2025-10-03@05:32:15 GMT
إجمالي نتائج البحث: 288

«ইউক র ন ও ইউর প»:

    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ আবারো রাতভর রাশিয়ার ‘ব্যাপক হামলা’-এর শিকার হয়েছে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটস এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।  মেয়র জানান, রুশ হামলায় একটি বহুতল ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। কমপক্ষে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরো পড়ুন: রাশিয়ার দখলে থাকা সব অঞ্চল ফিরে পেতে পারে ইউক্রেন: ট্রাম্প রাশিয়ার ‍বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেছেন, রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনজুড়ে হামলায় শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। এর জবাব আরো কঠোর করতে হবে।” সর্বশেষ হামলা নিয়ে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছিলেন যে, যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো লক্ষণ রাশিয়ার নেই। কারণ তারা ন্যাটো সামরিক জোটের অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ইউরোপীয় বিমান প্রতিরক্ষা...
    রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। লাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার আকাশসীমায় উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার কোনো চেষ্টা হলে তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, জার্মানি যুদ্ধের ভঙ্গিমায় কথাবার্তা বলছে।ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার মধ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। এস্তোনিয়া বলেছে, মস্কো তাদের আকাশসীমায় তিনটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ন্যাটোর যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডের আকাশসীমায় রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে।লাভরভ বলেন, ‘আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব হবে কঠোর। বিশেষ করে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যাঁরা তাঁদের ভোটারদের বলছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য, তাঁরা নিঃসন্দেহে এটা জেনে রাখুন।’নিজেদের আকাশসীমায় মাঝেমধ্যে রাশিয়ার ড্রোন বা যুদ্ধবিমানের...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন যেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সহায়তায় তারা সেগুলো ফিরে পেতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলছে। গত মঙ্গলবার অধিবেশনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে তাঁর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে দীর্ঘ পোস্ট দেন তিনি। যে পোস্টে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবং ইউক্রেন ও ন্যাটোর পক্ষে তাঁর অবস্থানের ইঙ্গিত মেলে।ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের এ নাটকীয় সুর বদলের কারণ, তাঁর বর্তমান অবস্থান এবং আগে তাঁর অবস্থান কী ছিল, তা বিশ্লেষণ করেছে আল-জাজিরা।ইউক্রেন নিয়ে এ সপ্তাহে ট্রাম্প কী বলেছেন জেলেনস্কির সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকের পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমার মনে হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ইউক্রেন এ লড়াই চালিয়ে...
    চীনের ড্রোন বিশেষজ্ঞরা সামরিক ড্রোন প্রযুক্তির উন্নয়নকাজে অংশ নিতে রাশিয়ায় গেছেন। তাঁরা সেখানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুজন ইউরোপীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ–সংক্রান্ত কিছু নথিপত্রও রয়টার্সের হাতে এসেছে। নথিপত্র ও ওই দুই কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, চীনের বিশেষজ্ঞরা গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ছয়–সাতবার রাশিয়ার অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আইইএমজেড কুপল পরিদর্শন করেছেন। ওই সময়ে কুপল প্রতিষ্ঠানটি একটি রুশ মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে চীনের তৈরি অ্যাটাক ও নজরদারির ড্রোনের চালান পেয়েছিল।গত বছরের সেপ্টেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কুপল চীনে স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় গারপিয়া-৩ নামে একটি নতুন ড্রোন তৈরি করেছে। এবার প্রথমবারের মতো রয়টার্স জানাচ্ছে, কীভাবে চীনা বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার ভেতরে সামরিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোনের পরীক্ষামূলক কাজ ও প্রযুক্তি উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।যেসব...
    রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হঠাৎ করেই সুর বদলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো আবার কিয়েভ ফিরে পেতে পারে বলে বিশ্বাস তাঁর। কিছুদিন আগেও যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড় দেওয়া লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে যাবে তারা।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানেই কথাগুলো বলেন তিনি। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়াও। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর উপদ্বীপটি দখল করে নিয়েছিল রুশ বাহিনী।জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়া এখন বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। ইউক্রেনের...
    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ফের সুর বদলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হঠাৎ করেই ইউক্রেনের সমর্থনে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা নিজেদের সব অঞ্চল ফিরে পেতে পারে কিয়েভ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পর নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। আরো পড়ুন: রাশিয়ার ‍বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রুশ ড্রোন ধ্বংস করল পোল্যান্ড এর আগে তিনি বারবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ থামাতে হলে ইউক্রেনকে হয়তো কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। কিন্তু এবার তিনি বলছেন, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে, কিয়েভ তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে। ট্রাম্পের মতে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সমর্থনে ইউক্রেন তা অর্জন করতে পারে।...
    রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া সব জায়গা ইউক্রেনের পক্ষে মূল রূপে ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এমন কথা বলেছেন। এটিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাঁর অবস্থানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, যেখান থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই মূল সীমানাগুলো ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তা নিয়ে পুনরুদ্ধার করতে পারে ইউক্রেন। রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর বাড়তে থাকা চাপ এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপরই তিনি এ মন্তব্য করেন।ট্রাম্প অনেকবারই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে ট্রাম্প তখন সতর্ক...
    আকাশপথে রাতভর রাশিয়ার ‘ব্যাপক’ হামলায় ইউক্রেনে অন্তত তিনজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি লিখেন, রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ওদেসা, সুমি, ঝাপোরিঝিয়া, পোলতাভাসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে ‘ব্যাপক’ হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী। আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া ৬১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ব্যাপক হামলায়’ রুশ বাহিনী ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। মূলত সামরিক ও শিল্প স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।এদিকে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির সামারা অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। কিয়েভ বলছে, সেখানে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য একটি তেল পরিশোধন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তারা।পাশ্বর্বর্তী সারাতোভ অঞ্চলে অবস্থিত রাশিয়ার আরেকটি তেল...
    রাশিয়া কেন নিষিদ্ধ, ইসরায়েল কেন নয়—সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।জাতিসংঘের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইসরায়েলকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানানোর পর থেকে বিতর্ক আরও বেড়েছে। স্পেনের সরকার মনে করে, গাজায় অভিযানের নামে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল।কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, ইসরায়েল অলিম্পিক সনদ মেনে চলে। এ কারণে ইসরায়েলি খেলোয়াড়েরা এখনো অলিম্পিক, বিশ্ব অ্যাথলেটিকস, ফুটবলসহ প্রায় সব প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিতে পারছেন।রাশিয়া-ইউক্রেন প্রেক্ষাপটের সঙ্গে এটিকে মেলানো যাবে না। যদিও রাশিয়ার খেলোয়াড়দের নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে ২০২৬ শীতকালীন অলিম্পিকে খেলার অনুমতি দিয়েছে আইওসি।অলিম্পিক সনদ কী বলেঅলিম্পিক সনদ হলো আইওসি ও প্রতিটি দেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির কার্যক্রম পরিচালনার নিয়মাবলি। সনদের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি শুধু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তের...
    রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউরোপকে সম্পদ দখলের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাশিয়া বলেছে, তাদের সম্পদ দখলের চেষ্টা করলে যেকোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কয়েক শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সহায়তা করার নতুন উপায় খুঁজছে।২০২২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করে এবং রাশিয়ার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার জব্দ করে।ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন চান, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যয় মেটানোর জন্য রাশিয়ার জব্দ করা অর্থ ব্যবহার করার নতুন উপায় খুঁজে বের করুক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা...
    ইউক্রেনে আক্রমণের সময় রোমানিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার একটি ড্রোন প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে রোমানিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে ড্রোনটিকে ধাওয়া দিয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশটি। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। আরো পড়ুন: আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রুশ ড্রোন ধ্বংস করল পোল্যান্ড ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ফের যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ইউরোপের নেতারা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দুটি এফ–১৬ ও দুটি জার্মান ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান উড়িয়ে ড্রোনটিকে অনুসরণ করে রোমানিয়ান বাহিনী। রাডারে ড্রোনটিকে সর্বশেষ চিলিয়া ভেচে গ্রামের কাছাকাছি দেখা যায়। রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োনুত মোস্টেনেউ বলেন, “ড্রোনটি ভূপাতিত করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন এফ–১৬ পাইলটরা। তবে সেটি আবার ইউক্রেন সীমান্তে ফিরে যায়। সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ খুঁজে দেখার জন্য হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে।” ইউরোপীয় ইউনিয়ন...
    পোল্যান্ডে রাশিয়ার সামরিক ড্রোন অনুপ্রবেশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষ্য, ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনা ভুলবশত হতে পারে। তবে একে ‘রাশিয়ার ইচ্ছাকৃত হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ওয়ারশ।পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ড। গত বুধবার দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা রাশিয়ার একাধিক ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ড্রোনগুলো দিয়ে মূলত ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়েছিল। এর আগে সেগুলো পোল্যান্ডের আকাশসীমায় ঢুকে যায়। পোল্যান্ডে হামলা চালানোর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তাদের।তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে এটিই ছিল পোল্যান্ডে প্রথম রুশ ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা। ওই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা। মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার দাবিও করেন। পোল্যান্ডের...
    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে ফের যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ইউরোপের নেতারা। ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইউরোপীয় নেতারা সোমবার বা মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। ইউরোপীয় নেতারা এর আগে সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন।  আরো পড়ুন: প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরকারি ভবনে রাশিয়ার হামলা রাশিয়া-ইউক্রেনের বাফার জোনে বাংলাদেশি ও সৌদি সেনা মোতায়েনের চিন্তা ট্রাম্প আরো জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথেও কথা বলবেন। একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তার প্রশাসন মস্কোর ওপর দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ধারণাটি সঠিক। ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাশিয়া ইউক্রেনে বড়...
