ধরনের বাজে অবস্থায় যাওয়া ঠেকাতে পারবে ইউরোপ। গ্রিনল্যান্ডে আগ্রাসন, ইউরোপের ন্যাটো সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার অথবা সর্বাত্মক বাণিজ্যযুদ্ধ—সবকিছুই ঠেকানোর আশা করছেন ইউরোপের কোনো কোনো নেতা।এ মুহূর্তে ইউরোপের নেতাদের সবচেয়ে জরুরি মনোযোগের বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে ধাক্কা দিয়ে বাসের নিচে ফেলে চলেও যায়, তাহলে ইউরোপ যেকোনোভাবেই হোক সম্মিলিতভাবে মুক্ত, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে সফল হবে। এখানে কোনো বিভ্রমের অবকাশ নেই যে ইউরোপীয় নেতারা সেটা করতে চান যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়েই অথবা ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশলগত অনুমোদন নিয়েই। সিগন্যাল অ্যাপ কেলেঙ্কারির ঘটনাটি একই সঙ্গে...
২০২২ সালের শীতের এক দুপুর। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পেচার্স্ক লাভ্রা গির্জার বিশাল সোনালি গম্বুজের ওপর সূর্যের আলো পড়ে চকচক করছে। ইতিহাসের এই সাক্ষীস্থল কখনই কেবল প্রার্থনার জায়গা ছিল না, ছিল ইউক্রেনীয় জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির প্রতীক। কিন্তু আজ এর চারপাশে উত্তেজনা। মঠের ভেতরে রুশ ও ইউক্রেনীয় পাদরিদের মধ্যে ঠান্ডা বাগ্যুদ্ধ চলছে। বাইরের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর মুখেও একই রকম উত্তেজনা। তারা সবাই জানে, এই তর্ক শুধু ধর্মীয় নয়, এটি শতাব্দীপ্রাচীন জাতিগত ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অংশ।আসলেও তা–ই। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুধুই ট্যাংক, বন্দুক আর ক্ষেপণাস্ত্রের যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ ইতিহাসের গহিনে গাঁথা এক বিশ্বাসের লড়াইও বটে। চলছে চার্চের অন্দরে, ধর্মীয় গোঁড়ামির পটভূমিতে। হয়তো বাইরে থেকে দেখলে মনে হতে পারে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শুধুই ভূখণ্ড ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, কিন্তু যদি চার্চের...
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন দেখে অনেকেই মনে করছেন, তিনি দীর্ঘ মেয়াদে আমেরিকাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ করতে চান। এখন ধারণা করা হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া মিলে বিশ্বকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে, যেমনটি ১৯৪৫ সালের ইয়াল্টা সম্মেলনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ীরা করেছিল। ট্রাম্প আমেরিকার ৮০ বছরের পুরোনো নিয়ম ও আইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ধরে রাখার অঙ্গীকার থেকে সরে আসছেন, ফলে বিশ্ব আবার সেই যুগে ফিরে যাচ্ছে, যেখানে শক্তিই শেষ কথা বলে।তবে এর মানে এই নয় যে ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে বিশেষভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে চান বা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রতি গভীর প্রশংসা প্রকাশ করেন। তদুপরি ধরে নেওয়া উচিত নয় যে পুতিন ও সি আমেরিকার প্রতি কখনোই পুরোপুরি আস্থাশীল হবেন, এমনকি যদি তঁারা ট্রাম্পের...
যুক্তরাষ্ট্র কি চীন-রাশিয়া বিভক্তির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইছে? ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর ডানপন্থি পণ্ডিত টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, বাইডেনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র না বুঝে চীন ও রাশিয়াকে জোট বাঁধার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দুটি শক্তিকে বিভক্ত করাকে তাঁর প্রশাসন অগ্রাধিকার দেবে। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তিনি আশা করছেন, দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটবে। ইউরোপীয় সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনা এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার, এমনকি যদি এর অর্থ ইউক্রেনকে নিজের সুবিধার জন্য বিপদেও ঠেলে দেওয়া হয়, তবে এটি চীনা শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ স্থানান্তরের প্রেক্ষাপটে দেখা যেতে পারে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক ফোনালাপের পর ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘ইতিহাসের একজন ছাত্র হিসেবে আমি দেখেছি,...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘শিগগিরই মারা যাবেন।’ আর এই ঘটনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে ক্রমাগত গুজবের মধ্যে ২৬শে মার্চ প্যারিসে ইউরোপীয় সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে জ্বালানি অবকাঠামো আক্রমণ এবং শত্রুতা রোধে রাশিয়া ও ইউক্রেন মার্কিন-মধ্যস্থতায় আংশিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্মত হওয়ার একদিন পর জেলেনস্কির এই মন্তব্য এলো। প্যারিস সফরের সময় জেলেনস্কি বলেছিলেন, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমেরিকা পুতিনকে এখনই এই বৈশ্বিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য যেন না করে। আমি বিশ্বাস করি এটা বিপজ্জনক। এটা সবচেয়ে বিপজ্জনক মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি।” জেলেনস্কি বলেন, পুতিন ‘তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার আশা করেন’, এবং তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা কেবল ইউক্রেনের...
ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসন এবং আটলান্টিক জোটকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্থিতিশীল করার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের ভ্রূণ গজিয়ে ওঠার পথে। মার্কিন সামরিক সহায়তা ছাড়া ইউরোপের উদার গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এবং রাশিয়াকে ঠেকাতে এটি যথেষ্ট শক্তিশালী প্রমাণিত হবে কিনা, তার পরীক্ষা শিগগিরই হতে পারে। ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকানোর জন্য মার্কিন নেতৃত্বে ন্যাটো তৈরি করা হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধকালে জোটটি ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং কমিউনিস্ট শাসনের পতনের পর নতুন মধ্য ইউরোপীয় সদস্যদের আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু মার্কিন বিচ্ছিন্নতার ভূত এখন ইউরোপকে তার পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ রক্ষকের ছেড়ে যাওয়ার হুমকি তৈরি করছে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিনিময়ে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতার জন্য ট্রাম্প যখন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তখন ইউরোপীয় নেতারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। কেননা, ন্যাটো বা ইইউ; কেউই কিয়েভের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না।...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যখন আলোচনা শুরু করেছেন, তখন তিনি আবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গেও একটি বৈঠকের আয়োজন চলছে।আমেরিকার কৌশল হচ্ছে পুতিন ও সিয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করা, যাতে এই দুই নেতা একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে যান। এই কৌশলের লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়াকে চীনের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের দাবির কাছে বেইজিংকে নতি স্বীকার করানো।মার্কিন এই কৌশল সফল হবে কি না, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এরই মধ্যে এটি রাশিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম দিকের মার্কিন মিত্রদের একটা ধাক্কা দিতে শুরু করেছে।কোনো কোনো মার্কিন মিত্র আরও জোরালো মৈত্রীর আওয়াজ তুলছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যাতে আরও দৃঢ় অবস্থান নেয়, সেই দাবি তারা জানিয়েছে। কোনো মিত্র আবার যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই জোটগুলো পুনর্গঠনের কথা বলেছে।একদা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মতো ইউরোপীয়...
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত সোমবার আলোচনা করেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। ওই আলোচনার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখছেন মস্কো ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি। মস্কো ও ওয়াশিংটন উভয় পক্ষই বলেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নৌপথে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক আলোচনায় বসেছেন। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র বলেছে, রিয়াদে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই ইতিবাচক ঘোষণা আসার বিষয়টি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।ওয়াশিংটন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে সোমবার যুদ্ধ শেষ করার আলোচনা হয়েছে। তবে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা আশঙ্কা করছে, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প এমন একটি চুক্তি করতে পারেন, যাতে রাশিয়ার দাবির কাছে নতি স্বীকার করা হবে।...
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আজ সোমবার নতুন আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর যুদ্ধবিরতি আলোচনা গতি পেয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেন। আসুন, তাঁর আসার পর যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি সম্পর্কে ঘটনাবলি জেনে নেই—মস্কোর ওপর ওয়াশিংটনের চাপ ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘একটি চুক্তি’ করা দরকার। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, তিনি (পুতিন) চুক্তি না করে রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন।’এর দুদিন পর, ট্রাম্প হুমকি দেন, ‘এখনই’ চুক্তি না করলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ যুদ্ধ বন্ধ করবেন। যদিও পরে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া এগিয়ে...
সম্প্রতি মস্কো-ওয়াশিংটনের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অক্ষ। আবার রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তার রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং গণতন্ত্রকামীরা আশঙ্কা করছেন যে যুক্তরাষ্ট্র তার মিয়ানমার নীতি নিয়ে মৌলিক পরিবর্তন আসতে পারে। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগে, যুক্তরাষ্ট্র ছিল জান্তা এবং স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের তীব্র সমালোচক এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনের এক প্রধান সমর্থক। এখন, ট্রাম্প প্রশাসন সেসব সমর্থন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সংবাদমাধ্যমের জন্য একটি বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। থাই সীমান্তে থাকা মিয়ানমারের যে শরণার্থী একসময় আমেরিকার সহায়তা পেত, তারা এখন যেন এক মৃত্যুকূপে পড়ে আছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প কি আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলকে কাজে লাগানো শুরু করবে নিজের প্রয়োজনে? কাউন্সিলকে যদি আমেরিকা একঘরে করতে চায় তাহলে...