    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের অবসানের জন্য শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্যারিসে ইউক্রেনের মিত্ররা বৈঠক করেছেন। আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তিনি জেলেনস্কির সাথে আলাদাভাবে দেখা করেছেন। পরে ট্রাম্পের সাথে ইউরোপীয় নেতাদের ফোনালাপ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হয়েছিল। জেলেনস্কি শীর্ষ সম্মেলনের পরে প্যারিসে সাংবাদিকদের বলেন, “রাশিয়ার তেল ইউরোপ কিনে নিচ্ছে বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুবই অসন্তুষ্ট। অন্যদের মধ্যে, দুটি দেশ রয়েছে, আমরা জানি, এগুলো হল হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া।” ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়া থেকে বেশিরভাগ তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ...
    ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা কয়েক দফার এ বৈঠকে ট্রাম্পের ডানে বসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে বহুপক্ষীয় বৈঠক শুরু হওয়ার ঠিক আগে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর সঙ্গে নিচু স্বরে কথা বলতে দেখা যায়। ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে সম্ভাব্য একটি চুক্তির বিষয় নিয়েই ফিসফিস করে মাখোঁর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ট্রাম্পের সামনে থাকা মাইকটি তখন চালু ছিল। তাই ফিসফিসিয়ে মাখোঁকে যা বললেন, তার সবটাই শোনা যায়।মাইকে শোনা যায়, ট্রাম্প মাখোঁকে বলছেন, তাঁর মনে হচ্ছে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সমঝোতা করতে চান।আরও পড়ুনইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা থামিয়ে পুতিনকে ফোন করলেন ট্রাম্প১২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পকে বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় তিনি...
    ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘প্রায় স্যুট’ পরে এদিন হোয়াইট হাউসে আসেন জেলেনস্কি।ট্রাম্পকে খুশি করতেই কি নিজের স্বভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে জেলেনস্কি এ পোশাক পরেছিলেন? গতকালের বৈঠক এটিসহ আরও কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।উষ্ণ পরিবেশ, কিন্তু অর্জন খুব সামান্যই সাত ইউরোপীয় নেতা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, তাঁদের গাড়িবহর, ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েক ডজন কর্মকর্তা এবং শতাধিক সাংবাদিক ওই বৈঠক সামনে রেখে গতকাল হোয়াইট হাউসে আসেন।বৈঠক শুরুর আগে যে প্রশ্নগুলো সবচেয়ে জোরালো ছিল সেগুলোর অন্যতম ছিল—ট্রাম্প-জেলেনস্কি কি শান্তির পথে একমত হবেন? নাকি গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মতো এবারও বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াবেন?গতকালের বৈঠকে এর কোনটিই ঘটেনি। ফেব্রুয়ারির বৈঠকে জেলেনস্কি তাঁর পোশাক ও আচরণের জন্য বড় তিরস্কারের...
    সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি ও ইউরোপের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দিনভর কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টেলিফোনে কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।  আলস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিনের মাথায় সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউজে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। খবর আলজাজিরার।  ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের তুলনায় ট্রাম্প ও জেলেনস্কির কথোপকথন উল্লেখযোগ্যভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এমনকি জেলেনস্কির স্যুটের প্রশংসাও করেন তিনি।  যুদ্ধ শেষ করার আলোচনার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে ইউরোপকে সমর্থন দেবে মার্কিন সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “অনেক সাহায্য আসছে। ইউরোপীয় দেশগুলো...
    যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এবারের বৈঠকের পরিবেশ গত ফেব্রুয়ারির চেয়ে অনেকটাই আলাদা ছিল। আগের বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল, যার ফলে বৈঠকটি ভেস্তে গিয়েছিল। তবে এবার পরিবেশ ছিল অনেকটাই সৌহার্দ্যপূর্ণ। গতকাল সোমবারের বৈঠকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, আলোচনা যেন কোনোভাবে ভেস্তে না যায়, তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনীয় পক্ষ বিশেষ সতর্ক ছিল। ফেব্রুয়ারির মতো এবারের বৈঠকের আগেও ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে মত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, কোনো ধরনের তর্কে জড়িত না হওয়ার জন্য জেলেনস্কিকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছিল। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  আরো পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাজি জেলেনস্কি যুদ্ধ বিরতি অপরিহার্য নয়, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে...
    রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আগামীকাল সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের। বৈঠকে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করতেই উপস্থিত থাকবেন তাঁরা। আগামীকালের বৈঠকের আগে আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মিত্রদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকের উদ্দেশ্যগুলোর একটি ছিল—যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের জন্য যেন যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আর এই নিরাপত্তায় যেন যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা পালন করে।ট্রাম্পের সঙ্গে আগামীকালের বৈঠকে আরও উপস্থিত থাকার কথা ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির। ইউক্রেনের নিরাপত্তার পাশাপাশি তাঁরা এটাও চাইছেন, যেন গতবারের মতো এবারও হোয়াইট হাউসে গিয়ে...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রদানের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছেন’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। উইটকফ জানিয়েছেন, ভ্লাদিমির পুতিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনে একমত হয়েছেন যে যুদ্ধ অবসানের জন্য একটি চূড়ান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় মিত্রদের ন্যাটোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা আদেশের অনুরূপ একটি নিরাপত্তা গ্যারান্টি (ধারা ৫: একজন সদস্যের উপর আক্রমণ সকলের উপর আক্রমণ) প্রদানের অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো কার্যকরভাবে নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রদানের জন্য অনুচ্ছেদ ৫-এর মতো ভাষা প্রদান করতে পারে। তাই পুতিন বলেছেন, লাল পতাকা হল ন্যাটোর স্বীকৃতি।” পুতিন বরাবরই ন্যাটোতে ইউক্রেন...
    যুদ্ধ বন্ধে দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার যে প্রস্তাব রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুলে ধরেছেন, তাতে সমর্থন দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আলাপের বিষয়টি গতকাল শনিবার প্রকাশ্যে আসায় এমনটা জানা যায়। ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন, তিনি মনে করেন, যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিতে সম্মত হন, তাহলে একটি শান্তিচুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হতে পারে। ইউরোপের জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। তিন বছর ধরে চলা লড়াইয়ে দনবাস অঞ্চলটি পুরোপুরি দখল নিতে পারেনি রাশিয়া। আলাস্কায় অনুষ্ঠিত আলোচনার বিষয়ে সরাসরি অবগত দুটি সূত্র গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে পুতিন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস থেকে ইউক্রেনকে সরে যাওয়ার...
    ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন দেখা করতে যাবেন, তখন তার সঙ্গে থাকবেন জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় নেতারা। রবিবার তারা এই বিষয়টি জানিয়েছেন। শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য পুতিনের ওপর চাপপ্রয়োগ করবেন। তবে বৈঠক শেষে ট্রাম্প উল্টো জেলেনস্কিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিচ্ছেন। সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রবিবার জেলেনস্কির অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য মিত্রদের একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। ইউরোপীয় মিত্ররা জেলেনস্কিকে ফেব্রুয়ারিতে তার শেষ ওভাল অফিসের বৈঠকের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সাহায্য করতে আগ্রহী। কারণ ওই বৈঠকে ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট...
    ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে দেশটির দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেওয়াসহ কিছু শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিনিময়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সময় পুতিন এসব শর্ত দিয়েছেন। এ প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে পেরেছে, এমন দুই সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য দিয়েছে।গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের পরদিন এমন তথ্য সামনে এল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই ছিল কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রুশ প্রেসিডেন্টের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামীকাল সোমবার ওয়াশিংটন সফর করবেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে এ সফর করবেন তিনি।ইতিমধ্যে, ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চেয়েছিলেন...
    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়া যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা দেখছি, রাশিয়া বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছে এবং এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কবে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করবে। এটি পরিস্থিতিকে জটিল করছে।” আগামীকাল সোমবার জেলেনস্কি ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ট্রাম্প ইতিমধ্যে বলেছেন, তিনি জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে সম্মত হতে উৎসাহিত করবেন। আরো পড়ুন: মেলানিয়ার চিঠি পুতিনের কাছে পৌঁছে দিলেন ট্রাম্প ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে আসেনি যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা গত শুক্রবার, আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি এড়িয়ে সরাসরি স্থায়ী শান্তিচুক্তির দিকে যেতে চান। ওই বৈঠকের পর ট্রাম্প তার অবস্থান পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত দিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, “এটাই রাশিয়া-ইউক্রেনের...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করা। কারণ, রাশিয়া খুব বড় একটি শক্তি। তারা (ইউক্রেন) তা নয়।’আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। শোনা যাচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের আরও ভূমি দাবি করেছেন।স্থানীয় সময় গত শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প আর পুতিনের বৈঠকটি হয়। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানান, যদি কিয়েভের পক্ষ থেকে দোনেৎস্ক অঞ্চলের পুরোটা ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে রাশিয়া বেশির ভাগ জায়গায় যুদ্ধ থামাবে—এমন শর্ত দিয়েছেন পুতিন।আরও পড়ুনট্রাম্প–পুতিন বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনীয়রা, কিন্তু কেন১১ ঘণ্টা আগেএ বিষয়ে জানাশোনা আছে—এমন একটি সূত্র এ কথা নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত দোনেৎস্ক অনেক আগে থেকে পুতিনের অন্যতম...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামীকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এতে ইউরোপের কয়েকজন নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের বরাত নিউইয়র্ক টাইমস এই খবর জানিয়েছে।গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন ট্রাম্প। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠককে ট্রাম্প “উষ্ণ” বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে পুতিনের মতো বৈঠকে “খোলামেলা” ও “গঠনমূলক” আলোচনা হয়েছে।ট্রাম্প ও পুতিনের প্রত্যাশা, তাঁদের এই বৈঠক ইউক্রেন সংঘাত সমাধানে অগ্রগতি আনতে পারবে।বৈঠকের পরের দিন গতকাল শনিবার সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প সোমবার জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বৈঠকে ‘ইউরোপীয় নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ তবে...
    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী সোমবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স-এ একটি পোস্টে জেলেনস্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।  পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, “আমি সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার সব খুঁটিনাটি আলোচনা করার পরিকল্পনা করছি। আমন্ত্রণের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” তিনি আরো বলেন, “আমরা ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করি। নেতাদের স্তরে মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। সেজন্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।”  আরো পড়ুন: মেলানিয়ার চিঠি পুতিনের কাছে পৌঁছে দিলেন ট্রাম্প চীনকে শাস্তি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই: ট্রাম্প জেলেনস্কি জানান, এর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রথমে দুই প্রেসিডেন্ট একান্তে বৈঠক...
    যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠকে বসেছিলেন। কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। তবে তাদের বৈঠক শেষে কোনো ধরনের চুক্তি বা যুদ্ধ থামানোর ঘোষণা আসেনি। ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে সেটির মাধ্যমে চুক্তি করা সম্ভব। তবে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইউক্রেন এবং ইউরোপকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুই নেতা। সেখানে পুতিনকে প্রথমে কথা বলতে দেন ট্রাম্প। এরপর কথা বলা শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তারা দুই দেশ আলোচনায় তারা বিভিন্ন বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু কোন কোন বিষয়ে সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। আরো পড়ুন: পুতিন যুদ্ধ না থামালে ‘কঠোর পরিণতির’ হুমকি ট্রাম্পের শান্তি...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি করতে প্রস্তুত। ফক্স নিউজ রেডিওর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। শুক্রবার আলস্কায় বৈঠক করতে যাচ্ছেন পুতিন ও ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধই হবে তাদের বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য।  ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি মনে করি তিনি একটি চুক্তি করতে যাচ্ছেন।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যদি বৈঠকটি ভালোভাবে সম্পন্ন হয় তবে তিনি পরে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সাথে ফোন করবেন। তবে যদি এটি খারাপভাবে সম্পন্ন হয় তবে তিনি তা করবেন না। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে পরের দফায় বৈঠক নিশ্চিত করা। এর আগে পুতিন জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারে। টেলিভিশনে প্রচারিত...
    যুদ্ধ সব সময় এমনভাবে শেষ হয় না যে এক পক্ষ পুরোপুরি জয়লাভ করে। সাধারণত আমরা যেসব গল্প শুনি, সেখানে বড় জয়গাথাই বেশি গুরুত্ব পায়। কারণ, এসব গল্প দেশপ্রেম উসকে দিতে কাজে লাগে। কিন্তু বাস্তব ইতিহাসে অনেক যুদ্ধ এমন অচলাবস্থায় শেষ হয়, যেখানে কেউই পুরোপুরি জেতে না।এই বিষয়টা মনে রাখা জরুরি। এর কারণ, আগামী শুক্রবার আলাস্কায় যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি হবেন, তখন তাঁরা গোটা পরিস্থিতিকে এমনভাবে দেখানোর চেষ্টা করবেন যেন ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে, অথচ এতে ইউক্রেনের মতামত নেওয়ারও প্রয়োজন হবে না। বাস্তবে অবশ্য এমনটা সম্ভব হবে না।আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে এই বৈঠক ব্যক্তিগত মর্যাদার ব্যাপার। তিনি আগে ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরেই কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। কিন্তু সাত মাস কেটে গেলেও যুদ্ধ চলমান। এটি তাঁর...
    ইউরোপীয় নেতারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন ইউক্রেনের কাছে গ্রহণযোগ্য শর্তে যুদ্ধ শেষ করার জন্য মস্কোর ওপর চাপ বাড়ান। তাঁরা চাইছেন, আগামীকাল শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এটা করুন। যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে আসন্ন বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, পক্ষগুলো একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যা সংঘাতের সমাধান করতে পারবে। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি, আর আমি তাঁকে বলব, আপনাকে এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে। আপনাকে এটা শেষ করতেই হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, সমঝোতার অংশ হিসেবে কিয়েভ ও মস্কো উভয়কেই ভূমি ছাড়তে হবে; কিছু ভূমি বিনিময় তো হবেই।ট্রাম্প অতীতেও ভূমি অদলবদলের সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে...
    ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ব্যর্থ হলে ভারতের ওপর শুল্ক আরো বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের ফলাফলের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। খবর বিবিসির। স্থানীয় সময় বুধবার ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, “আমরা রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ইতিমধ্যে অতিরিক্তি শুল্ক আরোপ করেছি। কিন্তু যদি পরিস্থিতি ঠিক না হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা বা সেকেন্ডারি শুল্ক আরো বাড়তে পারে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে সম্প্রতি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আরো পড়ুন: পুতিন যুদ্ধ না থামালে...
    ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার জন্য আগামীকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই বৈঠকের পর পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়াকে ‘খুব কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। খবর সিএনএনের। বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকে তিনি যুদ্ধবিরতি চাইছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পুতিনের সঙ্গে এর আগে তার ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছিল। তবে বাড়ি ফেরার পর খবর পান- ‘একটি রকেট কোনো নার্সিং হোমে গিয়ে পড়েছে বা কোনো অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে, আর রাস্তায় পড়ে আছে মৃত মানুষ।’ এই বাস্তবতা তার অবস্থানকে আরও কঠোর করেছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। আরো পড়ুন: শান্তি...
    ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা করতে আগামীকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্করিজ শহরে এই বৈঠক হবে। তবে বৈঠক থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার দুদিন আগে গতকাল বুধবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। বৈঠক শেষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শুক্রবারের বৈঠকে রাশিয়া যদি যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে রাজি না হয়, তাহলে এর পরণতি হবে খুবই মারাত্মক।তবে বৈঠকে যে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম, সেই ইঙ্গিত হোয়াইট হাউস থেকেই দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে...
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শীর্ষ সম্মেলনের আগে বুধবার ইউরোপ ও ইউক্রেনের নেতারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তারা যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভের স্বার্থ বিক্রি করে দেওয়ার বিপদগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কায় আলোচনায় পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এটি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টায় একটি ‘অনুভূতিশীল’ বৈঠক হিসেবে কাজ করবে। ট্রাম্প গত সপ্তাহে ২০২১ সালের পর প্রথম মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে সম্মত হন। মার্কিন শান্তি উদ্যোগকে প্রতিরোধ করার জন্য পুতিনের প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে হতাশা প্রকাশ করার পর হঠাৎ করেই পথ পরিবর্তন করেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, তার দূত মস্কোতে আলোচনায় ‘দুর্দান্ত অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য কিয়েভ এবং মস্কো উভয়কেই ভূমি ছেড়ে...
    ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। গতকাল মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন তিনি।আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠককে সামনে রেখে অরবান এ মন্তব্য করলেন।আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি, যেন যুদ্ধ এখনো চলমান; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছেন। রাশিয়া এ যুদ্ধে জয়ী হয়েছে।ভিক্টর অরবান, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবান রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা ও ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করে কিছু ইউরোপীয় নেতার সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এদিকে তাঁর মন্ত্রিসভা মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্যও লড়ছে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন অরবান। গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে তিনি এক যৌথ বিবৃতিতে...
    ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন আলাস্কা বৈঠক নিয়ে জল্পনা–কল্পনার শেষ নেই। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটিই তাদের প্রথম বৈঠক।এদিকে ইউক্রেনে ভলোদিমির জেলেনস্কি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করছেন ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। জেলেনস্কি বলেন, এটি কখনোই হওয়ার নয়।এদিকে ইউরোপের দেশগুলো (যারা নিজেরা নিজেদের রক্ষা করতে অক্ষম এবং সামষ্টিক অক্ষমতার কারণে কোনোদিনই সেটি পারবে না) বৈঠকের টেবিলে আসন দাবি করেছে।বৈঠকে ইউরোপীয়দের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে পাঠিয়েছেন যাতে তাদের বুঝিয়ে–শুনিয়ে শান্ত রাখা যায়। তিনি তাঁর বসের নির্দেশমতোই কাজ করবেন। তিনি বলেন ট্রাম্প–পুতিন চুক্তি বর্তমান যুদ্ধরেখার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।এর বাইরে ট্রাম্প–পুতিন চুক্তি কেমন হতে পারে সেটি নিয়ে একজন শুধুই জল্পনাটাই করতে পারে। এটা অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানোর মতো ব্যাপার। তবে ট্রাম্প ও পুতিন ইউক্রেন...
    যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের তিন দিন বাকি। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো নিয়ে এ বৈঠক হলেও ইউক্রেনকে সেখানে যুক্ত করা হচ্ছে না। এতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধের অবসান অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে। ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী শুক্রবার। বিষয়টি ঘোষণা দিয়ে ৮ আগস্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দুই পক্ষের ‘ভালোর জন্য কিছু অঞ্চল হাতবদল’ করা লাগতে পারে। এ বৈঠক নিয়ে আপত্তির মুখে সম্প্রতি রয়টার্সকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, পুতিন–জেলেনস্কির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পথ খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। তবে আপাতত শুধু রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হবে।ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে এ বৈঠকে নেওয়া কোনো পরিকল্পনা কার্যকর হবে না বলে শনিবার জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। একই মত ইউরোপীয় কমিশনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক...
    ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, মস্কোর ওপর চাপ বজায় রাখার কথাও।ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৫ আগস্ট—যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে। এ নিয়ে গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, দুই পক্ষের (রাশিয়া-ইউক্রেন) ভালোর জন্য কিছু ভূখণ্ড হাতবদল করা লাগতে পারে। ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে এসব ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে—এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ট্রাম্প।তবে নিজেদের কোনো ভূখণ্ড মস্কোর হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে শনিবার প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর ইউরোপীয় মিত্ররাও মনে করেন, এমন শর্ত রাশিয়াকে ‘আগ্রাসনে’ উৎসাহিত করবে। এদিন...
    ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বৈঠকে থাকছেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে। ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৫ আগস্ট-যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে। গতকাল শনিবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলাস্কায় পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। তবে পুতিনের অনুরোধে এখন শুধু দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন) পরিকল্পনা করা হয়েছে।তবে শনিবারই মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। বৈঠকটির বিষয়ে জানাশোনা আছে—এমন একজন ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছে, জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি চূড়ান্ত নয়। সম্ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে।ইউক্রেনের শান্তি ফেরানোর সিদ্ধান্ত কিয়েভকে ছাড়া নেওয়া যাবে...
    ট্রাম্প-পুতিন আগামী সপ্তাহের শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সম্ভাব্য চুক্তিতে ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হতে পারে।এ উদ্বেগ থেকে গতকাল শনিবার রাতে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে পেতে আগামী শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই বৈঠকে যোগ দিতে চাইছেন। ইউক্রেন ও ইউরোপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কিয়েভকে অবশ্যই আলোচনার অংশ করতে হবে।গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড অদলবদল করতে হবে।’ এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।পরদিন গতকাল শনিবার জেলেনস্কি...
    ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যেকোনো সমাধান হবে ‘শান্তির বিরুদ্ধে সমাধান’। সেই সুরেই সুর মিলিয়ে এবার ইউরোপীয় দেশগুলোও বলছে,  কিয়েভকে বাদ দিয়ে এই যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। রবিবার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের সু-২৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত জমি ছাড়ব না, যুদ্ধ শেষ করতে হবে রাশিয়াকেই: জেলেনস্কি প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, “রাশিয়ার সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনা হলে সেখানে অবশ্যই কিয়েভকে রাখতে হবে। ইউক্রেনে শান্তি আনার পথ নিয়ে সিদ্ধান্ত ইউক্রেনকে ছাড়া হতে পারে না।” ...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি বৈঠকে বসবেন। ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলাপ করবেন শীর্ষ এই নেতারা। গতকাল শুক্রবার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা। তবে গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পরই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর হন ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে মস্কো ও কিয়েভ।পরে শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান ট্রাম্প। তিনি এ-ও বলেন, ‘দুই পক্ষের ভালোর জন্য কিছু অঞ্চল হাতবদল করা হতে পারে।’ বর্তমানে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের বড়...
    যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে এক কঠিন ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। একদিকে ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ভারতের এ দ্বিমুখী নীতি হতাশার।মস্কোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ নানাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারতের মতো বিশাল অর্থনীতির একটি দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখায় তাদের সেসব নিষেধাজ্ঞা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় বলে মনে করে তারা। আর এসব নিয়েই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।নয়াদিল্লির এমন নীতি নিয়ে আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে তাঁর স্পষ্ট দাবি, ভারতকে নির্দিষ্ট একটি পক্ষ নিতে হবে।নিজের এ দাবি জোরদার করতে রাশিয়া থেকে ভারতের সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল...
    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে - তবে রাশিয়ান নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনীয় নেতার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন না।  বুধবার পুতিন ক্রেমলিনে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন প্রথমে ট্রাম্পের সাথে এবং তারপরে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট এতে রাজি হননি।  তিনি বলেছেন, “আমরা প্রথমে ট্রাম্পের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তুতির উপর মনোনিবেশ করার প্রস্তাব করছি ... ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথা বলতে গেলে, যা কোনো কারণে ওয়াশিংটন গতকাল কথা...
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগির দেখা করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সে কথা বলেছেন।এদিনই মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তাঁদের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।কিয়েভের একটি জ্যেষ্ঠ সূত্র বলেছে, পুতিন-উইটকফের বৈঠকের পর ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক ফোনালাপ হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প-পুতিন সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠক নিয়ে কথা হয়। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফিনল্যান্ডের নেতারাও একই ফোনালাপে অংশ নেন।পরে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’যদি ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে বৈঠক হয়, তবে সেটা হবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া...
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।  হোয়াইট হাউজের দুই কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বুধবার (৬ আগস্ট) মস্কোতে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের পর পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের কর্মকর্তারা বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেন। যেখানে প্রেসিডেন্টের সফর ও এমন দুজন নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে সাধারণত সময় লাগে, কিন্তু ট্রাম্প তার কর্মকর্তাদের দ্রুত সব কাজ সম্পন্ন করতে বলেছেন। আরো পড়ুন: রাশিয়ায় পৌঁছেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিয়েভে আবারো রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা, নিহত ৩১ হোয়াইট হাউসের ওই দুই কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহ বা এর পরের সপ্তাহে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হতে পারে।...
    বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকলেও রাশিয়া তার বিপুল জ্বালানিসম্পদের ওপর নির্ভর করে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার সেই অর্থের জোগান বন্ধ করতে চাইছেন।ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ৮ আগস্টের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা সব দেশের ওপর শতভাগ পরোক্ষ শুল্ক আরোপ করা হবে।এর অর্থ হলো, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে—এমন যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। অর্থাৎ সেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্বিগুণ দামে প্রবেশ করবে।রাশিয়ার রপ্তানির প্রধান খাত তেল ও গ্যাস। এসব পণ্যের বড় ক্রেতার মধ্যে আছে চীন, ভারত ও তুরস্ক। ট্রাম্প এক মাস আগে বলেছিলেন, ‘আমি অনেক কাজেই বাণিজ্য ব্যবহার করেছি, কিন্তু যুদ্ধ থামাতে এর চেয়ে ভালো কিছু নেই।’ ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রেও এর আগে এ ধরনের শুল্ক ব্যবহার...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক কি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে?রাশিয়ার একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্র অন্তত তা-ই মনে করে। তারা রেলগাড়ির উদাহরণ টেনে ব্যাখ্যা করেছে বর্তমান মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক।মস্কোভস্কি কোমসোমোলেটস নামের ওই পত্রিকা লিখেছে, ‘এটা এখন প্রায় নিশ্চিত যে সামনে এক ভয়ংকর সংঘর্ষ আসছে। ট্রাম্পের ট্রেন আর পুতিনের ট্রেন একই লাইনে মুখোমুখি ছুটছে। কেউ থামছেও না, কেউ দিকও বদলাচ্ছে না।’পুতিনের ‘ট্রেন’ পুরো গতিতে চলছে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে, যেটাকে রাশিয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে। যুদ্ধ থামানোর বা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির কোনো ইচ্ছা পুতিন দেখাননি।অন্যদিকে ট্রাম্পের ‘ট্রেন’ যুদ্ধ থামাতে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। ট্রাম্প সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও ভারত-চীনের মতো রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর শুল্ক বসানোর হুমকি দিচ্ছেন।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্পের দাবি,...
    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগে বিপুল পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৫ শিশুসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভে যুদ্ধের এই পর্যায়ে রাশিয়ার এতটা ব্যাপক হামলাকে ‘অতিশয় বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া যা করছে, আমি মনে করি, তা অতিশয় বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা সত্যিই জঘন্য।’ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া সফরে যাবেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন।গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় গ্রহণ করেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন ট্রাম্প। এরপর স্টিভ উইটকফ বেশ কয়েকবার মস্কো সফর করেছেন। সফরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তখন ইউক্রেনে হামলা কমিয়েছিল রাশিয়া।কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি যুদ্ধ শেষ করতে...
    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এ সপ্তাহে ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনার জন্য দায়ী করে বসেন এবং বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কের ওপর আরও ‘শাস্তিমূলক’ কর বসানোর হুমকি দেন; বিষয়টি তখন বজ্রাঘাতের মতো আসে। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার জ্বালানি কেনায় ভারতের সক্রিয় ও দৃশ্যমান উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। অথচ সে সময় অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনা কমায় বা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতৃত্বে রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যায়। ভারত এ সুযোগকে মূল্যছাড়ে তেল কেনার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখে তা লুফে নেয়। ট্রাম্প ভারতের বাণিজ্যিক নীতির নানা দিক নিয়ে যদিও ক্ষোভ পোষণ করে এসেছেন কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে...
    ভ্যালেন্টিন ভেলিকিই গত বছর খেয়াল করেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ তাঁদের এলাকার আরও কাছাকাছি চলে আসছে। চলতি গ্রীষ্মের শুরুতে যুদ্ধ তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায় চলে আসে। তিনি বলেন, ‘দিন–রাত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যেত। সম্প্রতি আমার ঘরের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র যেতে শুরু করেছে। গর্জনের মতো শব্দ হয়। আকাশে ধোঁয়ার মতো একটি রেখা দেখা যায়।’ ৭২ বছর বয়সী পেনশনভোগী ভেলিকিই যুদ্ধের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। ভেলিকিইয়ের বাড়ি কৃষিপ্রধান মালিয়িভকা গ্রামের ১৮ নম্বর পেট্রেংকো স্ট্রিটে। এটি কেন্দ্রীয় পূর্ব ইউক্রেনের দনিপ্রোপেত্রোভস্ক এবং দোনেৎস্ক প্রদেশের প্রশাসনিক সীমান্তে অবস্থিত। আগে রাশিয়ার সেনারা অনেক দূরে ছিলেন। পরে তাঁরা ধীরে ধীরে কাছে চলে আসেন। এখন তাঁরা পৌকোভস্ক শহরকে ঘেরাও করছেন এবং একটির পর একটি উন্মুক্ত প্রান্তর দখল করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপে ১৯৪৫ সালের পর সবচেয়ে...