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে ‘ভঙ্গিমাপূর্ণ ও কৌশলী’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তাঁর এ মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। উইটকফ বলেন, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে ‘অতি সরলীকৃত’ ধারণা পোষণ করছেন এবং ‘চার্চিল হওয়ার অভিনয় করছেন’। সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি তাঁকে খারাপ ব্যক্তি হিসেবে দেখি না। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।’ তবে উইটকফের কিছু বক্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিকে, সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগে কিয়েভে রুশ ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা...
ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর শহর ওডেসায় বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত তিন কিশোর আহত হয়েছে এবং অনেকগুলো আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা আগুন লেগে ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় একটি গাড়ি মেরামত কেন্দ্রে আগুন ধরে পুড়ে গেছে অন্তত ২৫টি গাড়ি। রাশিয়ার ভয়াবহ এ হামলার সময় ওডেসায় অবস্থান করছিলেন ইউক্রেনের অন্যতম মিত্র চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেত্র পাভেল। এই হামলার মাত্র কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত আলোচনার তৎপরতা বাড়িয়েছে। অন্তত দেশ দুটির জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করার একটি আংশিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কাজ করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। রাশিয়া এখনও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি। ওডেসায় ভয়াবহ এ হামলার পর রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বোমারু বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার রাশিয়ান এবং...
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পরদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক ঘণ্টার এ আলাপচারিতা ‘বেশ ভালো ছিল’ বলে জানান তিনি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে জেলেনস্কি জোর দিয়েছেন– এটা কেবল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। জেলেনস্কি জানান, তিনি ও ট্রাম্প জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র মার্কিন তত্ত্বাবধানে রাখার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে থাকা ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হতে দুই বছর সময় লাগবে। ইউরোপ ও ইউক্রেনের জন্য এ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা খুবই জরুরি। বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউরোপের নেতারা। এ উপলক্ষে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার ওসলো পৌঁছান জেলেনস্কি। একই দিনে লন্ডনে...
পশ্চিমা নেতাদের জন্য এই যুদ্ধ থেকে একটি বড় শিক্ষা নেওয়ার আছে। গোটা মানবজাতিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে, এমন কোনো পরমাণু শক্তিধর দেশকে সামরিকভাবে পরাজিত করা সম্ভব নয়। রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ‘সফট পাওয়ার’ বা কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব। এই হাতিয়ার পশ্চিমারা শীতল যুদ্ধের সময় অনেক সফলভাবে ব্যবহার করেছিল।ঐতিহাসিকভাবেই রাশিয়ার সংস্কৃতি ও অর্থনীতি ইউরোপের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তা ভবিষ্যতেও থাকবে। ইউরোপ মেনে নিক বা না নিক, রাশিয়া নিজেকে ইউরোপীয় সমাজের অংশ বলেই মনে করে। এই বাস্তবতা পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এক কৌশলগত সুযোগ তৈরি করে। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে রাশিয়াকে দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাবিত করলে বরং লাভ বেশি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে হুমকি কমানোর জন্য তা পশ্চিমাদের প্রক্সি যুদ্ধের চেয়ে ভালো হবে বলেই মনে হয়। এ ছাড়া ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোতেও পরিবর্তন...
যুদ্ধবিরতির কথোপকথন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা থাকলেও, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ময়দানে তার কোনো চিহ্নের দেখা মিলছে না মোটেই। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এসব হামলায় বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি হচ্ছে প্রাণহানিও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে এ তথ্য। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ না হলে রুশ বাহিনী লড়াই চালিয়ে যাবে। পুতিনের এ মন্তব্যের পর থেকেই ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে উভয় পক্ষ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ৩১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে এবং কিয়েভের আশপাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে পরবর্তী...
বিশ্ব যে মুহূর্তে ক্রমে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে, ঠিক সে মুহূর্তে ইউক্রেন যুদ্ধ এই বিভাজনকে আরও গভীর করেছে। শুরু থেকেই দুটি পক্ষ স্পষ্ট ছিল—একদিকে ছিল রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো।এদিকে গ্লোবাল সাউথের (এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলো) বেশির ভাগ দেশ শুধু চেয়েছে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। তবে এখন বিশ্বরাজনীতিতে পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তন ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। তিন বছর পার হলেও ইউরোপ, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে এখনো ইউক্রেনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাত হিসেবে এই যুদ্ধ ইউরোপের মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এটি ইউরোপের নিরাপত্তা সম্পর্কে দীর্ঘদিনের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং শীতল যুদ্ধের সময়কার পারমাণবিক ধ্বংসের ভীতিকে আবারও...