    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে নতুন একটি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আইনটি ইউক্রেনের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোর স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২২ জুলাই ইউক্রেনের পার্লামেন্টে তড়িঘড়ি আইনটি পাস করা হয়। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেদিনই আইনটিতে স্বাক্ষর করেন।এই আইনে ইউক্রেনের জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরো এবং বিশেষ দুর্নীতিবিরোধী প্রসিকিউটরের কার্যালয় দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল বা প্রধান আইন কর্মকর্তার অধীনে চলে গেছে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জেলেনস্কির নিয়োগ করা ব্যক্তি। জেলেনস্কির দাবি, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থায় রুশ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্যই এ পদক্ষেপ জরুরি ছিল।সমালোচকেরা মনে করেন, এই আইনের আসল উদ্দেশ্য হলো প্রেসিডেন্টকে এমন ক্ষমতা দেওয়া, যাতে তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করে দিতে পারেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি চেরনিশভ।বিরোধী রাজনীতিবিদেরা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আইনটিকে এমন...
    গত ১৬ জুন ইউক্রেন সরকার দেশটির লিথিয়াম খনির ভান্ডারের জন্য বিদেশি কোম্পানিগুলোর দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করে। আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে রোনাল্ড এস লডারের সঙ্গে যুক্ত একটি কনসোর্টিয়ামও। রোনাল্ড এস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।এই দরপত্র এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি খনিজ চুক্তির অংশ হিসেবে আহ্বান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের আলোচনা শেষে চুক্তিটি সম্পাদিত হয়।চূড়ান্ত চুক্তি করার পর ইউক্রেনীয়রা বলেছেন যে আগের খসড়াগুলোর তুলনায় এর শর্তাবলি ইউক্রেনের পক্ষেই থাকবে। এই চুক্তি ইউক্রেনে খনি ও জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করেছে। বিনিয়োগসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন যৌথভাবে গ্রহণ করবে। এখানে যে মুনাফা হবে, তাতে কোনো কর আরোপ করা হবে না এবং মার্কিন কোম্পানিগুলো টেন্ডার ও...
    রাশিয়া রেকর্ড ৭২৮টি ড্রোন দিয়ে বুধবার ভোরে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভে আরো অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তীব্র সমালোচনা করার কয়েক ঘন্টা পরে এই হামলা চালানো হলো। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ড্রোন ও বিমান হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে রাশিয়অ। রাশিয়ার এই তীব্র হামলা যুদ্ধের এক বিপজ্জনক মুহূর্তে ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, কিয়েভের সামরিক বাহিনী প্রায় সব ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে রাশিয়ার ছোড়া ছয়টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কয়েকটি অনির্দিষ্ট ক্ষতি করেছে। কর্মকর্তারা পশ্চিম ইউক্রেনে ড্রোনের হামলায় একজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। দোনেতস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অংশে ড্রোন এবং বোমায় আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়...
    গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়েছিল-তিনি ইরানে আক্রমণ চালাতে ইসরায়েলের সাথে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কিনা। ট্রাম্প জবাবে বলেছিলেন, “আমি এটা করতে পারি। আমি এটা নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করতে যাচ্ছি।” তিনি বিশ্বকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিলেন যে, তিনি ইরানকে আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য দুই সপ্তাহের বিরতিতে সম্মত হয়েছেন। তবে সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে ট্রাম্প বোমা হামলা চালিয়েছেন। ট্রাম্পের কথাবার্তা ও কাজকর্মের একটি প্যাটার্ন উদ্ভূত হচ্ছে। আর এটি  হচ্ছে- ট্রাম্প সম্পর্কে সবচেয়ে অনুমানযোগ্য বিষয় হল তার অনিশ্চয়তা। তিনি তার মতামত পরিবর্তন করেন। তিনি নিজেই নিজের বিরোধিতা করেন। তার আচরণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক পিটার ট্রুবোভিটজ বলেছেন, “ট্রাম্প অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত নীতি নির্ধারণী কার্যক্রম...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তবে এবার তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আশাবাদ দিতে পারেননি। উল্টো তাঁকে হতাশ হতে হয়েছে। তিনি জানান, আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুতিন যুদ্ধ থামাতে চাচ্ছেন– মনে হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার দুই নেতার কথোপকথনের পর ক্রেমলিন জানায়, লক্ষ্য অর্জনে হামলা চালিয়ে যাবে মস্কো।   দুই নেতার ফোনালাপের পর রাতে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের আকাশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি ঝরেছে। হামলায় ক্রুজ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এসব হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন। এর আগে ২৮ জুন রাতের হামলাটিও ছিল ভয়াবহ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য দিয়েছে।   প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের অবস্থানের কারণে কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের মার্কিন প্রচেষ্টা মূলত স্থগিত হয়ে গেল।...
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চান ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করুক, এমন মন্তব্য করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল। তিনি বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে স্থগিত শান্তি আলোচনার মধ্যে পুতিন তার সর্বোচ্চ দাবির কোনোটিতেই পিছু হটছেন না। পুতিন আলোচনা চান না, তিনি ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চান। ইউক্রেনে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার হামলা বৃদ্ধির পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তিনি এ কথা বলেন। বর্তমানে তিনি কিয়েভ সফরে আছেন। খবর এএফপির। এদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলো ও কানাডা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত থাকার ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখবে। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে জানান, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপ ও কানাডা মিলে ইউক্রেনকে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যা গত বছরের পুরো পরিমাণ ৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছে...
    রাশিয়ার ক্রিমিয়া অঞ্চলে অবস্থিত কিরোভস্কে বিমানঘাঁটিতে রাতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। তারা বলছে, এতে রাশিয়ার কয়েকটি হেলিকপ্টার ও একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউর বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ঘাঁটিতে রাশিয়ার উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী ইউনিট, গোলাবারুদের গুদাম ও ড্রোন ছিল। এগুলো ড্রোন হামলার নিশানা করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলায় এমআই-৮, এমআই-২৬ ও এমআই-২৮ নামের হেলিকপ্টার এবং পান্তসির-এস১ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।এসবিইউর দাবি, ড্রোন হামলার পর সারা রাত ক্রিমিয়ার ওই বিমানঘাঁটিতে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে। রাশিয়ার বিমান হামলার প্রস্তুতি বন্ধ করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শত্রুপক্ষকে বুঝতে হবে দামি সামরিক সরঞ্জাম বা গোলাবারুদ কোথাও নিরাপদ নয়—না যুদ্ধক্ষেত্রে, না ক্রিমিয়াতে, এমনকি একেবারে পেছনের ঘাঁটিতেও নয়।’এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ক্রিমিয়ার...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনকে কোনো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেননি। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে ‘প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা’ বিক্রির চেষ্টা করবেন।ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এ বছর সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে সহায়তা বন্ধ রেখেছে। এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও বলেছেন, তিনি পুরো ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ করতে চান।ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, এই মুহূর্তে ইউরোপ ও কানাডা ইউক্রেনকে মোট ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর পুরো বছরে তা ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার। এবার ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পৌঁছে গেছে। কেউ কেউ বলছেন, তা ৪ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, এই মুহূর্তে ইউরোপ ও কানাডা...
    প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া পরাজিত না হলে মস্কো জোটের অন্য সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনের আগে তিনি এ কথা বলেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, “রাশিয়া এমনকি ন্যাটো ভূখণ্ডে নতুন সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে - অর্থাৎ আপনাদের দেশগুলোতে। নিঃসন্দেহে আমাদের পুতিনকে এখনই থামাতে হবে এবং ইউক্রেনেও। তবে আমাদের বুঝতে হবে যে তার লক্ষ্যগুলো ইউক্রেনের বাইরেও বিস্তৃত। ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে।” বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অস্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্রয়, নিষেধাজ্ঞা এবং পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টির অন্যান্য উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চান। ঢাকা/শাহেদ
    যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও একাধিক ইউরোপীয় দেশের নেতারা এই সপ্তাহে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে এই সম্মেলন হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে। সেই সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ, যেখানে ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।   দ্য হেগ শহরে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো এতে অংশ নিচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ন্যাটোর নবনিযুক্ত মহাসচিব মার্ক রুটে এই প্রথমবারের মতো সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সদস্য দেশগুলোর যৌথ প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয়ের পরিমাণ- একটি বিতর্কিত ইস্যু, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই...
    ট্রাম্প ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ইউরোপকে এখনই ঠিক করতে হবে, সে কি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে, না রাশিয়ার জয়ের মূল্য দেবে।কিছুদিন আগেও ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করত। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ট্রাম্পকে আর তেমন ভাবায় না। তিনি রাশিয়ার কথাই বারবার বলছেন। ন্যাটোকে তুচ্ছ করেছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা নিয়ে রসিকতা করেছেন। যদিও পুতিন সম্প্রতি বলেছেন ‘পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে’। ট্রাম্প আর ইউক্রেনের সমর্থক নন। তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য শান্তি-উদ্যোক্তা হয়ে ওঠেননি। সব মিলিয়ে ইউক্রেন বিষয়ে তাঁর কথার এখন তেমন মূল্য নেই। তবে এসবের খেসারত দিচ্ছে ইউক্রেন। দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেন শুরু করেছে ‘অপারেশন স্পাইডারওয়েব’। রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলার মাধ্যমে ডজনখানেক বিমানঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস...
    নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আগামী মঙ্গলবার শুরু হতে যাচ্ছে দু’দিনব্যাপী ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ নিরাপত্তা জোটে ৩২ দেশ থাকলেও আলোচনায় কেবল একমাত্র ব্যক্তি– মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  বিবিসির বিশ্লেষণী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩২টি সদস্য দেশের নেতা ও ডজনখানেক সহযোগী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এ সম্মেলনে। কিন্তু সম্মেলনের সময় কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র তিন ঘণ্টা। বিবৃতি সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়েছে পাঁচ প্যারাগ্রাফে। লক্ষ্য একটাই– মতবিরোধ আড়াল করে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট রাখা।  ট্রাম্পের দাবি মেনে ইউরোপীয় মিত্ররাও প্রতিরক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। জোটের প্রতিটি সম্মেলনে প্রধান লক্ষ্য কিছুটা ‘পূর্বনির্ধারিত’– সংঘবদ্ধতার বার্তা দেওয়া। তবে এবার মূল আলোচনার সূচি অনেকটা নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প নিজেই। তাঁর চাপে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার অঙ্গীকার করছে। যদিও...
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া বারবার ইসরায়েলকে জানিয়ে এসেছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে চায় না। সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভোস্তির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর আরজাজিরার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের বক্তব্য ‘ভুল’, যেখানে তিনি (পরিচালক) বলেছিলেন ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে না। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ এর আগেই রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বগদানভ আলজাজিরাকে জানিয়েছিলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার ইরান, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।” মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। উভয় দেশের সঙ্গে রাশিয়ার শক্তিশালী ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে একাধিকার কথা বলেছেন পুতিন। এই সংঘাতে ঘি ঢালার জন্য...
    পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোসওয়াফ সিকোরস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার হামলা পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে যে, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে উপহাস করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ইউরোপ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে তার প্রস্তুতি জোরদার করছে। ইতালির রোমে ইউক্রেন বিষয়ে এক বৈঠকে যোগ দিতে এসে এসব মন্তব্য করেন সিকোরস্কি। বৈঠকের বিষয়ে সিকোরস্কি বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের এখন ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহায্য করার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা ছায়া নৌবহর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন,  ‘বাল্টিকের মতো অগভীর ও আবদ্ধ সমুদ্রের জন্য এটি একটি বাস্তব হুমকি।’ অভিযোগ রয়েছে, ‘বিভিন্ন কম পরিচিত দেশের পতাকা বা কোনো পতাকা ছাড়াই বিপুল পরিমাণ তেল বহন করে’ রাশিয়ার ছায়া নৌবহর।  এদিকে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ দূত লি হুইকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে চীন।...
    ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধ অব্যাহত থাকায়, মঙ্গলবার (১০ জুন) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার ওপর ১৮তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ প্রস্তাব করেছে। নতুন এই প্রস্তাবে বিশেষ করে রাশিয়ার তেল রপ্তানি ও ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্য করা হয়েছে। খবর আনাদোলুর।  ব্রাসেলসে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা ক্যালাসের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেন, “নতুন পদক্ষেপগুলো মূলত রাশিয়ার জ্বালানি ও ব্যাংকিং খাতে আঘাত হানবে।” তিনি আরো বলেন, “শক্তিই একমাত্র ভাষা যা রাশিয়া বুঝতে পারবে।” আরো পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হামলায় যুক্তরাজ্য ১০০ শতাংশ জড়িত: মস্কো আবারো রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে সফল হামলার দাবি ইউক্রেনের তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতি ইতিমধ্যেই ধুঁকছে, তেল ও গ্যাসের রাজস্ব প্রায় ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২১০ বিলিয়ন ইউরোর রিজার্ভ জব্দ রয়েছে।” নতুন...
    রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার পর কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে চলেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্র এই আক্রমণ নিয়ে শিরোনাম করেছে ‘রাশিয়ার পার্ল হারবার’। এটা বিস্ময়করই। কেননা, এই আক্রমণের চূড়ান্ত পরিণতি কী হতে পারে, সেটা তারা ভুলে গেছে।বাস্তবে মাঠের যুদ্ধের চিত্র হলো রাশিয়ার দিকেই ক্রমশও পাল্লা ভারী হচ্ছে। ধীরে ধীরে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।সর্বশেষ ড্রোন হামলা ইউক্রেনের নতুন কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়ার যুদ্ধের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়ে হয় মস্কোর কাছ থেকে আরও সুবিধাজনক চুক্তি আদায় করা, অথবা সম্ভবত আমেরিকা ও ইউরোপীয় মিত্রদের সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে রাজি করানো।ইউক্রেনের এই নতুন কৌশলের শুরু ২০২৪ সালের আগস্টে কুরস্কে হামলার মধ্য দিয়ে। ওই অভিযানে ইউক্রেনের প্রায় ৭৫ হাজার সেনা নিহত বা আহত হয়েছিলেন। একই সময়ে ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে ড্রোন হামলা শুরু করেছিল।আরও...
    মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ‘জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচিত নেতা ক্যারল নওরোকি। দ্বিতীয় দফা ভোটের পর আজ সোমবার (২ জুন) তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে ফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। খবর রয়টার্সের। পোল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দ্বিতীয় দফা ভোটে কট্টর রক্ষণশীল ইউরো-সংশয়ী নেতা ক্যারল নওরোকি ৫০.৮৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উদারপন্থি নেতা ওয়ারসোর মেয়র রাফাল ত্রজাস্কোস্কি ৪৯.১১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। পোল্যান্ডের নির্বাচনের দিকে নজর ছিল প্রতিবেশি ইউক্রেনসহ রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে মানুষের। কারণ, এই নির্বাচনের ফল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে।  রয়টার্স বলছে, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নওরোকির জয় দেশটির ইউরোপন্থি সরকারের সংস্কার এজেন্ডার উপর এক বড় ধাক্কা। ‘জাতীয়তাবাদী’ নওরোকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাপারে সন্দিহান এবং তার নীতি মার্কিন রক্ষণশীল রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।  ৪২ বছর বয়সী নওরোকি...
    ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা নেতাদের পূর্ব দিকে ন্যাটো সম্প্রসারণ বন্ধ করার জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। তিনটি রুশ সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক ইউরোপীয় সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পুতিন কিয়েভের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকার করে ‘আগুন নিয়ে খেলছেন।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, “পুতিন শান্তি স্থাপন করতে প্রস্তুত, কিন্তু যেকোনো মূল্যে নয়।” তিনটি রাশিয়ান সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মার্কিন নেতৃত্বাধীন...
    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে এ পর্যন্ত সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন পর্যন্ত শুধু আশ্বাসের ওপরই রেখেছেন রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। গত সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর পুতিন আবারও শান্তি ফেরাতে ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার আশ্বাস দেন। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, পুতিন কি আসলেই যুদ্ধবিরতি চান? নাকি তিনি হামলা আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য আলোচনায় বসার নামে শুধু সময়ক্ষেপণ করছেন। ওই ফোনালাপের পর মস্কো-কিয়েভ পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলাও হয়েছে।  সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়, একদিকে ট্রাম্প পুতিনের ওপর বিশ্বাস করতে চান, অন্যদিকে ট্রাম্পের পদক্ষেপ ভালো ফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন পুতিন। এভাবেই দুই নেতা পরিস্থিতি শুধু অনিশ্চয়তার দিকেই ঠেলে দিচ্ছেন। শান্তি কেবলই দূরে চলে যাচ্ছে।  এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়াই ইউক্রেনকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করার কথা বিবেচনা...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করবে। সোমবার (১৯ মে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দেন। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে তার কথোপকথনকে ‘খুব ভালোভাবে সম্পন্ন’ হয়েছে বর্ণনা করে বলেছেন, শান্তির জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করা প্রয়োজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন যে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার শর্তগুলো ‘দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করা হবে’। তিনি বলেন, এটিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়, ‘কারণ তারা এমন একটি আলোচনার বিশদ জানেন যা অন্য কেউ জানে না।’ আরো পড়ুন: শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনকে ফোন করবেন ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, তিনি...
    ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার দুই নেতার মধ্যে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনালাপ হয়। পরে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে মস্কো ও কিয়েভ।রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের খবরে বলা হয়, ভবিষ্যতে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া কাজ করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। সে অনুযায়ী দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হতে পারে। পুতিন বলেছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে ‘সঠিক পথে’ রয়েছে রাশিয়া।রুশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে পুতিন বলেন, খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই আলোচনাকে খুবই ‘কার্যকর’ বলে মনে করছেন তিনি। শান্তিচুক্তি নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার...
    ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনে আলাপ করেছেন। এই আলোচনার পর পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।  পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্রুত পুনরায় আলোচনার টেবিলে ফিরবে। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি যুদ্ধবিরতির কার্যকরে আলোচনা শুরু করবে। তিনি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।  রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরিচালিত আরআইএ নভোস্তিকে পুতিন বলেছেন, তিনি একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি চান। তার দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কাজ করতে প্রস্তুত, যা সবপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আলোচনাটিকে অত্যন্ত স্পষ্ট ও কার্যকর বলেও আখ্যা দিয়েছে রুশ গণমাধ্যম।  পুতিন...
    তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনায় যোগ দিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা গত শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এসেছিলেন। তাঁদের দুই পক্ষের মধ্যকার পার্থক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এক পক্ষকে আত্মবিশ্বাসী ও সুসংগঠিত বলে মনে হয়েছে। তারা তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে একেবারে পরিষ্কার। আর অন্য পক্ষকে অসংগঠিত ও আত্মবিশ্বাসী নয়, এমন মনে হয়েছে।সম্ভাব্য বন্দোবস্তের সীমারেখা সম্পর্কে রাশিয়ার অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই পরিষ্কার। যদিও ভূখণ্ড–সংক্রান্ত বিষয়টাতে রাশিয়া একটি হিসাবি কৌশলগত অস্পষ্ট অবস্থান বজায় রাখছে। এর কারণ হলো, এটা তাদের চাপ দেওয়ার সুবিধাজনক কৌশল। মস্কো অব্যাহতভাবে ইস্তাম্বুলে চুক্তিতে ফেরার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, ২০২২ সালের বসন্তে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত চুক্তিটি ভেস্তে যায়।এর বিপরীতে ইউক্রেনপন্থী জোটের অবস্থান ছিল বিশৃঙ্খল। যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রায় একটা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেন আর এর ইউরোপীয় মিত্ররা চেষ্টা...
    যুদ্ধ থামাতে কোনো সুরাহায় পৌঁছাতে পারছে না রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে কম চেষ্টা করছে না যুক্তরাষ্ট্রও। তাতেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আজ সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করার কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই ফোনালাপের জেরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতি আসতে পারে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প-পুতিনের এই ফোনালাপের এক দিন আগেই তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সরাসরি বৈঠক করেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর ৩ বছরের মধ্যে প্রথম আলোচনায় বসেন তাঁরা। সেখানে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলেও ১ হাজার করে বন্দী বিনিময়ে রাজি হয় দুই পক্ষ। পরে যুদ্ধবিরতির আশায় ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ইউরোপের নেতারাও। গত শুক্রবার তুরস্কের ওই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন নিজেই। বৈঠকে পুতিন...
    জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ জানিয়েছেন, তিনি এবং যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং পোল্যান্ডের নেতারা সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চান। ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনালাপের আগেই তারা এটি করতে চান। রবিবার সাংবাদিকদের কাছে মার্জ জানান, ভ্যাটিকানে পোপ লিও চতুর্দশের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ভ্যাটিকানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথেও দীর্ঘসময় কথা বলেছেন। মার্জ বলেন, “আমি মার্কো রুবিওর সাথে কথা বলেছি, আগামীকাল ফোনালাপের বিষয়েও। আমরা একমত হয়েছি যে (পুতিনের সাথে) এই কথোপকথনের প্রস্তুতির জন্য আমরা চার রাষ্ট্রীয় নেতা মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাথে আবার কথা বলব।” চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধের “রক্তপাত” বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি পুতিন এবং জেলেনস্কির...
    ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গতকাল শুক্রবার আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় নেতাদের এক সভায় বলেছেন, তাদের গাজাকে সমর্থন করা উচিত, ঠিক যেমন তারা ইউক্রেনকে সহায়তা করছেন। সভায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “মানবতার বেশিরভাগ অংশ আমাদের দেখছে। কখনো কখনো তারা আসলে বুঝতে পারে না যে, আমরা ইউক্রেন সম্পর্কে কী করছি, তবে আমাদের ব্যাখ্যা করতে হবে।” খবর আল জাজিরার। ম্যাক্রোঁ আরো বলেন, “আমরা যখন গাজা সম্পর্কে নীরব থাকি, তখন তারা ইউক্রেন সম্পর্কে আমাদের মোটেও বোঝে না। তারা আমাদের বলে: ‘এটা অদ্ভুত। যখন আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ করা হয় তখন আপনি আমাদের বলেন যে, আমাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং যখন গণহত্যা হয় তখন আপনি চোখ বন্ধ করে রাখেন।” আরো পড়ুন: গাজা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯০০ ছাড়াল ফরাসি প্রেসিডেন্ট...
    বিশ্বের দিকে দিকে যখন চলছে যুদ্ধের উন্মাদনা, তখন চীন-রাশিয়ার মধ্যে দেখা যাচ্ছে ‘ইস্পাত কঠিন’ ঐক্য। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উত্তেজনাসহ পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে মস্কো-বেইজিং বন্ধুত্ব আরও সুসংহত হয়েছে। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরে বিষয়টি যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশ দুটির এমন দৃঢ় ঐক্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে পশ্চিমা বিশ্বকে। গত ৭-১০ মে রাশিয়া সফর করেন শি জিনপিং। নাৎসি জার্মানির পরাজয় স্মরণে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপনে বন্ধু ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ছুটে যান তিনি। চায়ের আড্ডায় কাটিয়েছেন প্রায় ১০ ঘণ্টা। বিশ্লেষকরা বলছেন, শি জিনপিংয়ের এবারের মস্কো সফর চীন-রাশিয়া সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা করেছে।    মস্কোতে শি প্রায় ২০টি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট। অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে...
    ইউক্রেন সংকট সমাধানে আলোচনায় বসতে হলে সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থাকতে হবে– এমন শর্ত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার তাঁর প্রধান উপদেষ্টা মিখাইলো পডোলিয়াক এ কথা জানান।  রয়টার্সকে পডোলিয়াক বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো রুশ প্রতিনিধি নয়, বরং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেই শুধু বৈঠকে বসবেন জেলেনস্কি। এই আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অংশ নিতে চান বলে জানিয়েছেন। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে ট্রাম্প এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে পুতিন এখনও নিশ্চিত করেননি, তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা। ইতোমধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষই শান্তির পথে কাজ করার বার্তা দিলেও স্পষ্ট কোনো রূপরেখা মেলেনি। রোববার পুতিন সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও ইউক্রেনের এক মাসের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তিনি উপেক্ষা করেন। এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জেলেনস্কিকে তা মেনে নিতে বলেন। সোমবার হোয়াইট...
    অনেকেই ভেবেছিল রাশিয়ার ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয় দিবস’–এর কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যোগ দেওয়ায় হয়তো তিনি এবার পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলবেন। এতে অনেকের মনে আশা জেগেছিল, সম্ভবত চীন এবার শান্তির পক্ষে কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে তিন বছর পার করেছে, তখনো চীনের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট উদ্যোগ দেখা যায়নি যে তারা সত্যি যুদ্ধ থামাতে চায় বা শান্তি আলোচনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে চায়।এর বদলে চীন বরং রাশিয়াকে রাজনৈতিক (কূটনৈতিক), অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চীন কখনোই এই যুদ্ধকে ‘আগ্রাসন’ বলে স্বীকার করেনি, অর্থাৎ তারা কখনো বলেনি যে রাশিয়া অন্য দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকি রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করে নেওয়ার পরও চীন তা সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘে যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে...
    রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব। জেলেনস্কি বলেন, হত্যাকাণ্ড দীর্ঘায়িত করার কোনো মানে হয় না। আমরা আগামীকাল থেকে একটি সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আশা করছি, যা কূটনীতির জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করবে। ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বৃহস্পতিবার তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হন। এতে আশার আলো দেখছেন বিশ্বনেতারা। খবর-রয়টার্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। তিনি আগে যুদ্ধবিরতি, পরে আলোচনা চান। দু’পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে তুরস্কও। নতুন পোপ লিও রোববার তাঁর প্রথম বার্তায় বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোকে আর যুদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।  এর আগে ভ্লাদিমির পুতিনের...
    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ছোটাছুটি করছেন বিশ্বনেতারা। তারা এ নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা তুলছেন। সর্বশেষ রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী বৃহস্পতিবার তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। এতে আশার আলো দেখছেন বিশ্বনেতারা।  ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। তিনি আগে যুদ্ধবিরতি, পরে আলোচনা চান। দু’পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে তুরস্কও। নতুন পোপ লিও রোববার তাঁর প্রথম বার্তায় বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোকে আর যুদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।  রোববার ভোরে ক্রেমলিনে এক ভাষণে পুতিন আলোচনায় বসার কথা তোলেন। তিনি ২০২২ সালের স্থগিত হয়ে যাওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ফের শুরু করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আমরা কিয়েভ কর্তৃপক্ষকে ফের শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দিচ্ছি। আগামী বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।  ...
    আগামী দিনগুলোতে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ রোববার সকালে ক্রেমলিনে দেওয়া এক বক্তব্যে পুতিন এ প্রস্তাব দেন। তবে ইউরোপীয় নেতাদের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা গতকাল শনিবার কিয়েভে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়।তবে ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল কিয়েভ এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা এক বৈঠকে আগামীকাল সোমবার থেকে রাশিয়ার প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় কিয়েভে এ বৈঠক হয়েছে বলে বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছে। পুতিন বলেন, ‘আমরা কিয়েভ সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা ২০২২ সালে যে আলোচনা ভেঙে দিয়েছিল, তা যেন আবার শুরু করে।...
    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো বিলম্ব ছাড়াই, ১৫ মে'র মধ্যেই একটি আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। আমরা সিরিয়াস আলোচনা চাই। সংঘাতের মূল কারণ উপড়ে ফেলতে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করতে চাই শনিবার গভীর রাতে ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিরল এক ভাষণে এ কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁসহ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন সফর করে রাশিয়াকে ৩০-দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর পুতিন এমন প্রস্তাব দেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিয়ে মস্কো চিন্তা করবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হবে নিতান্তই অর্থহীন। ওদিকে পুতিন তার বক্তব্যে বলেছেন, তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে আলোচনা হওয়া...
    আগামী সোমবার থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানাতে একমত হয়েছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেন।দেশগুলোর নেতারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে এ প্রস্তাব করা হয়।২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তিন বছর পার হলেও ইউক্রেনে হামলা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি দেশটি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কিয়েভের পক্ষ থেকে দেওয়া এ ধরনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা। মস্কো আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই।ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে। ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও এর মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর বসন্তে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করে রাশিয়া।আরও পড়ুনবিজয় দিবসে কুচকাওয়াজে পুতিনের পাশে...
    যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সায় পেলে সেটি অগ্রসর হবে। যুদ্ধবিরতির এই প্রচেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন, তার সারাংশে রয়েছে এটি হতে হবে ‘শর্তহীন’। জেলেনস্কির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আরো যা যা রয়েছে- জেলেনস্কির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: শান্তির পথে ৩০ দিনের সুযোগ মূল প্রস্তাবনার সারাংশে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হবে সোমবার (১২ মে) থেকে এবং এটি ৩০ দিন চলবে। আরো পড়ুন: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণের নিহতের খবর জেলেনস্কির শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮ যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে আকাশপথ (ড্রোন, যুদ্ধবিমান ইত্যাদি বন্ধ), সমুদ্রপথ (নৌযান, সাবমেরিন অপারেশন নিষিদ্ধ), স্থলপথ (সেনা আগ্রাসন, গোলাবর্ষণ সম্পূর্ণ...
    ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরটি ছিল রুশ বাহিনীর জন্য সবচেয়ে মারাত্মক। বছরটিতে কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৮৭ রুশ সেনা নিহত হয়। আক্রমণের প্রথম বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেশি। এমনকি দ্বিতীয় বছর ২০২৩ সালের তুলনায়ও বেশি। ওই বছরটিতে ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলবে– এমন একটা পর্যায়ের দিকে বাঁক নিয়েছিল। গতকাল সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর দিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর জন্য লড়াই হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালে রুশ বাহিনী ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ে। প্রতি মাসেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল। এ সময় রুশ ও তাদের সমর্থিত বাহিনীকে প্রত্যেক কিলোমিটার ভূমি জয় করতে ব্যাপক লড়াই করতে হয়েছে। এতে গড়ে প্রতি কিলোমিটারে রুশ বাহিনীর ২৭ জন নিহত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম মিডিয়াজোনা, স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দলের সহযোগিতা,...
    ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারো জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৭তম দফায় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে শান্তির পথে ‘একমাত্র বাধা’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে ইইউ রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা স্পষ্ট করেছে, পুতিন ইউক্রেন থেকে নিঃশর্তভাবে সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না ইইউ। ব্যারো বলেন, ‘আমরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা তৈরি করছি এবং সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামকে বলেছি, আমরা সমন্বয় করব।’ সম্প্রতি গ্রাহামসহ মার্কিন আইনপ্রণেতারা রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ও যারা রুশ জ্বালানি কিনছে, তাদের ওপর শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।  মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর ব্যারো বলেন, ‘এটি ইউরোপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা শান্তির পথে একসঙ্গে কাজ...
    যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন গতকাল বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ খাতে বিশেষ সুবিধা পাবে। এখান থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।বিরল খনিজসহ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ ও চুক্তির বিস্তারিত বিষয়ে পর্যালোচনা করা যাক:গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও এগুলো কিসে ব্যবহৃত হয় রেয়ার আর্থ বা বিরল খনিজ হলো ১৭টি ধাতুর একটি সমষ্টি, যেগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি), মোবাইল ফোন, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এসব ধাতুর কোনো কার্যকর বিকল্প নেই।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ৫০টি খনিজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিরল খনিজ, নিকেল ও লিথিয়াম। এসব গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রতিরক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং পরিবেশবান্ধব শক্তি...
    ২০২৪ সালে বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্নায়ুযুদ্ধের পর বিশ্বে এক বছরে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার এটি। গত সোমবার সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।সিপ্রি বলছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সব অঞ্চলের সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১০০টির বেশি দেশ তাদের সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রায়ই অন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের বাজেট কাটছাঁট করে ক্রমাগত সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে কাটছাঁট করার কারণে ভবিষ্যতে সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে।’গত বছর...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একজন নিঃসঙ্গ পথিক। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত নীতির একজন স্ব-স্বীকৃত অনুশীলনকারী। মোদির এই নীতি হলো– আমাদের এ যুগ যুদ্ধের নয়; এখানে ‘যুদ্ধের অনুকূল পরিস্থিতি’ যতই থাকুক। ট্রাম্প নিজের ব্যাপারে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। দেশে যুদ্ধবাদীদের আক্রমণের জন্য নিজেকে উন্মুক্ত রাখেন, যদিও তিনি একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী; নির্বিচারে মার্কিন স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন।  গত বছরের ১৪ জুন মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে অতিশয় উচ্চাকাঙ্ক্ষী এক পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন, সেখান থেকে তিনি পিছু হটেছেন। তার পুরো কৃতিত্ব ছিল ট্রাম্পের। ওই সময় পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য কিছু অসম্ভব শর্ত উত্থাপন করেছিলেন, যার মধ্যে আশ্চর্যজনক হলেও তাদের নিজ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া ওব্লাস্টে থাকা অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয়...
    ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ। বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার,...
    ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। শুক্রবার মস্কোয় তিন ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুজনের মধ্যে আলোচনা ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ।পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে শুক্রবারই মস্কো সফরে যান স্টিভ উইটকফ। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প যে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তার অংশ হিসেবে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো রাশিয়া সফর করলেন উইটকফ। শান্তি আলোচনায় যে অগ্রগতি হচ্ছে, সে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।ইউরি উশাকভ বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুধু ইউক্রেন নয়, বরং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও কাছাকাছি এসেছে। ইউক্রেন সংকটের কথা বলতে গেলে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে।পুতিন...
    ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, যেকোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার দখলদারির স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে এবারই প্রথম কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন তিনি।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধ শেষ করার একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ চুক্তির বিষয়ে মূলত ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।এদিকে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা গতকাল বুধবার লন্ডনে একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। তারা কীভাবে ওই চুক্তির প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এটি মূলত তাদের অনুপস্থিতিতেই তৈরি হয়েছে। জেলেনস্কি পাল্টা প্রস্তাব হিসেবে উভয় পক্ষের জন্য শর্তহীন একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক...
    লন্ডনে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে নির্ধারিত উচ্চ পর্যায়ের শান্তি আলোচনা শেষ মুহূর্তে কর্মকর্তা স্তরের আলোচনায় সীমিত করা হয়েছে। আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর অনুপস্থিতি এবং রাশিয়া-মার্কিন গোপন আলোচনার ফাঁস হওয়া তথ্যকে কেন্দ্র করে ইউরোপে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় মারহানেতস শহরে একটি বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ জন।  ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি নিশ্চিত করেছেন, মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর মূল বৈঠকটি বাতিল করে নিম্ন পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও ইউক্রেন বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। দ্য গার্ডিয়ান, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু এলাকা ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০১৪...
    লন্ডনে বুধবার শুরু হওয়ার কথা ছিল নতুন ধাপের ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর অংশ না নেওয়ার আকস্মিক সিদ্ধান্তে কারণে স্থগিত হয়ে গেছে সেই আলোচনা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনা স্থগিত হওয়া লন্ডনের জন্য একটি কূটনৈতিক অস্বস্তি তৈরি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। যে আলোচনায় নেই ইউরোপ ও ইউক্রেন। দ্য গার্ডিয়ান এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু এলাকা ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া অঞ্চলের স্বীকৃতি দাবি করেছে। রুশ ড্রোন হামলায় নিহত ৯: রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের শ্রমিক বহনকারী একটি বাসে হামলায় ৯ জন নিহত...
    ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার প্রায় ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত হানছে। ট্রাম্প ‘প্রথম দিনেই’ যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো কোনো শান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প প্রশাসন কবে স্বীকার করবে যে তারা ব্যর্থ হচ্ছে?শুরুতে ট্রাম্পের দাবি ছিল খুব সহজ, ‘যুদ্ধ থামাও, আলোচনায় বসো।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপের পর তিনি বলেছিলেন, খুব দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সেই সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।কিন্তু এরপর যা ঘটেছে, তা হলো পুতিন ও তাঁর ক্রেমলিনের ছোট একটি দল ট্রাম্পের অনভিজ্ঞ আলোচক স্টিভ উইটকফকে এমন এক জটিল ও অসম্ভব শর্তের গোলকধাঁধায় ফেলেছেন, যেখান থেকে বেরোনো কঠিন। এত দিন ধরে এই নাটক চলার পর এমনকি সবচেয়ে বোকা...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার প্রথম ১০০ দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবারও প্রমাণ করেছেন, প্রচণ্ড ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষকে আমোদিত করার তাঁর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। তিনি যা বলেন, তাতে কখনোই কোনো কিছুর ঘাটতি রাখেন না।নিজের প্রশংসা থেকে শুরু করে মিত্রদেশগুলোকে অপমান করা—হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্পের কিছু আলোচিত কথা নিচে তুলে ধরা হলো:ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছেন।’ক্ষমতায় ফেরার প্রথম দিনেই ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘মেসিহ’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তিনি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন—গত বছর পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সভায় তিনি কীভাবে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া এক স্বৈরশাসক।’ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই অভাবিত মন্তব্যটি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। জেলেনস্কি অভিযোগ করেছিলেন, রুশদের ‘ভুয়া তথ্যের’ শিকার...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে বিশেষ কোনো যুক্তি ছাড়াই বিগত শত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তা প্রায় সব দেশের ওপরই কার্যকর করেছেন। তারপর হঠাৎই (যদিও তিনি আগেই বলেছিলেন, এই শুল্কগুলো স্থায়ী হবে) তিনি সব দেশের জন্য নতুন ‘পারস্পরিক’ শুল্ক স্থগিত রাখেন, শুধু একটি দেশ ছাড়া।বাকি সব দেশের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ শতাংশ হারে শুল্ক রাখেন। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে তিনি আরও কঠোর ব্যবস্থা নেন। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফা ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের পর ‘মুক্তির দিন’ ঘোষণা করে ৩৪ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করেন এবং পরে তা বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করেন। সব মিলিয়ে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সর্বনিম্ন কার্যকর শুল্ক দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশ (তবে ভোক্তাপণ্যের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় রয়েছে)।চীন প্রথম দুই দফা ১০...