ভয়েস অব আমেরিকার ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে গতকাল শনিবার থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি সংবাদমাধ্যমের তহবিলও বাতিল করা হয়েছে।এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারি তহবিলে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান এবং আরও ছয়টি ফেডারেল সংস্থাকে কর্মী হ্রাস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিচস বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহযোগীদের প্রায় সবাইকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫০টি ভাষায় পরিচালিত এই সম্প্রচার মাধ্যমকে প্রায় পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে এক পোস্টে আব্রামোভিচ লেখেন, ‘৮৩ বছরের মধ্যে প্রথমবার বহু ভাষাভাষীর ভয়েস অব আমেরিকা নীরব হয়ে যাচ্ছে, এ জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত। বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছিল।’ভয়েস...
ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা, নাকি আশীর্বাদ? তিনি দুটোই, তবে সমানভাবে নয়।স্বল্প মেয়াদে ট্রাম্পের শুল্কনীতি চীনের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে বটে; কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের যা ক্ষতি করেছেন, তা শীতল যুদ্ধের সময় পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর ঐক্য দুর্বল করার সব প্রচেষ্টার চেয়ে বেশি। চীনের নেতারা এমন কিছু আশা করেননি।ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কিছু কঠোর শুল্ক আরোপ করেছেন। এটি চীনের জন্য নতুন সংকেত দিচ্ছে। এবার তাঁর হুমকিগুলো শুধু কথার কথা নয়, বরং তিনি তা বাস্তবায়ন করতেও প্রস্তুত। চীনের অর্থনীতি এমনিতেই চাপে আছে, তাই আরও বড় বাণিজ্যযুদ্ধ বেইজিংয়ের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে, যদিও চীনের কূটনীতিকেরা আত্মবিশ্বাস দেখানোর চেষ্টা করছেন।তবে এই শুল্ক কিংবা সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধ চীনের জন্য কেবল স্বল্প বা মাঝারি সময়ের সমস্যা। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর দেশকে ধৈর্য...
শেক্সপিয়ারের রাজকুমার হ্যামলেট সংশয়বাদী। সেই কারণে সে বলেছে, ‘টু বি অর নট টু বি, দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন।’ ‘টু বি’ মানে ‘বেঁচে থাকা’ আর ‘নট টু বি’ মানে ‘মৃত্যু’। কোনটা সে বেছে নেবে, সেটিই তার সামনে বিরাট প্রশ্ন।যেহেতু মৃত্যুই শেষ পরিণতি, তাই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাস্তবতা মেনে নিয়ে মৃত্যুর কাছে সঁপে দেওয়াই ঠিক হবে; নাকি যেকোনো উপায়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে, তা হ্যামলেট ঠিক করে উঠতে পারেনি। তার মনে দ্বিধা থেকে গেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প মাফিয়া সর্দারের মতো করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে যাচ্ছেতাই অপমান করে তাঁকে প্রকারান্তরে ‘বাড়ি থেকে বের করে’ দিয়েছেন। এরপর জেলেনস্কি সম্ভবত হ্যামলেটের ‘টু বি অর নট টু বি’ দশায় পড়েছেন।আরও পড়ুনআসুন, ইউক্রেন যুদ্ধের মূল (খল) নায়কের সঙ্গে...
যুদ্ধে সমাপ্তি টানা মোটেও সহজ কাজ নয়। এমনকি যুদ্ধবিরতির জন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছানোটাও জটিল। সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর সর্বোচ্চ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সই করেছে ইউক্রেন। তবে এরপর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে এই যুদ্ধবিরতি কীভাবে কার্যকর করা হবে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।মস্কো ও কিয়েভে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক অ্যাটাচে জন ফোরম্যান বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি যদি ৩০ দিনের জন্য হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো তা মেনে চলা হচ্ছে কি না? এর আগে রাশিয়ার শান্তিচুক্তি বা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার রেকর্ড রয়েছে, তাই বর্তমানে এমন কোনো চুক্তি কার্যকরের জন্য শক্তিশালী একটি প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের কাছে চ্যালেঞ্জটি আরও জোরলো হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মিনস্ক চুক্তির অংশ হিসেবে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো–অপরেশন ইন...
মস্কোর বিশাল সামরিক সমাবেশ স্পষ্টত কেবল ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে নয়। পুতিন যদি অর্থপূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হন, তবে যুদ্ধ শেষ হবে না। সে রকম কিছু হলে ইউক্রেনের বাইরেও রাশিয়ার আগ্রাসন বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। বাস্তবতা হলো, ইউরোপ এখনও অভূতপূর্ব হুমকির মুখোমুখি এবং জেদ্দার আলোচনায় ইউক্রেনের ব্যাপারে অগ্রগতির লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও আমরা একাই এর মুখোমুখি। আরও খারাপ হলো, যখন আমাদের এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মনে হচ্ছে, পুতিন ও ট্রাম্প পরস্পর একটি পরিকল্পনা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। যেমন ইউক্রেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন দালাল ভিচি সরকারের মতো কোনো শাসক বসানো এবং ইউরোপ মহাদেশকে একাধিক প্রভাব বলয়ে বিভক্ত করা, যা রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, সম্ভবত চীনকেও এ অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। বেশির ভাগ ইউরোপীয় জনসাধারণ এটি বুঝতে পারছে।...
‘প্যাক্স আমেরিকানা’ নামে পরিচিত আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থা এখন শেষের দিকে। অতীতে অনেক বামপন্থী ‘আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে বিশ্বব্যবস্থাকে আজকের এই অবস্থানে আনার স্বপ্ন দেখতেন; কিন্তু বাস্তবে ডানপন্থী উগ্রবাদীরাই শেষ পর্যন্ত ‘প্যাক্স আমেরিকানা’র ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে। আসলে আমেরিকার কট্টর ডানপন্থীরা বরাবরই উদারপন্থী শাসকদের চেয়ে বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল। এখন প্রশ্ন হলো, নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার যে প্রধান মিত্রদেশগুলো নির্ভরশীল ছিল, তারা এ অবস্থায় কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে?ইউরোপীয় নেতারা বেশ কয়েকটি জরুরি বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা অনেক সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিনিধি কায়া কালাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মুক্ত বিশ্বের নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন’ এবং ‘এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের, ইউরোপীয়দের’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একে ‘প্রত্যেক প্রজন্মে একবার আসা সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করে...
ইউক্রেনের সুমি ও রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে নতুন সাফল্যের কথা জানিয়েছে মস্কো। অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সৌদি আরবে আলোচনায় বসার আগে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি গঠনমূলক সংলাপ করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।মঙ্গলবার লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি চুক্তির জন্য একটি ‘কাঠামো’ নিশ্চিত করার জন্য জোর চেষ্টা চালাবেন।আসন্ন আলোচনা সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, কুরস্ক সীমান্তের কাছে সুমি এলাকায় ছোট গ্রাম নোভেনকে ‘মুক্ত’ করেছে তাদের বাহিনী। এছাড়া কুরস্কের লেবেদেভকা, মালায়া লোকনিয়া, চেরকাসকোয়ে পোরেচনয়ে এবং কোসিৎসা গ্রাম পুনরুদ্ধারের ঘোষণাও দিয়েছে মস্কো।২০২২ সালে সর্বাত্মক আক্রমণের প্রথম দিকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে নেয় রাশিয়া। কিন্তু এরপর থেকে...
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অশুভ আঁতাত দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক জল্পনার বিষয়। কেজিবির সাবেক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ১৯৮৭ সালে মস্কো ট্রাম্পকে নিয়োগ দিয়েছিল এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আগের বছরগুলোতে তাদের একটি সম্পদ হিসাবে ট্রাম্পকে লালনপালন করা হয়েছিল।দুজন অবসরপ্রাপ্ত রাশিয়ান গুপ্তচর গত মাসে আবারও বলেছেন, তখন ৪০ বছর বয়সী ট্রাম্পের সাংকেতিক নাম ছিল ‘ক্রাসনভ’। তখন থেকেই ট্রাম্প গোপনে পুতিনের সুরে তাল মিলিয়ে নাচছেন।এসব অভিযোগের কোনোটিই প্রমাণিত হয়নি এবং সবকিছুই অস্বীকার করা হয়েছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬-এর সাবেক প্রধানকে নিয়ে গঠিত কথিত কমিটি, এফবিআইয়ের মুলার রিপোর্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা—সবাই একমত হন যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট আনার জন্য রাশিয়ার দিক থেকে ‘বেশ কিছু পদ্ধতিগত’ প্রচেষ্টা ছিল।তখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পুতিনকে ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন...